চট্টগ্রামে রিং রোড প্রকল্পের নামে লুটপাট : বিচার বিভাগীয় তদন্তের দাবীতে মানববন্ধন

    চট্টগ্রাম মেইল : চট্টগ্রামের রিং রোড কাজে নানা অনিয়ম ও মেগা প্রকল্পের নামে মেগা লুটপাট হয়েছে মন্তব্য করে এ প্রকল্পের বিচার বিভাগীয় তদন্তের মাধ্যমে অবিলম্বে শাস্তি দাবী জানিয়েছেন চট্টগ্রাম তরুণ যুবসমাজ।

    আজ বুধবার (১৭ জুলাই) সকালে চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাবের সামনে সংগঠনের উদ্দ্যেগে আয়োজিত মানববন্ধনে বক্তারা এ দাবী জানান।

    মহানগর যুবলীগের যুবনেতা তাজ উদ্দীনের সভাপতিত্বে মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন আল মাসুদ চৌধুরী হিরু, মহানগর যুবলীগ নেতা ইকবাল হোসেন জুয়েল, ৮ নং শুুলকবহর ওয়ার্ড যুবলীগ নেতা সাইফুদ্দিন সাইফ, মনিরুল হক মনির, ছাত্র নেতা সাইদুল ইসলাম রাজু, মাসুদসহ সংগঠনের নেতৃবৃন্দরা।

    সরকারের বরাদ্ধের অপচয়ের বিরুদ্ধে সংশ্লিষ্ট সকলকে রুখে দাড়ানোর আহবান জানিয়ে বক্তারা বলেন, চট্টগ্রাম উন্নয়নের মেগা প্রকল্পগুলোর টেকসই বাস্তবায়নের নিশ্চয়তা চাই।

    মানববন্ধনে সংহতি জানিয়ে বিভিন্ন শ্রেনি পেশার মানুষ অংশগ্রহন করেন।

    উল্লেখ্য,

    জাপান আন্তর্জাতিক সহযোগিতা সংস্থা (জাইকা)২০০৫ সাল থেকে পতেঙ্গা হতে ফৌজদারহাট পর্যন্ত বেড়িবাঁধ কাম আউটার রিং রোড নির্মাণের জন্য সম্ভাব্যতা যাচাইয়ের কাজ শুরু হয়। যাচাই শেষে ২০০৭ সালে বাংলাদেশ সরকারের সঙ্গে চুক্তি করে জাইকা।

    ২০১৬ সালের জুলাইয়ে চার লেনের এ সড়কটির নির্মাণ কাজ শুরু হয়। আড়াই হাজার কোটি টাকার এ প্রকল্প বাস্তবায়ন করছে চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (সিডিএ)।

    উপকূলীয় বাঁধ কাম আউটার রিং রোড নির্মাণ নামে এ প্রকল্পের আওতায় ১৭ দশমিক ৩৫ কিলোমিটার সড়ক নির্মাণ হবে। এর মধ্যে ১৫ দশমিক ২০ কিলোমিটার মূল ও ২ দশমিক ১৫ কিলোমিটার সংযোগ সড়ক। এ ছাড়া প্রায় সাড়ে ৫ কিলোমিটার ওয়াকওয়ে তৈরি করা হবে।

    শুরুতে এ প্রকল্পের ব্যয় ধরা হয় ৮৬৫ কোটি ২৮ লাখ ৬০ হাজার টাকা। দুই বার সংশোধনের পর বর্তমানে ব্যয় ধরা হয়েছে ২ হাজার ৪২৬ কোটি ১৪ লাখ ৯৫ হাজার টাকা। এর মধ্যে বাংলাদেশ সরকার ১ হাজার ৭২০ কোটি ১১ লাখ ৮০ হাজার ও জাইকার সহায়তা ৭০৬ কোটি টাকা।

    ইতোমধ্যে প্রকল্পের বেশিরভাগ কাজ শেষ হয়েছে। ২০১৯ সালে এ প্রকল্পের কাজ শেষ হওয়ার কথা।

    বিএম/এমআর