কবিতা:মধ্যবিত্তের তারকাঁটা মোঃ রাসেল উদ্দীন জয়

    আত্মমর্যাদার নির্মম রণাঙ্গনে
    ধুমড়ে-মুছড়ে আছে মধ্যবিত্ত,
    দেখেও তার অন্ধতা যেন
    তারকাঁটার প্যাছে জীবনচিত্ত।

    আছি চোরাবালির কাদাতে
    ডুবন্ত-অরুণ স্বপ্নের ছোয়াতে,
    আছি মধ্যবিত্তের ভয়ানক সারিতে
    পোড়া লঙ্কার জীর্ণ বাড়িতে।

    আছি খুচরো টাকার নির্মম শৃঙ্খলে
    জীবন চলে ভাসমান,
    আছি তরী-ডুবার চূর্ণি বাস্তবতায়
    আত্মমর্যাদার বাড়ি আজ শ্মশান।

    আমি আত্মমর্যাদার ধ্বংসিত ভিখারী
    বিস্ময় ধরণীর অভিশাপ!
    আমি এই সুশীল সমাজের ঘুর্ণি
    স্ব-সম্মানের করি পরিমাপ!

    আমি লোনা গঙ্গার মধ্যবিত্ত
    চরণতলে আঙুল ফাটা,
    আমার স্বপ্ন থাকে বুকপকেটে
    দারিদ্র যেন জং ধরা তারকাঁটা।

    আমি লুন্ঠন সমাজের অভিশপ্ত ভোর
    দারিদ্র আমার ভীষণ প্রিয়তমা,
    আমি কড়িয়াল সমাজের অগ্নি-বর্ষক
    ভেঙ্গে চূরমার করি সব উপমা।

    জং ধরা স্বপ্নে আমার সখ্যতা
    বালিশে জড়িয়ে থাকে ক্লান্তি,
    চিন্তার সারিতে নিদারূণ দুঃস্বপ্ন
    অন্যের সুখে পায় শ্রান্তি।

    মধ্যবিত্তের আত্মমর্যদায় দুর্ভিক্ষ
    প্রলয়ে আসে ক্রন্দন-শ্বাস,
    দ্বিধার শিকলে বাঁধা দু’পা”
    মায়ের আঁচল দিয়েছে আশ্বাস।

    আমার পদতলে লুটে পড়ে
    জীর্ণ পাদুকার ধূলি,
    আমার চরণদেশে ঝড়ে পড়ে
    ইট পাটকেল আর বালি।

    হতাশা আমার বাহুডোরে বাঁধা
    লজ্জার চাদরে ঘিরে আছে অভাব,
    জং ধরা আত্মদর আমার সঙ্গী
    তারকাঁটার প্যাছে ভালো থাকাই স্বভাব।