বিশ্ব চ্যাম্পিয়নদের উড়িয়ে ফাইনালে ইংল্যান্ড

    অস্ট্রেলিয়াকে ৮ উইকেটে ‘উড়িয়ে’ দ্বাদশ বিশ্বকাপের দ্বিতীয় দল হিসেবে ফাইনাল নিশ্চিত করেছে ইংল্যান্ড।

    ১৪ জুলাইয়ের ফাইনালে দলটি মোকাবেলা করবে নিউজিল্যান্ডকে। ইংল্যান্ড ও নিউজিল্যান্ডের কোনো দলই এখনো বিশ্বকাপ শিরোপার ছোঁয়া পায়নি। তাই ২০১৯ বিশ্বকাপ নতুন এক বিশ্বচ্যাম্পিয়নকেই পেতে যাচ্ছে।

    বৃহস্পতিবার ২২৪ রানের লক্ষ্যে খেলতে নামা ইংল্যান্ড উদ্বোধনী জুটিতেই পেয়ে যায় জয়ের ভিত। জেসন রয় ও জনি বেয়ারস্ট মিলে যোগ করেন ১২৪ রান। রয়ের মারকুটে ব্যাটিংয়ের বিপরীতে বেয়ারস্টো এদিন শান্তই ছিলেন! ৪৩ বলে ৩৪ রান করে তিনি বিদায় নেন।

    এরপর ফিরে যান রয়ও। তার আগে মাত্র ৬৫ বলের মোকাবেলায় ৮৫ রান করেন নয়টি চার ও পাঁচটি ছক্কা হাঁকিয়ে। তার বিদায়ের পর দলের জয় নিশ্চিত করে মাঠ ছাড়েন জো রুট ও অধিনায়ক ইয়ন মরগান।

    দুজনই অর্ধ-শতকের কাছে গিয়ে অপরাজিত থাকেন। আটটি চারের সহায়তায় রুট ৪৬ বলে ৪৯ এবং মরগান সমান সংখ্যক চারের সহায়তায় ৩৯ বলে ৪৫ রান করে অপরাজিত থাকেন। ইংল্যান্ড জয় পায় ১৮.৫ ওভার ও ৮ উইকেট হাতে রেখেই।

    অস্ট্রেলিয়ার পক্ষে একটি করে উইকেট শিকার করেন মিচেল স্টার্ক ও প্যাট কামিন্স।

    (১১ জুলাই) টস জিতে ব্যাট করতে নেমেই খেই হারায় বর্তমান চ্যাম্পিয়নরা। দলীয় ৪ রানে অধিনায়ক অ্যারন ফিঞ্চ (০), ১০ রানে আরেক ওপেনার ডেভিড ওয়ার্নার (৯) ও ১৪ রানে একাদশে সুযোগ পাওয়া পিটার হ্যান্ডসকম্ব (৪) সাজঘরে ফিরলে চাপে পড়ে যায় অস্ট্রেলিয়া।

    সেই চাপ সামলাতে দারুণ চেষ্টা চালিয়ে গেছেন স্মিথ ও উইকেটরক্ষক ব্যাটসম্যান ক্যারি। মাথায় আঘাত নিয়েও ক্যারি দেখেশুনে খেলে যান। যদিও অর্ধ-শতক না পাওয়ার আক্ষেপ নিয়ে সাজঘরে ফিরতে হয় তাকে।

    তার আগে চতুর্থ উইকেটে স্মিথ-ক্যারি গড়েন ১০৩ রানের পার্টনারশিপ। ৭০ বলে চারটি চার হাঁকিয়ে ৪৬ রান করে সাজঘরে ফেরেন ক্যারি। এর পরপরই বিদায় নেন মার্কাস স্টয়নিস, ব্যক্তিগত শূন্য রানে। ২৩ বলে ২২ রান করা গ্লেন ম্যাক্সওয়েল ইনিংসকে বড় করতে পারেননি। তবে একপ্রান্ত আগলে রেখেছিলেন স্টিভ স্মিথ।

    তবে স্মিথও দলীয় ইনিংস শেষ হওয়ার আগে বিদায় নেন। তার আগে ১১৯ বলের মোকাবেলায় ছয়টি চারের সহায়তায় করেন ৮৫ রান। তিনি আউট হলে ভাঙে তার সাথে মিচেল স্টার্কের ৫১ রানের জুটি।

    শেষদিকে স্টার্কের ২৯ রানের ইনিংস দলকে সম্মানজনক সংগ্রহ এনে দেয়। ১ ওভার বাকি থাকতেই অজিদের ইনিংস গুটিয়ে যায় ২২৩ রানে।

    ইংল্যান্ডের পক্ষে আদিল রশিদ ও ক্রিস ওকস তিনটি করে এবং জফরা আর্চার দুটি উইকেট শিকার করেন। একটি উইকেট শিকার করেন মার্ক উড।

    সংক্ষিপ্ত স্কোর

    টস: অস্ট্রেলিয়া

    অস্ট্রেলিয়া ২২৩ (৪৯ ওভার)
    স্মিথ, ক্যারি ৪৬, স্টার্ক ২৯, ম্যাক্সওয়েল ২২
    ওকস ২০/৩, আদিল ৫৪/৩, আর্চার ৩২/২

    ইংল্যান্ড ২২৬/২ (৩২.১ ওভার)
    রয় ৮৫, রুট ৪৯*, মরগান ৪৫*, বেয়ারস্টো ৩৪
    কামিন্স ৩৪/১, স্টার্ক ৭০/১

    সেরা খেলোয়াড় : ওকস

    বিএম/এমআর