একটি উড়োজাহাজ বিকল: দুর্ভোগে হজযাত্রীরা, বিঘ্ন ফ্লাইট সিডিউল

    বিমানের ইঞ্জিন বিকল

    বিকল হয়ে পড়েছে বিমানের একটি বড় উড়োজাহাজ। বোয়িং-৭৭৭-৩০০ ইআর মডেলের এই উড়োজাহাজের দুটি ইঞ্জিনে যান্ত্রিক ত্রুটি দেখা দেয়ায় উড়োজাহাজটি বিকল হয়ে পড়ে।

    এই উড়োজাহাজটি দিয়ে বিমানের ফিরতি হজের সিডিউল ফ্লাইট চালানো হচ্ছিল। হঠাৎ উড়োজাহাজটির দুটি ইঞ্জিন বিকল হয়ে পড়ায় হজযাত্রী পরিবহনে বড় ধরনের সংকট তৈরি হয়েছে।

    এর প্রভাব পড়েছে অন্যান্য রুটের সিডিউল ফ্লাইটেও। এ অবস্থায় রোববার থেকে বিমানের বিভিন্ন রুটে ফ্লাইট সিডিউলে বিঘ্ন দেখা দিয়েছে।

    বিমানের প্রকৌশল শাখা সূত্রে জানা গেছে, বিকল হওয়া উড়োজাহাজটি সচল হতে আরও কয়েকদিন লাগতে পারে।

    এ কারণে ছোট উড়োজাহাজ দিয়ে ফিরতি হজ ফ্লাইট পরিবহন করতে হচ্ছে। চলতি বছর হজযাত্রীদের পরিবহনে বিমান নিজস্ব চারটি বোয়িং ৭৭৭-৩০০ইআর উড়োজাহাজ ব্যবহার করছে। প্রতিটি ফ্লাইট ৪১৯ যাত্রী পরিবহনে সক্ষম। এই অবস্থায় নির্ধারিত ফ্লাইটে ফিরতে না পেরে অনেকে দুর্ভোগে পড়ছেন।

    এ প্রসঙ্গে বিমানের উপ-মহাব্যবস্থাপক (জনসংযোগ) তাহেরা খন্দকার বলেন, ‘একটি উড়োজাহাজের যান্ত্রিক ত্রুটির কারণে বেশ কিছুসংখ্যক হাজীকে সময়মতো ঢাকায় ফেরত আনা সম্ভব হচ্ছে না।

    তিনি বলেন, বিমান তার নিজস্ব ব্যবস্থাপনায় এবং নিজ খরচে হাজীদের প্রয়োজনীয় সব সহযোগিতা প্রদান করে দ্রুত ঢাকায় আনার ব্যবস্থা করছে। হাজীদের আত্মীয়-স্বজনকে উদ্বিগ্ন না হতে বিশেষভাবে অনুরোধ করছে। সাময়িক এ অসুবিধার জন্য বিমান আন্তরিকভাবে সংশ্লিষ্ট সবার কাছে ক্ষমাপ্রার্থী।’ তবে বিমানটি কবে নাগাদ ঠিক হবে তা জানাতে পারেননি তাহেরা খন্দকার। যার আসতে পারছেন না তাদের কী প্রক্রিয়ায় ফেরত আনা হবে তাও তিনি জানাতে পারেননি।

    ১৭ আগস্ট থেকে হাজীদের ফিরতি ফ্লাইট শুরু হয়েছে, চলবে ১৫ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত। হজ অফিস জানিয়েছে, ২৪ আগস্ট পর্যন্ত ৯৬টি ফিরতি ফ্লাইটে ৩৪,৯৯২ জন দেশে ফিরেছেন। এর মধ্যে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স পরিচালনা করেছে ৪১টি, সৌদি এয়ারলাইন্স ৫৫টি ফ্লাইট পরিচালনা করেছে।

    বিএম/এমআর