সুদীপ্ত হত্যাকান্ডের দুই বছর কাল
    এখনো খুলেনি রহস্যের জট, অধরা বড়ভাই

    বাংলাদেশ মেইল | বিশেষ প্রতিবেদন :

    ২০১৭ সালের ৬ অক্টোবর ভোরে চট্টগ্রাম নগরের সদরঘাট থানাধীন নালাপাড়ার বাসায় হানা দিয়ে সুদীপ্তকে ঘুম থেকে তুলে টেনেহিঁচড়ে বাইরে নিয়ে আসে সন্ত্রাসীরা। এরপর তাঁকে কয়েকজন সন্ত্রাসী বেদম পেটায়। মেডিকেলে নেওয়া হলে সুদীপ্তকে মৃত ঘোষণা করা হয়। ২ বছর গত হলো চট্টগ্রাম নগর ছাত্রলীগের সহসম্পাদক সুদীপ্ত বিশ্বাস হত্যাকান্ডের।

    হত্যাকান্ডের ধারণ করা ভিডিও ও মামলার নথিপত্র (কেস ডকেট) ধরে জড়িতদের চিহ্নিত করার কাজ প্রায় শেষ করেছে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই)। পেটানোর ঘটনার কয়েক ঘণ্টার মধ্যে সুদীপ্ত মারা যান। এই হত্যাকাণ্ডে জড়িত সন্ত্রাসী এবং গডফাদারের নাম ও পরিচয় পেয়ে গেছে তদন্তকারী সংস্থা পিবিআই। পিবিআই বলেছে, দ্রুত সময়ের মধ্যে অভিযুক্তদের আইনের আওতায় আনা হবে।

    পিবিআই সূত্র জানায়, থানা–পুলিশ থেকে মামলার নথি সংগ্রহ করে এবং ভিডিও ধরে গোটা ঘটনা বিশ্লেষণ করা হয়েছে। কারা এই হত্যাকাণ্ডে জড়িত এবং নির্দেশদাতার নাম–পরিচয়সহ সবকিছু জানা গেছে। ফলে যেকোনো সময়ে পিবিআই অভিযানে নামবে।

    পুুুুলিশ বলছে খুনের ঘটনায় বড় ভাই বা ছোট ভাই, যারাই জড়িত সবাই চিহ্নিত হয়েছে। কিছু আসামি কারাগারে আছে।

    মঈন উদ্দীন আরও বলেন, ‘সুদীপ্তের খুনিদের ধরতে “জিরো টলারেন্স” নিয়ে তদন্ত করতে আমাদের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। হত্যাকাণ্ডে জড়িত ব্যক্তিরা যত শক্তিধর ‘বড় ভাই’ হোক, তদন্তে নাম এলে রেহাই নেই। এই মামলার সুষ্ঠু তদন্ত করে জড়িত ব্যক্তিদের আইনের আওতায় আনা কেবল সময়ের ব্যাপার।’

    পিবিআই সূত্র জানায়, সুদীপ্ত খুনের ঘটনায় বড় ভাইসহ ১৫-১৬ জনের নাম এসেছে। ভিডিওতে ধারণ করা পেটানোর দৃশ্যে নওশাদ সাদা শার্ট পরিহিত, ফয়সল নীল গেঞ্জি, শিপন নীল-সাদা গেঞ্জি পরিহিত ছিলেন। ১৬৪ ধারায় নওশাদ ও শিপনের নাম আসেনি। তাঁরাও আসামি হবেন। ভিডিওটি মোক্তারের আইফোন থেকে পুলিশ সংগ্রহ করেছে। অথচ ১৬৪ ধারায় দেওয়া জবানবন্দীতে মোক্তার নওশাদ ও শিপনের নাম গোপন রেখেছিলেন। আর পাপ্পুর জবানবন্দীতে বড় ভাই প্রসঙ্গটি আসে। কিন্তু বড় ভাইয়ের নাম উল্লেখ করা হয়নি।

    সুদীপ্ত প্রয়াত মেয়র এ বি এম মহিউদ্দিন চৌধুরীর অনুসারী ছিলেন। সম্প্রতি হত্যার নির্দেশদাতা বড় খ্যাত লালখান বাজারের এক আওয়ামী লীগ নেতাকে গ্রেফতার করা হয়। পরে জামিনে মুক্তি পান ঐ নেতা।

    দুই বছরেও হত্যার সাথে জড়িতদের সবাইকে বিচারের আওতায় আনতে না পারাকে পুলিশের ব্যর্থতা হিসেবে দেখছেস সুদীপ্তের পরিবার।