বিএনপি স্থায়ী কমিটির সদস্য ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদের বিরুদ্ধে দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) দায়ের করা এক মামলার কার্যক্রম স্থগিত চেয়ে আপিল বিভাগের আদেশ পুনর্বিবেচনা (রিভিউ) চেয়ে করা আবেদন খারিজ করে দিয়েছেন সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগ।
ফলে এ মামলায় বিচারিক আদালতে সাক্ষ্য নেয়া চলমান থাকবে বলে জানিয়েছেন দুদকের আইনজীবী।
রবিবার (২৫ আগস্ট) প্রধান বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেনের নেতৃত্বে আপিল বিভাগের ছয় সদস্যের বেঞ্চ এ আদেশ দেন।
জ্ঞাত আয়বহির্ভূত ৭ কোটি ৩৮ লাখ ৪৮ হাজার ২৮৭ টাকার সম্পদ অর্জন এবং ৪ কোটি ৪০ লাখ ৩৭ হাজার ৩৭৫ টাকার তথ্য গোপনের অভিযোগে মওদুদ আহমদের বিরুদ্ধে ২০০৭ সালের ১৬ সেপ্টেম্বর গুলশান থানায় মামলা করে দুদক।
মামলায় গত বছরের ২১ জুন মওদুদ আহমদের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করা হয়। দুদকের আইনজীবী জানান, ইতোমধ্যে ৪৫টি সাক্ষীর সাক্ষ্য নেয়া হয়েছে।
আদালতে এদিন দুদকের পক্ষে শুনানিতে ছিলেন আইনজীবী খুরশীদ আলম খান। ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ নিজেই তার পক্ষে শুনানি করেন। পরে আইনজীবী খুরশীদ আলম খান জানান, এ মামলা ঢাকার একটি আদালতে সাক্ষ্যগ্রহণ পর্যায়ে রয়েছে। অনেকগুলো সাক্ষীর সাক্ষ্যগ্রহণও হয়ে গেছে।
তিনি জানান, গত ৩১ মার্চ মওদুদ আহমদের একটি পিটিশনের অনুলিপি পেয়েছি। যেখানে তিনি বলছেন, হাইকোর্টে তার ট্যাক্স বিষয়ে মামলা আছে। সেগুলো নিষ্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত এ মামলার কার্যক্রম বন্ধ রাখতে বলেছেন।
গত ৪ মার্চ বিচারিক আদালত এ আবেদন নাকচ করলে তিনি হাইকোর্টে আবেদন করেন। পরে ৮ এপ্রিল আবেদনটি সরাসরি খারিজ করে দেন হাইকোর্ট।
এর বিরুদ্ধে তিনি আপিল বিভাগের চেম্বার আদালতে আবেদন করেন। আপিল বিভাগের চেম্বার আদালত কোনো স্থগিতাদেশ না দিয়ে পূর্ণাঙ্গ বেঞ্চে শুনানির জন্য পাঠিয়ে দেন।
১৪ মে প্রধান বিচারপতির নেতৃত্বাধীন আপিল বিভাগ মওদুদ আহমদের লিভ টু আপিল আবেদন খারিজ করে দেন। তার আইনজীবীর আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে হাইকোর্টে থাকা তার ট্যাক্সবিষয়ক রিট মামলাগুলো নিষ্পত্তি করতে আদেশ দেন আপিল বিভাগ। ১৪ মের ওই আদেশ পুনর্বিবেচনা (রিভিউ) চেয়ে আবেদন করেন মওদুদ আহমদ। যেটি রবিবার (২৫ আগস্ট) খারিজ হয়ে যায়।
বিএম/এমআর
