খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম মন্ত্রিপরিষদ সচিব হচ্ছেন

    মন্ত্রিপরিষদ সচিব মোহাম্মদ শফিউল আলম বিশ্বব্যাংকের বিকল্প নির্বাহী পরিচালকের দায়িত্বে আগামী তিন বছরের জন্য নিয়োগ পাচ্ছেন বলে জানিয়েছেন অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল।

    বুধবার সচিবালয়ের মন্ত্রিপরিষদ কক্ষে সরকারি ক্রয়-সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির বৈঠক শেষে তিনি সাংবদিকদের এ কথা বলেন।

    পরবর্তী মন্ত্রীপরিষদ সচিব কে হচ্ছেন এ প্রশ্নের জবাবে অর্থমন্ত্রী বলেন, সেতু বিভাগের সিনিয়র সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম ক্যাবিনেট সচিব হিসেবে নিয়োগ পেতে যাচ্ছেন।আনোয়ারুল ইসলাম হবেন দেশের ২২তম মন্ত্রিপরিষদ সচিব। তিনি মোহাম্মদ শফিউল আলমের স্থলাভিষিক্ত হচ্ছেন। চাকরির মেয়াদ শেষে এক বছরের চুক্তিতে মন্ত্রিপরিষদ সচিবের দায়িত্ব পালন করছেন শফিউল আলম।

    বিষয়টি নিশ্চিত করে অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল বলেন, আগামী ১ সেপ্টেম্বর থেকে তিনি যোগদান করতে পারেন বলে জানা গেছে।

    খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম
    ২০১৭ সালের ১৩ জুলাই সেতু বিভাগে সিনিয়র সচিব হিসেবে পদোন্নতি পান খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম। এর আগে খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম মন্ত্রিপরিষদ বিভাগে অতিরিক্ত সচিব হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। খন্দকার আনোয়ারুল ২০১১ সালের ১৩ নভেম্বর সেতু বিভাগের ভারপ্রাপ্ত সচিব হিসেবে যোগদান করেন এবং ২০১৩ সালের ৩১ জানুয়ারি সচিব পদে পদোন্নতি পান। তিনি পদাধিকার বলে বাংলাদেশ সেতু কর্তৃপক্ষের নির্বাহী পরিচালক।

    ১৯৮৩ সালে বাংলাদেশ সিভিল সার্ভিসে যোগ দেন খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম। তিনি নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট, উপজেলা নির্বাহী অফিসার, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক, ভারপ্রাপ্ত জেলা প্রশাসক হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেছেন।

    তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজ কল্যাণ বিভাগ হতে অনার্স এবং মাস্টার্স ডিগ্রি অর্জন করেন। ডেভলপমেন্ট প্ল্যানিংয়ের উপরে তার একটি পোস্ট গ্রাজুয়েট ডিপ্লোমাও রয়েছে।

    তিনি প্রজেক্ট ম্যানেজমেন্ট, এইচডি স্কিল ফর ফাঙ্খশনাল ম্যানেজ, প্রাইভেট সেক্টর সিড ম্যানেজমেন্ট ইত্যাদি বৈদেশিক প্রশিক্ষণ কোর্স সফলতার সাথে সম্পন্ন করেন। তার স্ত্রী বেগম কামরুন নাহার প্রধান তথ্য কর্মকর্তা হিসেবে কর্মরত। পারিবারিক জীবনে তিনি দুই পুত্র সন্তানের জনক।

    মন্ত্রিপরিষদ সচিব শফিউল আলম
    মোহাম্মদ শফিউল আলম ১৯৫৯ সালে কক্সবাজার জেলায় জন্মগ্রহণ করেন। তিনি চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ১৯৮১ সালে ইংরেজিতে এমএ ও ১৯৯০ সালে এলএলবি ডিগ্রি এবং পরবর্তীতে যুক্তরাজ্যের বার্মিংহাম বিশ্ববিদ্যালয় থেকে উন্নয়ন প্রশাসন বিষয়ে এমএসএস ডিগ্রি অর্জন করেন।

    তিনি বাংলাদেশ সিভিল সার্ভিস ১৯৮২ নিয়মিত ব্যাচের একজন সদস্য এবং বিগত ৩৫ বছর ধরে মাঠ প্রশাসনের গুরুত্বপূর্ণ পদসহ বাংলাদেশ সরকারের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ পদে, যথা-মাগুরা ও ময়মনসিংহ জেলার জেলা প্রশাসক, বাংলাদেশ লোকপ্রশাসন প্রশিক্ষণ কেন্দ্রের (বিপিএটিসি), জাতীয় গৃহায়ন কর্তৃপক্ষের এবং বাংলাদেশ বনশিল্প উন্নয়ন কর্পোরেশনের চেয়ারম্যান, রাজশাহীর বিভাগীয় কমিশনার, যোগাযোগ মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব, রাষ্ট্রপতির কার্যালয়ের সচিব, ভূমি আপিল বোর্ডের চেয়ারম্যান (সচিব) এবং ভূমি মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। ২০১৫ সালের ২৯ অক্টোবর থেকে তিনি মন্ত্রিপরিষদ সচিব হিসেবে কর্মরত।

    বিএম/এমআর