সেমন্তি আত্মহত্যায় ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলা

    সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে আপত্তিকর ছবি ছড়ানোর জেরে বগুড়ার ওয়াইএমসি স্কুলের দশম শ্রেণির ছাত্রী মায়িশা ফাহমিদা সেমন্তির (১৪) আত্মহত্যার ঘটনায় দুই যুবকের বিরুদ্ধে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলা করা হয়েছে।

    বুধবার (২১ আগস্ট) ঢাকার সাইবার ক্রাইম ট্রাইব্যুনালে মামলাটি করেন সেমন্তির বাবা হাসানুল মাসফের রুমন। পরে বিচারক মোহাম্মদ আসসামছ জগলুল হোসেন বগুড়া সিআইডিকে, আগামী ১০ অক্টোবরের মধ্যে তদন্ত করে প্রতিবেদন দাখিল করার নির্দেশ দিয়েছে।

    আসামিরা হলেন- তৌহিদুল ইসলামের ছেলে আবির আহমেদ ও জিল্লুর রহমানের ছেলে শাহারিয়ার অন্তু। আসামিরা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে নগ্ন ছবি ছেড়ে দেয়ায় সেমন্তির আত্মহত্যা করেছে বলে মামলায় অভিযোগ করা হয়।

    মামলার অভিযোগে বলা হয়, গত ১৮ জুন রাতে আসামি আবির বাদীর মোবাইল ফোনে বলে সেমন্তি আত্মহত্যা করতে পারে। বাদী তাৎক্ষণিক মেয়েকে ডেকে জিজ্ঞেস করলে সে জানায়- আবিরের সাথে তার ভালোবাসার সম্পর্ক ছিলো। তার কুপরামর্শে সে (সেমন্তি) মোবাইলে কিছু নগ্ন ছবি তোলে; যা সেমন্তির মোবাইল থেকে আবির তার মোবাইলে নিয়ে নেয়। এর মধ্যে একটি ছবি অন্তুর কাছে আবির পাঠায়। পরে দুই জন মিলে ছবিগুলো ইন্টারনেটে ছেড়ে দেয়ার হুমকি দেয়। বাদী ঘটনা শুনে মেয়েকে সান্তনা দেয়। কিন্তু ওই রাতের যেকোনো সময় সেমন্তি সিলিং ফ্যানের সাথে ওড়না পেচিয়ে আত্মহত্যা করে।

    মামলায় আরো বলা হয়, ঘটনার রাতে আবির ও অন্তু সেমন্তির সাথে ৯১ বার মোবাইল ফোনে কথা বলে। যা প্রমাণ করে- আসামিরা ভিকটিমকে মানসিকভাবে বিপর্যস্ত করে আত্মহত্যায় বাধ্য করেন। এছাড়া, সেমন্তি মারা যাওয়ার পর আসামি আবির, গত ২১ জুন রাতে মামলার দুই নম্বর সাক্ষী জান্নাতুলের কাছে ম্যাসেঞ্জারের মাধ্যমে সেমন্তির নগ্ন ছবি পাঠায়।

    বাদী রুমন বরেন, প্রায় ১৫ মাস আগে তার ছোট মেয়ে অসুস্থ হলে প্রতিবেশী তৌহিদুলের ছেলে আবির রক্ত দেয়। সেই থেকে দুই পরিবারের মধ্যে সম্পর্ক সৃষ্টি হয়। এরপর সেমন্তি ও আবিরের মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। একপর্যায়ে আবিরের ফাঁদে পড়ে যায় সেমন্তি।

    বিএম/এমআর