আজ প্রথম বিশ্বকাপ জয়ে ইংল্যান্ড-নিউজিল্যান্ড লড়াই

    রাউন্ড রবিন লিগের ৪৫টি ম্যাচ ও দুটি সেমিফাইনাল শেষে বিশ্বকাপ পৌঁছে গেছে লর্ডসে।

    রবিবার (১৪ জুলাই) ক্রিকেটের তীর্থস্থানে স্বাগতিক ইংল্যান্ড ও নিউজিল্যান্ড লড়বে নিজেদের প্রথম বিশ্বকাপ ঘরে তোলার লড়াইয়ে।

    দুই দলের কেউই এখনো কোনো বিশ্বকাপ জিতেনি। তাই অনেক অপেক্ষার এই ফাইনালে ক্রিকেট বিশ্ব পেতে যাচ্ছে নতুন এক বিশ্বচ্যাম্পিয়ন।

    কেনিংটন ওভালে দ্বাদশ বিশ্বকাপের ফাইনাল ম্যাচটি শুরু হবে বাংলাদেশ সময় দুপুর সাড়ে তিনটায়। দিনের আলোয় অনুষ্ঠিতব্য ম্যাচটি সরাসরি সম্প্রচারিত হবে বাংলাদেশ টেলিভিশন, গাজী টেলিভিশন, মাছরাঙা টেলিভিশন ও বিশ্বকাপের অফিসিয়াল ব্রডকাস্টার স্টার স্পোর্টস নেটওয়ার্কে। র‍্যাবিটহোল মোবাইল অ্যাপ ও ওয়েবসাইটের মাধ্যমে খেলা দেখা যাবে ইন্টারনেট ব্যবহারের মাধ্যমেও।

    ফাইনালের পিচ, আবহাওয়া, দুই দলের শক্তিমত্তা প্রভৃতি বিষয় নিয়ে আলোচনার অন্ত নেই আপাতত। তবে বিশ্বকাপের অন্যতম দাবিদার দুটি স্কোয়াডই যে ফাইনালে খেলছে, এ নিয়ে নেই কোনো সন্দেহ। নিউজিল্যান্ড ক্ষেত্রবিশেষে ভাগ্যের ছোঁয়া পেয়ে সুযোগ কাজে লাগিয়েছে যথার্থভাবে। আর ঘরের মাঠের সুবিধা কাজে লাগিয়ে ইংল্যান্ড দাপট দেখিয়েছে বেশিরভাগ ম্যাচেই, যদিও মাঝখানে হারিয়েছিল খেই।

    একনজরে দেখে নেওয়া যাক ফাইনালের বিভিন্ন বিষয়ের খুঁটিনাটি।

    হেড টু হেড
    এখন পর্যন্ত ইংল্যান্ড ও নিউজিল্যান্ড একে অপরের বিপক্ষে ৯০টি একদিনের ম্যাচে মুখোমুখি হয়েছে। জয়ের দিক থেকে নিউজিল্যান্ডের পাল্লাই ভারি, দলটি জিতেছে ৪৩টি ম্যাচে। খুব বেশি পিছিয়ে নেই ইংল্যান্ডও। ক্রিকেটের জনক দেশটি কিউইদের বিপক্ষে জিতেছে ৪১বার। অপ্রত্যাশিতভাবে ২টি ম্যাচ হয়েছে টাই!

    বিশ্বকাপে দুই দল পরস্পরের বিপক্ষে খেলেছে ৮টি ম্যাচ। তাতে নিউজিল্যান্ড জয় পেয়েছে ৫টি ম্যাচে এবং ৩টি ম্যাচে জয় পেয়েছে ইংল্যান্ড। লর্ডসে স্বাগতিক দল হিসেবে ইংল্যান্ড এগিয়ে থাকলেও পরিসংখ্যান তাই স্পষ্টভাবে নিউজিল্যান্ডকে এগিয়ে রাখছে।

    শক্তিমত্তা
    ইংল্যান্ডের মূল শক্তির জায়গা দলটির ব্যাটিং। বোলিংয়ের দিক থেকেও দলটি নিজেদের দিনে যেকোনো দলকে গুড়িয়ে দেওয়ার সামর্থ্য রাখে। নিউজিল্যান্ডের বোলিং বর্তমান বিশ্বের অন্যতম ধারাল আক্রমণ। তবে ব্যাটসম্যানদের রান-খরা দলটির দুশ্চিন্তার কারণ হয়ে উঠতে পারে।

    পিচ
    ফাইনালেও দেখা মিলবে ‘স্পোর্টিং উইকেট’ এর। যদিও একদিনের ম্যাচে লর্ডসে রানবন্যা দেখা গেছে খুব কমই। বিশ্বকাপ ফাইনালের রোমাঞ্চ যোগ হলে এবারো এর ব্যতিক্রম ঘটার সম্ভাবনা নেই। সেক্ষেত্রে পুরো আসরের মত হাই স্কোরিং ম্যাচের প্রত্যাশা না রাখাই শ্রেয়। টস হয়ে দাঁড়াতে পারে ম্যাচের বড় নিয়ামক। চলতি বিশ্বকাপে লর্ডসে অনুষ্ঠিত চারটি ম্যাচের সবকটিতেই যে জিতেছে প্রথমে ব্যাট করা দল!

    আবহাওয়া
    রৌদ্রজ্জ্বল আবহাওয়া সারাদিনই উষ্ণতা ছড়াবে- এমন পূর্বাভাস আবহাওয়া দপ্তরের। সেক্ষেত্রে আসরজুড়ে আলোচনার কেন্দ্রবিন্দু ছিল যে ‘বৃষ্টি’, তা এই ম্যাচে থাকবে ‘ব্রাত্য’। সেক্ষেত্রে দ্বাদশ বিশ্বকাপে চারটি পণ্ড হওয়া ম্যাচের দায়মুক্তি ঘটতে পারে একটু হলেও! অবশ্য ম্যাচ চালিয়ে যেতে কোনো বাধা আসলেও এই ম্যাচে থাকবে রিজার্ভ ডে, যার জন্য ব্যবহৃত হবে ১৫ জুলাই দিনটি

    একাদশ
    নিউজিল্যান্ডের ব্যাটিং অর্ডারের ৬ শীর্ষ ব্যাটসম্যানের ৩ জনই বাঁহাতি। মঈন আলীও নেই তেমন ভালো ফর্মে। তাই ফাইনালেও তাকে বাদ দিয়েই একাদশ সাজাতে পারে ইংল্যান্ড। সেক্ষেত্রে সেমিফাইনালে অস্ট্রেলিয়াকে উড়িয়ে দিয়েছিল স্বাগতিক দলের যে একাদশ, সেই একাদশই দেখা যেতে পারে লর্ডসের কাঙ্ক্ষিত ফাইনালে। নিউজিল্যান্ডের সেমিফাইনালের একাদশ থেকে ফাইনালের একাদশে আসতে পারে একটি পরিবর্তন। ফর্মহীনতায় ভোগা হেনরি নিকোলসের পরিবর্তে জায়গা পেতে পারেন কলিন মুনরো। যদিও তিনিও যে দারুণ ফর্মে আছেন- এমনটিও নয়!

    একনজরে দুই দলের সম্ভাব্য একাদশ-
    ইংল্যান্ড: জেসন রয়, জনি বেয়ারস্টো, জো রুট, ইয়ন মরগান (অধিনায়ক), বেন স্টোকস, জস বাটলার (উইকেটরক্ষক), ক্রিস ওকস, লিয়াম প্লাঙ্কেট, আদিল রশিদ, জফরা আর্চার, মার্ক উড।

    নিউজিল্যান্ড: মার্টিন গাপটিল, কলিন মুনরো, কেন উইলিয়ামসন (অধিনায়ক), রস টেলর, টম লাথাম (উইকেটরক্ষক), জেমস নিশাম, কলিন ডি গ্র্যান্ডহোম, মিচেল স্যান্টনার, ম্যাট হেনরি, ট্রেন্ট বোল্ট, লকি ফার্গুসন।

    বিএম/এমআর