সীতাকুণ্ডে স্যানিটেশন অফিসারের বিরুদ্ধে চাঁদাবাজীর অভিযোগ!

    সীতাকুণ্ড প্রতিনিধি : সীতাকুণ্ড উপজেলা স্যানিটেশন কর্মকর্তা ফাতেমা আকতারের বিরুদ্ধে চাঁদাবাজির অভিযোগ পাওয়া গেছে।

    ব্যবসায়ীরা অভিযোগ করেছেন ফাতেমা আকতার উপজেলার বিভিন্ন দোকানে গিয়ে স্যানিটেশন লাইন্সেস বানানোর জন্য ভ্রাম্যমান আদালতের ভয় দেখিয়ে চাঁদা দাবী করছে। এমন অভিযোগের সত্যতা মিলেছে উপজেলার মাদামবিবির হাট এলাকায়।

    সোমবার দুপুরে উপজেলা স্যানিটেশন অফিসার ফাতেমা আকতার নিজে গিয়ে মাদাম বিবিরহাটে বিভিন্ন ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে স্যানিটেশন লাইন্সেস আছে কিনা জানতে চান। এসময় যাদের লাইন্সেস নেই তাদেরকে ভ্রাম্যমান আদালতের ভয় দেখিয়ে টাকা দাবী করেন।

    তিনি বাজারের আজাদ স্টোর থেকে ৫০০ টাকা, ফুড কর্নার থেকে ৫০০ টাকা এবং আরেকটি মুদির দোকান থেকে ৭০০ টাকা আদায় করেন বিনা রশিদে।

    বিনা রশিদে টাকা নেওয়ার কারণ জানতে চাইলে তিনি ভ্রাম্যমান আদালতের ভয় দেখান ব্যাবসায়ীদের।

    সাজ্জাদ হোসেন নামে এক ব্যাবসায়ী বলেন, স্যানিটেশন অফিসার পরিচয় দিয়ে ফাতেমা আক্তার লাইন্সেস বানানোর নামে বিনা রশিদে আমাদের কাছে টাকা দাবী করেন, না দিলে ভ্রাম্যমান আদালতের ভয় দেখান।

    তিনি বলেন, বিষয়টি ভাটিয়ারী ইউপি চেয়ারম্যানকে জানালে ফাতেমা আক্তারকে ইউপি কার্যালয়ে ডেকে পাঠান। সেখানে চেয়ারম্যান নাজীম উদ্দিন এভাবে বিনা রসিদে ব্যাবসায়ীদের কাছ থেকে টাকা নেওয়ার কারণ জানতে চান ফাতেমার কাছে। ভুল হয়েছে উল্লেখ করে সেখানেই ফাতেমা আক্তার ক্ষমা চেয়ে তাৎক্ষনিক ভাবে টাকাগুলো ফেরত দেন।

    এ ব্যাপারে ইউপি চেয়ারম্যান নাজীম উদ্দিন বলেন, উপজেলা স্যানিটেশন অফিসার ফাতেম ব্যাবসায়ীদের কাছ থেকে টাকা নিচ্ছেন এমন সংবাদ পেয়ে তাকে আমার কার্যলয়ে ডেকে নিয়ে বিষয়টা জানতে চাইলে সে ক্ষমা চেয়ে টাকা ফেরত দেন।

    বিনা রশিদে লাইন্সেসের নামে টাকা নেওয়ার বিষয়ে মুঠো ফোনে জানতে চাইলে চট্টগ্রাম সিভিল সার্জন ডাক্তার আজিজুর রহমান সিদ্দিকী বলেন, এভাবে ব্যাবসায়ীদের কাছ থেকে টাকা নেওয়ার কোন নিয়ম নেই।

    তিনি বলেন, আগেও এধরণের ঘটনা ঘটেছে তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছিল। ব্যাবসায়ীরা একটি লিখিত অভিযোগ দিলে ফাতেমা আক্তারের বিরুদ্ধেও আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

    এ বিষয়ে বিস্তারিত তথ্য জানতে সীতাকুণ্ড উপজেলা স্যানিটেশন অফিসার ফাতেমা আক্তারের মুটো ফোনে কল করলে তা বন্ধ পাওয়া যায়।

    বিএম/কামরুল দুলু/রাজীব