বাংলাদেশ মেইলে সংবাদ প্রকাশের পর
    যৌতুকের বলি তানিয়া হত্যাকান্ডে গ্রেফতার ৩

    চট্টগ্রাম মেইল : অনলাইন পোর্টাল বাংলাদেশ মেইল ডট নিউজেযৌতুকের বলি তানিয়া: অসহায় পিতার প্রশ্ন, বিচার কি হবে হত্যাকারীর শিরোনামে সংবাদ প্রকাশের পর এ হত্যাকান্ডের মূল আসামিসহ তিনজনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।

    রবিবার মধ্যরাতে বান্দরবান জেলার আলিকদম থানা এলাকার বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালিয়ে তানিয়া হত্যাকান্ডে জড়িত ৩ জনকে গ্রেফতার করা হয়।

    আলী কদম থানার সেকেন্ড অফিসার নুরুল ইসলাম এ অভিযানের নেতৃত্ব দেন।

    এর আগে শ্বশুড়বাড়ির লোকজনের নির্মম নির্যাতনের শিকার হয়ে গত ১০ জুলাই দুপুরে মারা যায় কর্নফুলী উপজেলার চরলক্ষ্যা ০১ নং ওয়াডের বাসিন্দা নুরুল নুর ইসলামের মেয়ে তানিয়া। মৃত্যুর চারদিন হয়ে গেলেও হত্যা মামলা হয়নি থানায়।

    পরে রবিবার বিকালে বাংলাদেশ মেইলে নিউজ প্রকাশিত হওয়ার পর নিহত তানিয়ার বাবা নুরুল ইসলাম ফের আলিকদম থানায় যান। তার প্রাথমিক অভিযোগে তানিয়ার স্বামী আবদুর রহমান মিনার ও তার বোন জামাই মিজানসহ ৩ জনকে গ্রেফতার করে পুলিশ। তবে সোমবার এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত মামলা প্রক্রিয়াধীন বলে থানা সূত্রে জানা যায়।

    গ্রেফতারের তথ্য নিশ্চিত করেন কর্নফুলী উপজেলা জুলধা ইউনিয়নের সাবেক ছাত্রলীগ সভাপতি নুরুল হক। তিনি অনলাইন নিউজ পোর্টাল বাংলাদেশ মেইল ডট নিউজ এবং আলি কদম থানা পুলিশকে ধন্যবাদ জানিয়ে বলেন, বিকালে নিউজ প্রকাশ এবং গভীর রাত পৌনে তিনটায় শ্বাসরুদ্ধকর এক অভিযানে তিনজনকে গ্রেফতার করে আলিকদম থানা পুুুলিশ।

    ছাত্রলীগ নেতা নুরুল হক বলেন, এই হত্যাকারীদের আইনের আওতায় এনে কঠিন শাস্তি প্রদান করা হোক। যাতে করে এই হত্যা কারীদের দেখে আর কেউ যৌতুকের জন্য কোন মেয়েকে এমন পাশবিক নির্যাতন ও হত্যা করার সাহস না পায়।

    এর আগে রবিবার মেয়েকে শ্বশুড়বাড়ির লোকজন নির্যাতন করে হত্যা করেছে বলে বাংলাদেশ মেইলকে অভিযোগ করেন নিহত তানিয়ার অসহায় পিতা নুর ইসলাম। বলেন, গত ৯ জুলাই মেয়েকে শারিরিক নির্যাতনের পর চকরিয়া বাস স্ট্যান্ড থেকে হানিফ পরিবহনের একটি বাসে তানিয়াকে একা তুলে দেন শ্বশুড়বাড়ির লোকজন। তারা সেখান থেকে ফোন দিয়ে জানায় চট্টগ্রামের আক্তারুজ্জান চত্তর (মইজ্জার টেক) হানিফ পরিবহন থেকে যেনো মেয়েকে বুঝে নেন।

    ফোন পেয়ে মেয়েকে বুঝে নিলেও তখন তার হাঁটা চলারও উপায় ছিলোনা। তানিয়ার শারিরীক অবস্থা মারাত্মক খারাপ হওয়ায় তাকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়। পরদিন ১০ জুলাই দুপুরে চিকিৎসাধিন অবস্থায় তানিয়ার মৃত্যু হয়।

    নিহতের পর পোস্টমটেম রিপোর্টেও তানিয়ার শরীরে অসংখ্য নির্যাতনের চিহ্ন রয়েছে জানিয়ে নিহতের অসহায় পিতা দুঃখ করে বলেন, প্রভাবশালী কোন ব্যাক্তির হস্তক্ষেপ না থাকায় মৃত্যুর চারদিন হয়ে গেলেও প্রশাসনের কোন সহায়তা পাননি। অভাব অনটনে মামলা করার সামর্থ্য নাই বলে অঝরে কেঁদেছেন অসহায় মেয়ের পিতা নুর ইসলাম।

    বিএম/রাজীব সেন… 

    আরো :  অসহায় পিতার প্রশ্ন, বিচার কি হবে হত্যাকারীর?