রংপুরে স্কুলছাত্রকে চলন্ত গাড়ির নিচে ফেলে হত্যা

    রংপুর মহানগরীর ১৭নং ওয়ার্ডের টেক্সটাইল মোড় এলাকায় আব্দুর রশীদ (১১) নামে পঞ্চম শ্রেণি পড়ুয়া এক ছাত্রকে কুপিয়ে আহত করে চলন্ত গাড়ির নিচে ফেলে হত্যা করেছে দুবৃর্ত্তরা।

    বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে ৯টার দিকে এ ঘটনা ঘটেছে। পুলিশ নিহতের লাশ উদ্ধার করে রংপুর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠিয়েছে।

    পুলিশ ও নিহতের স্বজন সূত্রে জানা গেছে, আব্দুর রশীদ রংপুর মহানগরীর ১৮নং ওয়ার্ডের সাতগাড়া মিস্ত্রিপাড়া এলাকার শহিদার রহমানের ছেলে।

    কয়েকদিন আগে রশিদের বড় ভাই মোহনের (৩০) কাছে ৫০০ টাকা দাবি করে এলাকার চিহ্নিত সন্ত্রাসী মোজাফফর হোসেন। তিনি টাকা না দেওয়ায় তাকে মারধর করে সন্ত্রাসী মোজাফফর।

    এ ঘটনার বিচার দাবি করে মোজাফফরের বাবা কামালের কাছে অভিযোগ করেন রশীদের বড় ভাই মোহন। এ ঘটনায় ক্ষিপ্ত হয়ে তাদের দেখে নেওয়ার হুমকি দেয় মোজাফফর।

    গত বৃহস্পতিবার রাতে রশীদ টেক্সটাইল মোড়ে বাজার করে বাড়ি ফেরছিলো। পথে সন্ত্রাসী মোজাফফর ও তার সহযোগীরা রশীদকে আটক করে লাঠি দিয়ে পেটায় ও ছোরা দিয়ে কুপিয়ে আহত করে। এক পর্যায়ে রংপুর-ঢাকা মহাসড়কে রশীদকে চলন্ত একটি গাড়ির নিচে ফেলে দেয়।

    এতে ঘটনাস্থলেই মারা যায় রশীদ। পরে এলাকাবাসীর সহায়তায় পুলিশ লাশ উদ্ধার করে রংপুর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের মর্গে প্রেরণ করেন।

    নিহত রশীদের বড় ভাই মোহন অভিযোগ করেন, ‘মোজাফফর এলাকার একজন কূখ্যাত সন্ত্রাসী। সে যার তার কাছে টাকা দাবি করে, জোর করে টাকা কেড়ে নেয়। স্কুল-কলেজের মেয়েদের ওড়না ধরে টান দেয়। তার প্রতিবাদ করলেই দলবল নিয়ে হামলা চালায়। আমার কাছে কোনো টাকা পায় না। সে আমার কাছে টাকা চেয়েছে, আমি টাকা দেইনি এবং তার বাবার কাছে বিচার দিয়েছি। এ কারণে সে আমার ছোট ভাইকে এভাবে হত্যা করেছে।’

    রংপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের কোতয়ালী থানার ওসি আব্দুর রশীদ জানান, ঘটনাস্থল পরিদর্শণ করে তিনি প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেবেন। কোতয়ালী থানার এসআই রফিক জানান, লাশ ময়না তদন্তের পর স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করা হবে।

    বিএম/এমআর