জয় পেল কুমিল্লা ওয়ারিয়র্স, পারল না রংপুর রেঞ্জার্স

    রংপুর রেঞ্জার্স

    রংপুর রেঞ্জার্সের ছুড়ে দেওয়া ১৮২ রানের টার্গেটে ব্যাট করতে নেমে ছয় উইকেটে হারিয়ে জয় তুলে নিয়েছে কুমিল্লা ওয়ারিয়র্স। এর আগে আট উইকেটে চ্যালেঞ্জিং স্কোর দাঁড় করায় রংপুর রেঞ্জার্স। জবাবে টপ অর্ডারের দায়িত্বশীল ব্যাটিংয়ে দুই বল হাতে রেখেই জয় নিয়ে মাঠ ছাড়ে কুমিল্লা।

    খেলতে নেমে প্রথম ছয় ওভারে ৬১ রান তোলেন ভানুকা রাজাপাকশে এবং সৌম্য সরকার। তাদের উদ্বোধনী জুটির সমাপ্তি ঘটে পাওয়ার প্লে’র শেষ ওভারেই। চারটি চার ও দুটি ছক্কায় ১৫ বলে ৩২ রান করে ফিরে যান রাজাপাকশে। সৌম্য সরকারও বেশিক্ষণ ক্রিজে ব্যাট করতে পারেননি। তাকে ফেরান অভিষিক্ত মুকিদুল ইসলাম মুগ্ধ। পাঁচটি চার ও একটি ছক্কায় ৩৪ বলে ৪১ রান করে ফিরে যান সৌম্য। পরে ইনিংসের নিয়ন্ত্রণ নেন সাব্বির রহমান। ডানহাতি সাব্বির ডেভিড মালানের সঙ্গে ৫৬ রানের জুটি গড়েন। তিনটি চার ও দুটি ছক্কায় ৪০ বলে ৪৯ রান করে মুস্তাফিজুর রহমানের বলে ফিরে যান সাব্বির। এরপর দলকে জয়ের কাছাকাছি নিয়ে শেষ ওভারে ফিরে যান দাসুন শানাকা (১২)। ডেভিড মালান অবশ্য দলকে জিতিয়ে মাঠ ছাড়েন। ২৪ বলে দুটি চার ও তিনটি ছক্কায় ৪২ রান করেন মালান।

    এর আগে জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে টস জিতে ব্যাটিংয়ের সিদ্ধান্ত নেন রংপুরের অধিনায়ক মোহাম্মদ নবি। ব্যাটিংয়ে নেমে শুরু থেকেই রানের চাকা সচল রাখেন ওপেনার মোহাম্মদ শেহজাদ। কিন্তু মোহাম্মদ নাঈম মাত্র ৮ রানে আউট হয়ে সাজঘরে ফিরে যান। কিন্তু তাতে তেমন কোনো অসুবিধায় পড়তে হয়নি রংপুরকে। কারণ দ্বিতীয় উইকেটে নামা টম অ্যাবেলকে নিয়ে এগিয়ে যেতে থাকেন শেহজাদ। অ্যাবেলও তাকে ভালোই সঙ্গ দিতে থাকেন। তবে তা লম্বা সময় নয়। ২৫ রানে অ্যাবেল আউট হওয়ার পর আল আমিন ক্রিজে আসলেই বেশিক্ষণ টিকে থাকতে পারেননি। তিনিও মাত্র এক রানে আউট হন। তবে অর্ধশতক পূরণ থেকে শেহজাদকে আটকাতে পারেনি কুমিল্লার বোলাররা। আউট হওয়ার আগে ২৭ বলে ৬১ রানের ঝড়ো ইনিংস খেলেন তিনি।

    শেহজাদের বিদায়ের পর নিয়মিত বিরিততে ছয় উইকেট পড়ে যায়। কিন্তু বড় সংগ্রহ থেকে রংপুরকে দূরে রাখতে পারেনি কুমিল্লা। নবির ২৬, গ্রেপরির ২১, নাদিফের ১৫ ও সানির ১৫ রানের সুবাদের প্রতিপক্ষকে ১৮২ রানের টার্গেট ছুড়ে দেয় মোহাম্মদ নবিরা।