পুলিশি হেফাজতে গণধর্ষণ: তিন সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন

    খুলনা রেলওয়ে থানার (জিআরপি) ভেতরে নারীকে আটকে রেখে রাতভর গণধর্ষণের অভিযোগ ওঠা পাঁচ পুলিশ সদস্যের বিরুদ্ধে অনুসন্ধানে নেমেছে পুলিশ সদর দপ্তর।

    পুলিশ সুপার পদমর্যাদার একজন নারী পুলিশ কর্মকর্তার নেতৃত্বে তিন সদস্য বিশিষ্ট এই কমিটি গঠন করা হয়েছে।

    মঙ্গলবার (৬ আগস্ট) পুলিশ সদর দপ্তর থেকে গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিজ্ঞপ্তিতে এই তথ্য জানানো হয়।

    বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, রেলওয়ে পুলিশ খুলনার পাঁচ পুলিশ সদস্যর বিরুদ্ধে করা এক নারী আসামিকে ধর্ষণের অভিযোগ সংক্রান্ত সংবাদ বিভিন্ন গণমাধ্যমে প্রকাশিত হয়েছে, যা পুলিশ হেড কোয়ার্টার্সের নজরে এসেছে। অভিযোগটি গুরুত্বের সঙ্গে বিবেচনা করে এ বিষয়ে অনুসন্ধান করে তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের জন্য পুলিশ সুপার পদমর্যাদার একজন নারী পুলিশ কর্মকর্তার নেতৃত্বে তিন সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। তদন্ত কমিটিকে সাত কার্যদিবসের মধ্যে তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল করতে বলা হয়েছে।

    গত ২ আগস্ট সন্ধ্যায় বেনাপোল থেকে খুলনাগামী কমিউটার ট্রেনের এক কামরা থেকে পাঁচ বোতল ফেন্সিডিলসহ এক নারীকে আটক করে রেলওয়ে পুলিশের উপপরিদর্শক লতিকা বিশ্বাস। পরে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে মামলা দেওয়ার পর তাকে থানায় পুলিশি হেফাজতে রাখা হয়। এরপর রাতে থানার ভেতরেই থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাসহ (ওসি) পাঁচজন ওই নারীকে ধর্ষণ করেন বলে পরদিন আদালতে বিচারকের সামনে তুলে ধরেন তিনি। এরপর আদালতের বিচারক জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট তার ডাক্তারি পরীক্ষার নির্দেশ দেন।

    বিএম/এমআর