পাসপোর্টে আঙ্গুলের ছাপ দিতে গিয়ে ফেসে গেল রোহিঙ্গা যুবক

    চট্টগ্রাম মেইল : বিদেশ যাওয়ার লক্ষ্যে পাসপোর্ট আবেদনে বাবা-মার নাম ভুল লিখেও সকল ডাটাবেইজ কাজ সুক্ষভাবে সম্পন্ন করলেও আঙ্গুলের ছাপ দিতে গিয়ে ধরা পড়েছে রোহিঙ্গা যুবক মো. ফয়সাল (১৯)।

    যিনি আবেদন ফরমে পিতার নাম মোহাম্মদ নাসিম ও মাতার নাম শমজিদা বেগম উল্লেখ করে চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ড উপজেলার জঙ্গল লতিফপুরের ঠিকানা ব্যবহার করেছিল পাসপোর্ট আবেদনে।

    বুধবার নগরীর মনসুরাবাদে চট্টগ্রাম বিভাগীয় পাসপোর্ট ও ভিসা অফিসে গিয়ে আটকে যায় ফয়সাল। বাংলাদেশি পাসপোর্টের জন্য আবেদন করার পর ইমিগ্রেশন ও পাসপোর্ট অদিদপ্তর কর্তৃক সরবরাহকৃত রোহিঙ্গাদের ফিঙ্গার প্রিন্টের সংরক্ষিত ডেটাবেইজের আঙুলের ছাপ মিলে গেলে তাকে আটক করা হয়।

    বিভাগীয় পাসপোর্ট ও ভিসা অফিসের পরিচালক আবু সাইদ এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, সম্প্রতি যুক্ত হওয়া পাসপোর্ট আবেদনে নতুন করে আঙুলের ছাপ নেওয়ার যে প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে তাতে ধরা পড়ছে ভুল তথ্য দিয়ে আবেদন করা অনেক পাসপোর্ট প্রত্যাশী। বুধবার ফয়সাল নামে এক যুবক এ প্রক্রিয়ায় আঙ্গুলের ছাপ দিতে এসে ফেঁসে যায়। সন্দেহ হলে তাকে জিজ্ঞাসাবাদে সে মায়ানমারের নাগরিক বর্তমানে রোহিঙ্গা শরনার্থী বলে স্বীকার করে নেন।

    তিনি বলেন, তার কাছ থেকে মিয়ানমারের নাগরিকত্বের একটি নিবন্ধন কার্ড (১৮৮২০১৯০৫০২১১১৫১১) পাওয়া যায়। এতে ফয়সালের বাবার নাম সোনা মিয়া এবং মায়ের নাম আনোয়ারা বেগম।

    এ বিষয়ে রোহিঙ্গা যুবক ফয়সাল জানায়, চার বছর বয়সে বাবা-মার সাথে বাংলাদেশে এসে উখিয়ার বালুখালী শরনার্থী শিবিরে আশ্রয় নিয়েছিলো। তবে পরবর্তীতে সে বান্দরবানের সীমান্তবর্তী উপজেলা নাইক্ষ্যংছড়িতে দীর্ঘদিন বসবাস করেছে। সম্প্রতি বিদেশ যাওয়ার লক্ষ্যে সে তার ঠিকানা ও বাবা মায়ের নাম পরিচয়সহ ভুল তথ্য দিয়ে পাসপোর্টেরন জন্য আবেদন করেছে।

    তার স্বীকারোক্তি নিয়ে ফয়সালকে নগরীর ডবলমুরিং থানা পুলিশের কাছে সোপর্দ করা হয়েছে বলে জানান আবু সাইদ।

    বিএম/আরএসপি..