চট্টগ্রামের ২০৯টি পশুরহাটে থাকবে ৭১টি ভেটেরিনারি টিম

    নুর মোহাম্মদ রানা : আসন্ন ইদুল আযহা উপলক্ষে চট্টগ্রাম নগরী ও জেলার ১৫ উপজেলায় ৬৩টি স্থায়ী এবং ১৪৬টি অস্থায়ী পশুর হাটে ৭১টি ভেটেরিনারি টিম নিয়োজিত থাকবে বলে জানিয়েছে জেলা প্রাণিসম্পদ বিভাগ।

    এছাড়াও নগরীর খুলশীস্থ জেলা প্রাণিসম্পদ কার্যালয়ে ১টি নিয়ন্ত্রণ কক্ষও চালু করা হয়েছে। নিয়ন্ত্রণ কক্ষে যোগাযোগের জন্য থাকছে (০১৮৫৯ ২৫৫১৫১, ০১৭২০ ৮৮২২৮২) এ দুটি নাম্বার।

    ৭ আগষ্ট বুধবার দুপুরে চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাবের সেমিনার কক্ষে পশুর হাটে ভেটেরিনারি মেডিকেল টিমের কার্যক্রম বিষয়ক কর্মশালা ও সংবাদ সম্মেলনে জেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. মোহাম্মদ রেয়াজুল হক এসব তথ্য জানান।

    তিনি জানান, পশুর প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়ার জন্য জেলা প্রাণিসম্পদ কার্যালয়ের তত্ত্বাবধানে গঠিত ৭১টি ভেটেরিনারি টিমের প্রত্যেকটিতে ৩ জন থেকে ১১ জন পর্যন্ত সদস্য অন্তভুক্ত থাকবে।

    এসব সদস্যরা পশুর হাটে সাধারণ ক্রেতাদের রোগা অসুস্থ পশু বিক্রেতাদের খপ্পর থেকে রক্ষা করে নিরাপদ স্বাস্থ্যসম্মত পশু কিনতে সহায়তা করবে। কোয়াক ডাক্তার কর্তৃক অপচিকিৎসা রোধে সহায়ক ভুমিকা রাখবে এবং পশুর ধকলজনিত পানিস্বল্পতা, জ্বর, ব্যথা, পরিবহনকালীন ট্রমাটিক ইনজুরি, সাধারণ ক্ষুধামন্দা ইত্যাদির চিকিৎসা ও পরামর্শ দেবে এ টিম।

    কোরবানির পশু কেনার পর পশুকে বাড়িতে নিয়ে গিয়ে ভাত, চাল, গম, জাউ না খাওয়ানোরও পরামর্শ দিয়ে ডা. মোহাম্মদ রেয়াজুল হক বলেন, কোরবানির পশুকে খড়-ঘাস ও পানি ছাড়া বাড়তি কিছু দেয়া উচিত হবে না। অনেকে হাট থেকে গরু কিনে এনে ভালোবেসে ভাত খেতে দেন। এটা ওই গরুর জন্য বিষে পরিণত হয়, এমনটা করলে গরু মারা যাওয়ার সম্ভাবনা থাকে অনেক বেশি।

    সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়, চট্টগ্রামে এবছর সম্ভাব্য কোরবানির পশুর সংখ্যা ধরা হয়েছে ৭ লাখ ২০ হাজার। এর মধ্যে চট্টগ্রামের ৭ হাজার ৫৭টি খামারে ৬ লাখ ১০ হাজার ২১৯টি পশু রয়েছে। গত ৩১ জুলাইয়ের হিসাব অনুযায়ী, চট্টগ্রামে ৪ লাখ ১৪ হাজার ৩৮৭টি গরু, ৪২ হাজার ২শ ৮৪টি মহিষ, ১ লাখ ৪৭ হাজার ৫শ ৪৮টি ছাগল ও ভেড়া রয়েছে। ইতোমধ্যে বিভিন্ন জেলা থেকে ২ লাখের বেশি পশু চট্টগ্রামে পৌঁছেছে। তাই এবার চট্টগ্রামে কোরবানির পশুর ঘাটতি নেই।

    গতবছর চট্টগ্রামে ৬ লাখ ৫৫ হাজার ৪শ ১৫টি পশু কোরবানি হয়েছে। এরমধ্যে ৩ হাজার মহিষসহ ৪ হাজার ৩৮ হাজার ৪শ ২৪টি গবাদিপশু, ১ লাখ ৪২ হাজার ৮শ ১৯টি ছাগল ভেড়া কোরবানি হয়েছে।

    এ আয়োজনের মাধ্যমে বিজ্ঞানসম্মত ও স্বাস্থ্যবান্ধব উপায়ে পশু জবাই ও মাংস প্রক্রিয়াকরণ বিষয়ে চট্টগ্রাম জেলায় ২০৯ জনকে প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়েছে উল্লেখ করে সংবাদ সম্মেলনে ডা. মোহাম্মদ রেয়াজুল হক বলেন,প্রশিক্ষণ ছাড়াও কোয়াক ডাক্তার কর্তৃক অপচিকিৎসা রোধে কার্যক্রম গ্রহণের নীতিগত সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে।

    সংবাদ সম্মেলন পূর্ব কর্মশালায় প্রধান অতিথি ছিলেন বিভাগীয় প্রাণিসম্পদ কার্যালয়ের উপ-পরিচালক ডা. মো. ফরহাদ হোসেন, বিশেষ অতিথি ছিলেন ক্যাবের সভাপতি এসএম নাজের হোসাইন, সিভাসুর পরিচালক (বহিরাঙ্গন কার্যক্রম) ডা. একেএম সাইফুদ্দিন, জেলা বিশেষ শাখার ওসি (ওয়াচ) মোহাম্মদ মজিবুর রহমান প্রমুখ।

    বিএম/এন এম রানা..