আসামের চূড়ান্ত নাগরিকপঞ্জি প্রকাশ, ১৯ লাখ মানুষ বাদ

    ভারতের উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় রাজ্য আসামের চূড়ান্ত ন্যাশনাল রেজিস্টার অব সিটিজেন্স (এনআরসি) বা নাগরিকপঞ্জি প্রকাশ করা হয়েছে। এ তালিকা থেকে ১৯ লাখ মানুষ বাদ পড়েছেন।

    শনিবার (৩১ আগস্ট) স্থানীয় সময় সকাল ১০টার দিকে তালিকাটি প্রকাশ করা হয়।

    তালিকা থেকে যারা বাদ পড়েছেন, তারা আপিল করতে পারবেন। ফরেনার্স ট্রাইব্যুনালে ৬০ থেকে ১২০ দিনের মধ্যে তাদেরকে এ আবেদন করতে হবে।

    ভারতের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, আপিল আবেদনের শুনানির জন্য রাজ্যে অন্তত এক হাজার ট্রাইবুনাল গঠন করা হবে। ইতোমধ্যে ১০০ ট্রাইবুনাল গঠন করা হয়েছে এবং সেপ্টেম্বরের প্রথম সপ্তাহ নাগাদ আরো দুই শতাধিক গঠন করা হবে।

    ট্রাইবুনালে হেরে গেলে যে কেউ হাই কোর্ট ও সুপ্রিম কোর্টে যেতে পারবেন।

    বিবিসি জানিয়েছে, ১৯৫১ সালে আসামের নাগরিকপঞ্জির প্রথম তালিকাটি প্রকাশিত হয়। ১৯৭১ সালে বাংলাদেশে ও পাকিস্তানের মধ্যে যুদ্ধ শুরু হলে লক্ষ লক্ষ মানুষ পালিয়ে ভারতে চলে যায়। এদের একাংশ আসামে আশ্রয় নেয়। অল আসাম স্টুডেন্টস ইউনিয়ন (আসু) ১৯৭৯ সালে অবৈধ অভিবাসীদের বিরুদ্ধে আন্দোলন শুরু করে। ১৯৮৩ সালে এই আন্দোলন সহিংস রূপ নেয়। ওই সময় দুই হাজার সন্দেহভাজন অবৈধ অভিবাসী নিহত হয়, যাদের বেশিরভাগই ছিলো মুসলমান।
    ২০০৯ সালে ভারতের সুপ্রিম কোর্টে নাগরিকপঞ্জি হালনাগাদের জন্য একটি পিটিশন দায়ের করা হয়। আদালতের নির্দেশে প্রেক্ষিতে ২০১৭ সালের ডিসেম্বরে প্রথম খসড়া তালিকা প্রকাশ করা হয়। খসড়ার দ্বিতীয় তালিকাটি প্রকাশিত হয় ২০১৮ সালের ৩০ জুলাই।

    এদিকে, চূড়ান্ত নাগরিকত্ব তালিকা ঘোষণা ঘিরে বাংলাদেশের সীমান্তবর্তী উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় আসাম রাজ্যজুড়ে কয়েক হাজার আধা-সামরিক বাহিনী এবং পুলিশ মোতায়েন করে নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে। জারি রয়েছে ১৪৪ ধারা। থমথমে পরিস্থিতি। একসঙ্গে চারজনের বেশি জটলায় রয়েছে নিষেধাজ্ঞা৷

    বিএম/এমআর