এমপি না হয়েও শুল্কমুক্ত গাড়ি আমদানির সুবিধা পেলেন সাবেক অর্থমন্ত্রী

    সংসদ সদস্য না হয়েও শুল্কমুক্ত গাড়ি আমদানির সুবিধা নিলেন সাবেক অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত।

    তিনটি শর্তে সাবেক এই অর্থমন্ত্রীর আমদানি করা টয়োটা ল্যান্ড ক্রুজার জিপের শুল্ক কর আরোপ থেকে অব্যাহতি দিয়েছে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর)।

    গতকাল সোমবার এনবিআর থেকে এ সংক্রান্ত একটি বিশেষ আদেশ জারি করা হয়েছে।

    এনবিআর জানিয়েছে, আবুল মাল আবদুল মুহিত দশম জাতীয় সংসদের সংসদ সদস্য ও অর্থমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালন করলেও ১১তম জাতীয় সংসদে আর নির্বাচন করেননি। সেজন্য তিনি শুল্কমুক্ত গাড়ি আমদানির সুবিধা প্রাপ্য না হলেও বাস্তবিক অবস্থার নিরিখে তাকে সংসদ সদস্যের মতোই শুল্কমুক্ত গাড়ি আমদানির সুবিধা দেওয়ার বিষয়টি যথাযথ কর্তৃপক্ষ কর্তৃক অনুমোদিত হয়েছে।

    এনবিআর আরও জানিয়েছে, দ্য কাস্টমস অ্যাক্ট ১৯৬৯ এর সেকশন ২০ এবং মূল্য সংযোজন কর ও সম্পূরক শুল্ক আইন ২০১২ এর ধারা ১২৬(১) এর প্রদত্ত ক্ষমতাবলে আমদানি করা গাড়িটি খালাসের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য সমুদয় আমদানি শুল্ক, মূল্য সংযোজন কর ও সম্পূরক শুল্ক হইতে তিনটি শর্তে অব্যাহতি দেওয়া হলো।

    এক. আমদানি করা গাড়ি আমদানির পরবর্তী পাঁচ বছরের মধ্যে অন্যত্র হস্তান্তর বা বিক্রি করা যাবে না। তবে শর্ত থাকে যে গাড়ি আমদানির পর পাঁচ বছর পার হওয়ার আগে উক্ত গাড়ি হস্তান্তর বা বিক্রি করতে হলে হস্তান্তর বা বিক্রির আগে অব্যাহতি প্রাপ্ত সমুদয় শুল্ক কর সংশ্লিষ্ট শুল্ক ভবনের কমিশনারের কাছে পরিশোধ করতে হবে।

    দুই. গাড়ির রেজিস্ট্রেশন হস্তান্তর বা বিক্রির ক্ষেত্রে এনবিআরের কাছ থেকে আগে সম্মতি নিতে হবে।

    তিন. গাড়ি আমদানির তারিখের পরবর্তী পাঁচ বছরের মধ্যে আমদানিকারক মারা গেলে তাহার উত্তরাধিকাররা কোনোরূপ শুল্ক কর পরিশোধ করতে হবে না। তবে শর্ত থাকে যে আমদানিকৃত গাড়ির মূল্য আমদানিকারকের উত্তরাধিকারীর নামে নাম পরিবর্তন ছাড়া অন্য কারও নামে হস্তান্তর বা বিক্রি করতে হলে এই প্রজ্ঞাপনের অধীনে অব্যাহতি প্রাপ্ত সমুদয় শুল্ক কর উক্ত গাড়ি হস্তান্তর বা বিক্রির আগে সংশ্লিষ্ট শুল্ক ভবনের কমিশনারের কাছে পরিশোধ করতে হবে।

    এনবিআর বলেছে, সাবেক অর্থমন্ত্রীর আমদানি করা একটি টয়োটা ল্যান্ড ক্রুজার স্টেশন ওয়াগন জিপ শুল্কমুক্ত সুবিধায় ছাড়করণের লক্ষ্যে জাতীয় সংসদ সচিবালয়ের সুপারিশ অভ্যন্তরীণ সম্পদ বিভাগের মাধ্যমে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডে পাঠানো হয়েছে বলে জানিয়েছেন তারা।

    বিএম