চীনের মধ্যস্থতায় রোহিঙ্গা ইস্যুতে মিয়ানমারের সাথে বৈঠক করবে বাংলাদেশ

    চীনের মধ্যস্থতায় রোহিঙ্গা সমস্যা সমাধানে আবারও মিয়ানমারের সঙ্গে বৈঠকে বসতে যাচ্ছে বাংলাদেশ।

    বৃহস্পতিবার (২৯ আগস্ট) বিকেল ৪টায় রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন পদ্মায় রোহিঙ্গা সঙ্কল নিয়ে ঢাকায় নিযুক্ত কূটনীতিকদের ব্রিফিংয়ের পর সাংবাদিকদের এসব তথ্য জানান পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন।

    তিনি বলেন, রোহিঙ্গা সঙ্কট নিরসনে বাংলাদেশের পাশে আছে চীন। ঢাকায় নিযুক্ত রাষ্ট্রদূতের সঙ্গে বৈঠক হয়েছে। তারা মিয়ানমারের সঙ্গে আলাপ করে আমাদের জানাবেন। তবে এখনও বৈঠকের দিন তারিখ ঠিক হয়নি।

    পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, রোহিঙ্গা সঙ্কট দুর করতে একযোগে কাজ করব। মিয়ানমারের সঙ্গে আলোচনায় প্রয়োজন হলে চীনকে সঙ্গে রাখতে বললেন চীনের রাষ্ট্রদূত।

    তিনি বলেন, ‘এ সমস্যা শুধু বাংলাদেশের নয়। গোটা বিশ্বের সমস্যা। এগ্রেসিভ ভূমিকায় থেকে মিয়ানমারকে চাপ দিতে হবে। যেন তারা তাদের লোকদের ফিরিয়ে নেয়। গোটা বিশ্ব আমাদের সঙ্গে আছে।’

    পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘রোহিঙ্গাদের মিয়ানমারে পুনর্বাসনে ব্যর্থ হওয়ায় বাংলাদেশ সরকারকে ২২ আগস্ট থেকে দোষারোপ করছে মিয়ানমার। এটা প্রায় জোরেশোরেই করছে। আমরা এটার প্রতিবাদ জানাই। দুই দেশের মধ্যে সমঝোতা অনুযায়ী ২২ আগস্ট প্রায় সাড়ে তিন হাজার রোহিঙ্গা রাখাইন রাজ্যে ফেরত যাওয়ার কথা থাকলেও তারা যায়নি।’

    তিনি বলেন, ‘কারণ বাংলাদেশের পক্ষ থেকে তাদের দেশে ফেরত যেতে উৎসাহিত করা হলেও, মিয়ানমার কর্তৃপক্ষ রোহিঙ্গা শরণার্থীদের কাছে প্রমাণ করতে পারেনি যে, তারা দেশে ফিরে সুরক্ষিত থাকবে। মিয়ানমারকেই তার দেশের নাগরিকদের আশ্বস্ত করতে হবে, ফিরিয়ে নিতে। বাংলাদেশ শুধু লজিস্টিক সাপোর্ট দিতে পারে। রোহিঙ্গাদের দাবি অনুযায়ী- তাদের সুরক্ষা ও জীবিকা সংক্রান্ত নিশ্চয়তা মিয়ানমার সরকার দিলেই এ সমস্যার সহজ সমাধান হবে। মিয়ানমার এ সমস্যার সৃষ্টি করেছে।’

    তিনি আরও বলেন, ‘যদি রোহিঙ্গা ক্যাম্পে কোনো এনজিও যদি উসকানিমূলক ও রাজনীতি বিরোধী কোনো কাজ করে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। রোহিঙ্গারা আইনশৃঙ্খলা বহির্ভূত কোনো কাজ করলে তাদেরকে সেখান থেকে বের করে দেওয়া হবে। বিশ্ব মিডিয়াকে ওই দেশে গিয়ে পরিস্থিতির পর্যালোচনা এবং আন্তর্জাতিকভাবে ফোকাস করতে হবে। মিয়ানমারের উচিৎ বিশ্বকে সেখানে নিয়ে দেখানো, তারা রোহিঙ্গাদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে পেরেছে। এটা আমাদের বিষয় না।’

    ব্রিফিংকালে উপস্থিত ছিলেন, পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলম, পররাষ্ট্র সচিব মো. শহীদুল হকসহ মন্ত্রণালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাসহ বিভিন্ন দেশের কূটনীতিক ও জাতিসংঘের বিভিন্ন সংস্থার প্রতিনিধিরা।

    বিএম/এমআর