সৈয়দপুরে উপজেলা ডাকঘর থেকে চোর আটক

    সৈয়দপুরে উপজেলা ডাকঘর থেকে চোর আটক

    শাহজাহান আলী মনন, নীলফামারী  প্রতিনিধি :নীলফামারীর সৈয়দপুর উপজেলা প্রধান ডাকঘর থেকে দিনে দুপুরে চুরি করার সময় এক চোরকে আটক করা হয়েছে।ঘটনায় আটক চোরের নাম মোঃ রবিন (৫৪)। সে ঢাকার গেন্ডারিয়া এলাকার সোভাপট্টি বস্তির মৃত ফরহাদ আলীর ছেলে। আটক রবিনের বিরুদ্ধে মামলার প্রস্তুতি চলছে।

    পোষ্ট অফিস সূত্রে জানা যায়, প্রায় ১৫ দিন আগে সৈয়দপুর প্রধান ডাকঘরের ট্রেজারী (ভোল্ট) থেকে ৩২ হাজার টাকা খোয়া যায়। যা পরে সিসি ক্যামেরার ভিডিও ফুটেজ দেখে নিশ্চিত হওয়া যায় সেখান থেকে টাকা চুরি হয়েছে। চোরকে চিহ্নিত করা হলেও সেসময় প্রশাসন বা উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে না জানিয়ে বিষয়টি ধামাচাপা দেওয়া হয়।

    এমতাবস্থায় সোমবার দুপুরে ডাকঘরের ট্রেজারীর সামনে ঘোরাঘুরি করার সময় সিসি ক্যামেরায়  চিহ্নিত চোরকে দেখে পোস্ট মাস্টার মোঃ রানার এর সন্দেহজনক মনে হলে তিনি তাৎক্ষনিক তাকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করে। এসময় সন্দেহভাজন রবিন ডাকঘরে আসার প্রকৃত কারণ জানাতে টালবাহানা করতে থাকে। এমতাবস্থায় সন্দেহ আরও ঘনিভূত হলে পোস্ট মাস্টার রানার পূর্বের ভিডিও ফুটেজ দেখে নিশ্চিত হয় যে আটক ব্যক্তিই আগের টাকা চুরির সাথে জড়িত চোর। বিষয়টি তাৎক্ষনিক ডাকঘরে ছড়িয়ে পড়লে উপস্থিত লোকজনের ভীড় জমে যায় পোষ্ট মাষ্টারের কক্ষের সামনে। খবর পেয়ে থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে চোরকে আটক করে থানায় নিয়ে যায়। কিন্তু ডাকঘর কর্তৃপক্ষ থানায় কোন অভিযোগ না দেয়ায় আটক ব্যক্তির বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া সম্ভব হচ্ছেনা বলে থানা সূত্রে জানা গেছে।

    এ ব্যাপারে পোষ্ট মাষ্টার মোঃ রানার এর সাথে তার ০১৭১৯৩৪৬৮২৬ নম্বরের মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান, প্রায় ১৫ দিন আগে ডাকঘরে কর্মরত অবস্থায় আমার কর্মচারী পোর্টাল অপারেটর আপেল উদ্দিনের পকেট থেকে ১২ হাজার ৫শ’ টাকা চুরি হয়ে যায়। আজ একইভাবে চুরি করতে আসায় সন্দেহজনকভাবে চোরকে আটক করা সম্ভব হয়।
    একটি সূত্রের অভিযোগ ডাকঘর কর্তৃপক্ষ বিষয়টি ম্যানেজ করার মাধ্যমে পূর্বের মতই ধামাচাপা দেওয়ার চেস্টা করছে।

    সৈয়দপুর থানার অফিসার ইনচার্জ শাহজাহান পাশা জানান, রবিন নামে এক ব্যক্তিকে ডাকঘর থেকে আটক করা হয়েছে। থানায় আসার পর সে অসুস্থ হয়ে পড়লে তাকে হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। ডাকঘর কর্তৃপক্ষ এখন পর্যন্ত কোন অভিযোগ দেয়নি।
    এদিকে এ ঘটনার পর থেকে ডাকঘরের গ্রাহকদের মধ্যে ভীতি বিরাজ করছে। তারা মন্তব্য করছেন ডাকঘরের মত সিসি ক্যামেরা বেষ্টিত নিরাপদ স্থান থেকেও যদি টাকা চুরি হয় তাহলে আমরা আর কোথায় টাকা গচ্ছিত রাখবো। বিষয়টি শহরজুড়ে চাঞ্চল্যের সৃষ্টি করেছে।