গুরবাজ-রুশোর টর্নেডো ব্যাটিংয়ে খুলনার সহজ জয়

    চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্সের

    চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্সের দেওয়া ১৪৫ রানের টার্গটে হেসেখেলে পৌঁছে গেছে খুলনা টাইগার্স। চেজিংয়ে নেমে ধুন্ধুমার ব্যাটিং করেছেন খুলনার আফগান ওপেনার রহমানুল্লাহ গুরবাজ এবং প্রোটিয়া তারকা রাইলি রুশো। তাদের ব্যাটে চেপে ৩৭ বল এবং ৮ উইকেট হাতে রেখেই জয়ের বন্দরে পৌঁছে যায় মুশফিকুর রহিমের দল। গুরবাজ এবং রুশো দুজনেই হাফ সেঞ্চুরি তুলে নিয়েছেন। সবচেয়ে দুধর্ষ ইনিংস গুরবাজের। এই আফগান ৫০ করেছেন মাত্র ১৯ বলে।

    তবে শুরুটা এত ভালো ছিল না খুলনার। দলীয় ৪ রানেই নাসুম আহমেদের বলে ফিরে যান নাজমুল হোসেন শান্ত (৪)। এরপরই শুরু নতুন গল্পের। রুশো আর গুরবাজ মিলে গড়েন ৭০ রানের জুটি। ১৯ বলে ৪ বাউন্ডারি আর ৫ ওভার বাউন্ডারিতে ৫০ রানে মুক্তার আলীর শিকার হন গুরবাজ। এরপর রুশোর সঙ্গী হন মুশফিকুর রহিম। এই দুজনেই খুলনাকে জয়ের বন্দরে নিয়ে যান। ৩৫ বলে ৭ চার ২ ছক্কায় অপরাজিত ৬৩* রানের মারকাটারি ইনিংস খেলেন রুশো। আর উইনিং শট খেলা মুশফিক ২২ বলে ২৮* রানে অপরাজিত থাকেন।

    এর আগে টস হেরে ব্যাটিংয়ে নেমে নির্ধারিত ২০ ওভারে ৬ উইকেটে ১৪৪ রান তোলে চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্স। ৪৫ রানের ওপেনিং জুটি গড়ে ভিন্ন কিছুর ইঙ্গিত দিয়েছিল চট্টগ্রাম। কিন্তু এরপর থেকেই নিয়মিত উইকেট হারতে থাকে তারা। শফিউল ইসলামের বলে বোল্ড হওয়ার আগে সিমন্স ২৩ বলে ২টি করে চার-ছক্কায় ২৬ রান করেন। আরেক ওপেনার কেসরিক ওয়ালটন করেন ১৮ বলে ১৮ রান। গতকালের ‘হিরো’ ইমরুল কায়েস আজ ফিরেন ১২ রানে।

    অল-রাউন্ডার নাসির হোসেন আজও ব্যর্থ। ২৪ রান করে আমিনুল ইসলামের বলে কট অ্যান্ড বোল্ড হয়ে যান। উইকেটকিপার ব্যাটসম্যন নুরুল হাসান করেন ১৯ রান। শেষের দিকে মুক্তার আলী ১৪ বলে ৪ ছক্কায় অপরাজিত ২৯* রানের ইনিংস না খেললে চট্টগ্রামের স্কোর এত বড় হতো না। এটাই তাদের ইনিংসের ব্যক্তিগত সর্বোচ্চ। রায়াদ এমরিত আউট হন ১ রানে। রুবেল হোসেন ১ বাউন্ডারিতে ৬* রানে অপরাজিত ছিলেন। নির্ধারিত ২০ ওভারে চট্টগ্রামের সংগ্রহ দাঁড়ায় ৬ উইকেটে ১৪৪ রান। উইকেটগুলো সবাই ভাগ করে নিয়েছেন। আমির ৪ ওভারে দিয়েছেন ৩৩ রান।