অপরাজিত চ্যাম্পিয়ন হয়ে বিশ্বকাপে বাংলাদেশ

    টানা দ্বিতীয়বারের মতো নারী টি-২০ বিশ্বকাপের বাছাইপর্বে চ্যাম্পিয়ন হয়ে বিশ্বকাপে অংশ নিতে যাচ্ছে বাংলাদেশ নারী দল। স্কটল্যান্ডের ডান্ডিতে বাছাইপর্বের ফাইনালে থাইল্যান্ড নারী দলকে বাঘিনীরা পরাজিত করেছে রানে। এ ম্যাচ জিতে বাছাইপর্বে অপরাজিত চ্যাম্পিয়ন হলো সালমা বাহিনী।

    টস জিতে প্রথমে ব্যাটিংয়ের সিদ্ধান্ত নেয় বাংলাদেশ প্রমীলা দল। দুই ওপেনার সানজিদা ইসলাম এবং মুর্শিদা খাতুন মিলে দলকে গরে দেন শক্ত ভিত। প্রথম উইকেটের জন্য থাইল্যান্ডের মেয়েদের অপেক্ষা করতে হয়েছে একাদশতম ওভার পর্যন্ত। ওপেনার মুর্শিদা খাতুনকে বোল্ড করেন সুলীপর্ন লাওমি। ৪ চারের সাহায্যে ৩৪ বলে ৩৩ রানের ইনিংস খেলেন মুর্শিদা খাতুন।

    তবে এক প্রান্ত আগলে রাখেন ওপেনার সানজিদা ইসলাম। দুই ওপেনার ছাড়া অন্য কেউ দুই অঙ্কের ঘরে যেতে পারেননি। তিন নম্বরে নামা নিগার সুলতানা ফিরে যান ১৩ বলে ৮ রান করে। দলীয় ৯৪ রানের মাথায় সরনারিন টিপোচের বলে রাতানপর্ন পাদুংগ্লারদের হাতে ক্যাচ দেন নিগার। তবে দলের রানের চাকা সচল রাখেন সানজিদা ইসলাম। ১৬ তম ভোয়ারের শেষ বলে বাউন্ডারি হাঁকিয়ে দলের শতরান পূরণের পাশাপাশি ব্যক্তিগত অর্ধশতক তুলে নেন সানজিদা।

    চমৎকার সব শট খেলে দলকে নিয়ে যান লড়াকু সংগ্রহের পথে। একদম শেষ পর্যন্ত অপরাজিত ছিলেন তিনি। জাহানারা আলম ৩ রান করে রান আউট হন এবং রানের খাতা ক্ষোলার আগেই ফিরেন ফাহিমা খাতুন। ইনিংসের শুধুমাত্র শেষ বল মোকাবেলা করা ফারজানা হক করেন ২ রান।

    ৫ উইকেট হারিয়ে ১৩০ রান করে বাংলাদেশ নারী দল। ৬০ বলে ৭১ রানের ইনিংস খেলে অপরাজিত ছিলেন সানজিদা। তার ইনিংসে ছিল ৬ চার আর ৩ ছয়। আন্তর্জাতিক নারী টি-২০ তে বাংলাদেশের হয়ে সর্বোচ্চ রানের ইনিংস খেলার রেকর্ড গড়েন তিনি।

    বল হাতেও দারুণ সূচনা করে বাংলাদেশ। শুরু থেকেই নিয়ন্ত্রিত বোলিং করে ও নিয়মিত বিরতিতে উইকেট তুলে নিয়ে ম্যাচে চালকের আসনে চলে আসে তারা।

    ইনিংসের দ্বিতীয় ওভারেই উইকেট মেইডেন তুলে নেন নাহিদা আক্তার। তার বলে নাত্তাকান চান্তাম। নিজের পরের ওভারে এসে নারুয়েমোল চাইওয়াইকে ফেরান নাহিদা। ফ্লাইটেড বলে কাট করতে গিয়ে উইকেটরক্ষের হাতে বন্দী হন তিনি। পাওয়ারপ্লের শেষ ওভারে এসে সালমা খাতুনের বলে ডাউন দ্যা উইকেটে খেলতে গিয়ে স্টাম্পিং হন নান্নাপাত কোঞ্চারোয়েনকাই।

    দলীয় ১৭ রানের মাথায় নাত্তায়া বুচাথামকে লেগ বিফোরের ফাঁদে ফেলেন খাদিজা তুল কুবরা। পঞ্চম উইকেটে সরনারিন টিপোচ এবং ওউংপা লেইংপ্রাসেত মিলে ২৪ রানের জুটি গড়েন। ১৫ তম ওভারের শেষ বলে দলীয় ৪১ রানের মাথায় টিপোচকে ফিরিয়ে দিয়ে এ জুটি ভাঙেন শায়লা শারমিন। পরের ওভারে চানিদা সুথুইরুয়াং রানের খাতা খোলার আগেই রান আউট হন। নিজের পরের ওভারের প্রথম বলেই ওউংপা লেইংপ্রাসেতকে বোল্ড করেন শায়লা শারমিন। হ্যাটট্রিকের আশা জাগালেও তা হয়নি।

    সাত উইকেট পতনের পর নামা রাতানপর্ন পাদুংগ্লারদ ১৪ বলে ১৫ রানের ইনিংস খেলে অপরাজিত থাকেন। তার ব্যাট থেকেই আসে থাইল্যান্ড নারী দলের ইনিংসের একমাত্র ছক্কাটি। নির্ধারিত ২০ ওভারের খেলা শেষে ৭ উইকেট হারিয়ে ৬০ রান করে থামে থাইল্যান্ড নারী দল।বাছাইপর্বে রানার্স-আপ হয়ে ২০২০ এর টি-২০ বিশ্বকাপে খেলতে যাচ্ছে তারা। থাই নারীদের জন্য এটিই প্রথম বিশ্বকাপ।

    সংক্ষিপ্ত স্কোর : বাংলাদেশ নারী দল ১৩০/৫, ২০ ওভার
    সানজিদা ৭১*, মুর্শিদা ৩৩, নিগার ৮
    বুচাথাম ২/৩১, টিপোচ ১/১৮, লাওমি ১/১৩

    থাইল্যান্ড নারী দল ৬০/৭, ২০ ওভার
    পাদুংগ্লারদ ১৫*, লেইংপ্রাসেত ১১, টিপোচ ৮
    নাহিদা ২/১৭, শায়লা ২/৯, সালমা ১/৪

    বিএম/এমআর