ইন্টারন্যাশনাল টোবাকো’ ও ফিনলে প্রোপার্টিজকে জরিমানা
    ছাড়পত্র ছাড়াই সিগারেট উৎপাদন, পাহাড় কেটে ভবন নির্মাণ!

    চট্টগ্রাম মেইল : পরিবেশ অধিদপ্তর থেকে পরিবেশগত কোন ছাড়পত্র ছাড়াই মোহরা কালুরঘাট শিল্প এলাকায় দীর্ঘদিন ধরে সিগারেট উৎপাদন করে আসছে ইন্টারন্যাশনাল টোবাকো ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেড। অন্যদিকে পরিবেশ অধিদপ্তরের ছাড়পত্র না নিয়ে পাশ্ববর্তী পাহাড় কেটে ভবন নির্মাণের অভিযোগ উঠেছে নগরীর কাতালগঞ্জ এলাকার ফিনলে প্রোপার্টিজ নামে একটি আবাসন প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে।

    এসব অভিযোগের তথ্য পেয়ে ৩ সেপ্টেম্বর মঙ্গলবার ইন্টারন্যাশনাল টোবাকো প্রতিষ্ঠানের কারখানায় বিভিন্ন কর্মকান্ড পরিদর্শণ করেন পরিবেশ অধিদফতর চট্টগ্রাম মহানগরের উপ পরিচালক মিয়া মাহমুদুল হক এবং সহকারী পরিচালক সংযুক্তা দাশ গুপ্তা।

    একই দিন নগরীর কাতালগঞ্জে আবাসন প্রতিষ্ঠান ফিনলে প্রোপার্টিজের নব নির্মিত ১৮ তলা এম এন মেরী গোল্ড ভবনটি সরেজমিনে গিয়ে পরিদর্শণ করেন। দুটি প্রতিষ্ঠানের কর্তৃপক্ষকে বুধবার পরিবেশ অধিদফতরের মহানগর কার্যালয়ে শুনানীতে তলব করা হয়।

    বুধবার যথাসময়ে শুনানি শেষে পরিবেশ ছাড়পত্র ছাড়া কারখানা পরিচালনার দায়ে সিগারেট উৎপাদনকারী এ প্রতিষ্ঠানকে ক্ষতিপূরণ হিসেবে ৭০ লাখ টাকা জরিমানা নির্ধারণ করে পরিবেশ অধিদফতরের চট্টগ্রাম মহানগরের পরিচালক আজাদুর রহমান মল্লিক। সাময়িকভাবে ইন্টারন্যাশনাল টোবাকো ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেড প্রতিষ্ঠানটিতে সিগারেট উৎপাদন বন্ধ রাখতে বলেন তিনি। এছাড়া পরিবেশ অধিদফতরের কোন ছাড় পত্র না নিয়ে পাহাড় কেটে ফিনলে প্রোপার্টিজের ১৮ তলা ভবনের নির্মাণ কাজের সত্যতা পেয়ে শুনানিতে ১৪ লাখ টাকা জরিমানার নির্দেশ দেন তিনি। 

    পরিবেশ অধিদফতর চট্টগ্রাম মহানগরের সহকারী পরিচালক সংযুক্তা দাশ গুপ্তা জরিমানা ও প্রতিষ্ঠানের কার্যক্রম বন্ধ করে দেওয়ার তথ্যটি নিশ্চিত করেন। তিনি বলেন, শুনানিতে বলা হয়, নির্ধারিত জরিমানার টাকা পরিশোধ এবং পরিবেশ ছাড়পত্র না হওয়া পর্যন্ত কারখানার উৎপাদন কার্যক্রম বন্ধ রাখতে নির্দেশ প্রদান করেছেন পরিবেশ অধিদফতরের চট্টগ্রাম মহানগরের পরিচালক আজাদুর রহমান মল্লিক।

    একই দিন অপর এক শুনানিতে পাহাড় কেটে ১৮ তলা ভবন নির্মাণের অভিযোগের সত্যতা পাওয়া গেলে ক্ষতিপূরণ হিসেবে ফিনলে প্রোপার্টিজকে ১৪ লাখ টাকা জরিমানা পরিশোধ করার নির্দেশ দেওয়া হয়।

    বিএম/আরএসপি..