সাবেক সাংসদ রানা জামিনে মুক্ত

    টাঙ্গাইলে আওয়ামী লীগ নেতা মুক্তিযোদ্ধা ফারুক আহমদ ও যুবলীগের দুই নেতা হত্যা মামলায় টাঙ্গাইল-৩ (ঘাটাইল) আসনের সাবেক সংসদ সদস্য আমানুর রহমান খান রানা জামিনে মুক্তি পেয়েছেন।

    মঙ্গলবার (৯ জুলাই) সকাল ৯টায় টাঙ্গাইল কারাগার থেকে মুক্তি পান তিনি।

    টাঙ্গাইল কারাগারের জেলার আবুল বাশার এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

    এর আগে গতকাল সোমবার দুই যুবলীগ নেতাকে হত্যার দায়ে করা মামলায় সাবেক এমপি রানার জামিন বহাল রাখেন আপিল বিভাগ। প্রধান বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেনের নেতৃত্বাধীন আপিল বিভাগ এ আদেশ দেন।

    এর ফলে রানার কারামুক্তিতে আইনগত বাধা ছিল না বলে গতকাল জানিয়েছেন তার আইনজীবীরা। এর আগে হাইকোর্ট এই মামলায় রানাকে জামিন দেন। ওই জামিন বহাল রাখেন আপিল বিভাগ। এছাড়াও মুক্তিযোদ্ধা ফারুক হত্যা মামলায়ও তিনি জামিন পান।

    হাইকোর্টের জামিননামা পাওয়ার পর মঙ্গলবার সকালে তাকে টাঙ্গাইল জেলা কারাগার থেকে জামিনে মুক্তি দেওয়া হয়।

    প্রসঙ্গত, টাঙ্গাইল সদর উপজেলার বাঘিল ইউনিয়ন যুবলীগের নেতা শামীম ও মামুন ২০১২ সালের ১৬ জুলাই তাদের বাড়ি থেকে মোটরসাইকেলযোগে টাঙ্গাইল শহরে এসে নিখোঁজ হন। ঘটনার পরদিন শামীমের মা আছিয়া খাতুন এ ব্যাপারে টাঙ্গাইল সদর থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি করেন। এক বছর পর ২০১৩ সালের ৯ জুলাই নিখোঁজ মামুনের বাবা টাঙ্গাইল আদালতে হত্যা মামলা দায়ের করেন। পরে তদন্ত করে পুলিশ ওই বছরের ২১ সেপ্টেম্বর মামলাটি তালিকাভুক্ত করে।

    এই মামলায় গ্রেপ্তার হওয়া শহরের বিশ্বাস বেতকা এলাকার খন্দকার জাহিদ, শাহাদত হোসেন এবং হিরণ মিয়া হত্যার সঙ্গে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করে আদালতে জবানবন্দি দেয়। জবানবন্দিতে তারা উল্লেখ করে এমপি আমানুর রহমান খান রানার নির্দেশে যুবলীগ নেতা শামীম ও মামুনকে হত্যা করে লাশ নদীতে ভাসিয়ে দেওয়া হয়েছিল।

    বিএম/এমআর