শোক দিবসে আওয়ামী লীগের দুই গ্রুপের মারামারি, পুলিশসহ আহত ২২

    নীলফামারীর জলঢাকা উপজেলায় জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৪৪তম শাহাদাতবার্ষিকী ও জাতীয় শোক দিবসের সমাবেশ করাকে কেন্দ্র করে আওয়ামী লীগের দু’গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে।

    বৃহস্পতিবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে এ ঘটনার সময় ধাওয়া-পাল্টাধাওয়া ও ইটপাটকেলে সাবেক সংসদ সদস্য, ৫ পুলিশ সদস্যসহ উভয় গ্রুপের ২২ জন আহত হয়েছেন। আহতদের স্থানীয় বিভিন্ন স্বাস্থ্যকেন্দ্রে চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে।

    এ ঘটনায় আহত হন নীলফামারী-৩ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সহ সভাপতি গোলাম মোস্তফা, উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সভাপতি আব্দুল মান্নান, জলঢাকা থানার এসআই মামুনুর রশীদ, একই থানার কনস্টেবল মেহেদী হাসান, রুবেল হোসেন, নাছির উদ্দিন, সাইফুল ইসলাম, পথচারী শাহিনুর রহমান, দুলাল হোসেন, সাংবাদিক সেফাউল ইসলামসহ ২২ জন।

    স্থানীয়রা জানান, দীর্ঘদিন ধরে জলঢাকা উপজেলা আওয়ামী লীগের মধ্যে দুইটি গ্রুপ পৃথকভাবে ১৫ আগস্টে জাতীয় শোক দিবস পালন করে আসছিল। বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে ১১টার দিকে সাবেক সংসদ সদস্য গোলাম মোস্তফার নেতৃত্বে একটি গ্রুপ পৃথকভাবে শোক র‌্যালি শেষে উপজেলার জিরো পয়েন্টে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে পুষ্পমাল্য অর্পণ শেষে সেখানে সমাবেশ করছিল। এ সময় উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আনছার আলীর মিন্টুর নেতৃত্বে শোক র‌্যালি উক্ত সমাবেশ স্থলে এসে বক্তব্যরত আব্দুল মান্নানকে ধাক্কা দিয়ে ফেলে দিয়ে কিল-ঘুষি মারতে থাকে। তাকে উদ্ধার করতে গিয়ে উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আনছার আলীর হাতে লাঞ্ছিত হন সাবেক সংসদ সদস্য গোলাম মোস্তফা। এ সময় হামলাকারীরা সমাবেশের চেয়ার টেবিল ভাংচুর করতে থাকে। এতে উভয়পক্ষের মধ্যে ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া ও ইটপাটকেল নিক্ষেপের ঘটনা ঘটে।

    এ বিষয়ে গোলাম মোস্তফা ও আনসার আলী মিন্টু একই অভিযোগ করে বলেন, জামায়াত-শিবিরসহ লাঠিসোটা নিয়ে আমাদের ওপর অতর্কিত হামলা চালানো হয়। আমরা এ ঘটনায় মামলা দায়ের করবো।

    অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সার্কেল) রুহুল আমিনের নেতৃত্বে জেলা থেকে অতিরিক্ত পুলিশ গিয়ে ১৩ রাউন্ড টিয়ালসেল ও ১৩ রাউন্ড রাবার বুলেট নিক্ষেপ করে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।

    এ ঘটনার জন্য এলাকাবাসীসহ অনেকেই জলঢাকা উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আনছার আলী মিন্টুকে দায়ী করেছেন।

    অতিরিক্ত পুলিশ সুপার রুহুল আমিন (নীলফামারী সার্কেল) বলেন, ‘দুপুরে ধাওয়া-পাল্টাধাওয়া ও ইট-পাটকেল নিক্ষেপের ফলে আমাদের ৫ পুলিশ সদস্য আহত হন। এ সময় পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আমরা ১৩ রাউন্ড টিয়ারসেল ও ১৩ রাউন্ড রাবাল বুলেট নিক্ষেপ করি। এতে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনা হয়। বর্তমানে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রয়েছে।’

    বিএম/এমআর