বাকলিয়া উপ-নির্বাচন : দুই বাস বহিরাগত আটক

    চট্টগ্রাম মেইল : চট্টগ্রাম নগরীর কর্ণফুলি শাহ আমানত সেতুর উত্তর পাড় থেকে দুই বাসভর্তি বহিরাগতকে আটক করেছে পুলিশ।

    বৃহস্পতিবার সকাল পোণে ৮ টার সময় গোপন সূত্রে খবর পেয়ে বাকলিয়া থানা পুলিশের একটি টিম চেক পোস্ট বসিয়ে এসব বহিরাগতদের আটক করে।

    পুলিশ প্রাথমিক ভাবে নিশ্চিত হয়েছে উপজেলার পটিয়া ও চন্দনাইশ থেকে তাদেরকে আনা হয়েছে। চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের (চসিক) ১৭ নম্বর পশ্চিম বাকলিয়া ওয়ার্ড কাউন্সিলর পদে উপ-নির্বাচন শুরুর মাত্র ১৫ মিনিট আগেই তারা  আটক হয়।

    পুলিশের ধারণা নির্বাচনে প্রভাব খাটানো ও বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির জন্যই বাস ভর্তি করে এসব বহিরাগতদের আনা হয়েছে।

    আটককৃদের জিজ্ঞাসাদ করা হচ্ছে জানিয়ে বাকলিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. নেজাম উদ্দিন বলেন, ১৭ নং ওয়ার্ডের উপ নির্বাচনে যাতে কোন বিশৃঙ্খলা বা অপ্রীতিকর ঘটনা না ঘটে সেজন্য থাকার একাধিক সংখ্যক পুলিশ সদস্য নিরাপত্তার দায়িত্ব পালন করছেন।

    শহরে প্রবেশ করার বিষয়ে সদুত্তর দিতে না পারায় ৪৬ জনকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে এমন তথ্য নিশ্চিত করেছেন নগর পুলিশের অতিরিক্ত উপ-কমিশনার (দক্ষিণ) শাহ মো. আব্দুর রউফ।

    তবে স্থানীয় অনেকে অভিযোগ করে বলেন, জোর করে ভোট কেন্দ্র দখলে নিতে ও নির্বাচনী কেন্দ্রে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করতে দক্ষিণ চট্টগ্রামের বিভিন্ন উপজেলা থেকে টাকার বিনিময়ে বাসভর্তি করে এসব বহিরাগতদের নগরে নিয়ে আসা হয়। তারা জানিয়েছে এসব বহিরাগতরা আওয়ামী লীগের যুগ্ম-সম্পাদক ও কাউন্সিলর প্রার্থী মাসুদ করিম টিটুর হয়ে কাজ করার জন্য নগরে আসছিলেন।

    আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তা ও রিটানিং কর্মকর্তা মুহাম্মদ হাসানুজ্জামান জানান, বৃহস্পতিবার সকাল ৮টা থেকে শুরু হয়েছে চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের ১৭ নম্বর পশ্চিম বাকলিয়া ওয়ার্ডে উপ-নির্বাচনের ভোটগ্রহণ। চলবে বিকেল ৪টা পর্যন্ত।

    ভোটাররা যাতে সহজে ভোট দিতে পারে তারজন্য নির্বাচন কমিশনের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিনে (ইভিএম) এ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হচ্ছে।

    তিনি বলেন,এ ওয়ার্ডে মোট ১৭টি ভোটকেন্দ্রের ২২৪টি কক্ষে চলছে ভোটগ্রহন।মোট ৪৯ হাজার ৮শ ২৫ জন ভোটার তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করবে। এর মধ্যে ২৬ হাজার ৭৭ জন নারী এবং ২৩ হাজার ৭শ ৪৮ জন পুরুষ রয়েছে।

    নির্বাচন অফিস সুত্র জানায়, গত ১৭ ই এপ্রিল বাকলিয়া-১৭ নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর এ কে এম জাফরুল হক ইন্তেকাল করলে গত ১২ জুন ওই ওয়ার্ডে কাউন্সিলর পদটি শূন্য ঘোষণা করে স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়। ২৫ জুলাই ভোটগ্রহনের দিন ধার্য করা হয়।

    এর পর থেকেই ওই ওয়ার্ডে কাউন্সিলর পদে প্রতিদ্বন্ধিতা করার লক্ষ্যে আওয়ামী লীগ নেতাদের মধ্যে শুরু হয়ে যায় দৌড়ঝাপ। সিনিয়র নেতাদের মতভেদের কারণে একক প্রার্থী নির্ধারণের প্রক্রিয়া ভেস্তে যাওয়ায় শেষ পর্যন্ত আওয়ামী লীগের ৫ প্রার্থীই এখন নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছে অন্যদিকে বিএনপি থেকে নির্বাচনে আছে একক প্রার্থী।

    বিএম/রাজীব/