বাংলাদেশ মেইল ::
চট্টগ্রামে গেল ২৪ ঘন্টায় (শুক্রবার পর্যন্ত ) ৩৮৯ জনের নমুনা পরীক্ষা করে ১৫৯ জনের দেহে করোনার সংক্রমণ পাওয়া গেছে। নতুন আক্রান্তদের মধ্যে চট্টগ্রাম মহানগরের ১১৫ জন এবং উপজেলার ৪৪ জন।
এর মধ্য রয়েছেন ১০ জন চিকিৎসকও। এছাড়া চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল পুলিশ ফাঁড়িতে দায়িত্বরত ১৭ জন পুলিশ সদস্যের মধ্যে ১০ জনই করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন। তাদের মধ্যে একজন এএসআই আছেন এবং তাকে উন্নতি চিকিৎসার জন্য কেন্দ্রীয় পুলিশ হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়েছে।
শুক্রবার (২৯ মে) রাতে চট্টগ্রামের সিভিল সার্জন ডা. সেখ ফজলে রাব্বি এসব তথ্য জানান। চমেক হাসপাতালের পিসিআর ল্যাবে ২৩১ টি নমুনা পরীক্ষা করে ৯৭ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে। এর মধ্যে ৯৩ জনই চট্টগ্রাম মহানগরের রোগী। বাকি চারজন উপজেলার বাসিন্দা।
এছাড়া, ভেটেইনারি বিশ্ববিদ্যালয়ের (সিভাসু) ল্যাবে ১৪১ টি নমুনা পরীক্ষা করে ৬১ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে। এর মধ্যে ২২ জন চট্টগ্রাম মহানগরের বাসিন্দা। ৩৯ জন চট্টগ্রামের বিভিন্ন উপজেলার বাসিন্দা।
এছাড়া, কক্সবাজার মেডিকেলে চট্টগ্রাম জেলার ১৭ টি নমুনা পরীক্ষা করে ১ জন করোনা আক্রান্ত রোগী শনাক্ত হয়েছে। নতুন ১ জন রোগীই উপজেলার।
বিআইটিআইডি’র প্রতিবেদন ছাড়াই তিনটি ল্যাবে শনাক্ত হয়েছে ১৫৯ জন নতুন করোনা আক্রান্ত রোগী। নতুন আক্রান্ত হওয়া ১৫৯ জন নিয়ে চট্টগ্রামে মোট করোনা আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়াল ২৫৮৩ জনে।
এখন পর্যন্ত চট্টগ্রাম জেলায় সর্বমোট করোনা আক্রান্তের ৭৯ শতাংশই মহানগরের বাসিন্দা। ২১ শতাংশ রোগী উপজেলার বাসিন্দা।
চট্টগ্রামে বর্তমানে ফৌজদারহাটস্থ বিআইটিআইডি, ভেটেইনারী বিশ্ববিদ্যালয় ( সিভাসু), চমেক ল্যাব, কক্সবাজার মেডিকেল কলেজসহ চারটি ল্যাবে করোনা পরীক্ষা করা হচ্ছে।
সিভিল সার্জন কার্যালয়ের গতকালের তথ্য অনুযায়ী , চট্টগ্রামে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত রোগীদের মধ্যে সর্বমোট সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন ২০৫ জন। গেল ২৪ ঘন্টায় ৮ জন করোনা আক্রান্ত রোগীর সুস্থ হয়েছে। গেল ২৪ ঘন্টায় ৬ জন করোনা আক্রান্ত রোগী মৃত্যুবরন করেছে চট্টগ্রামে। এখন পর্যন্ত চট্টগ্রামে করোনা আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুবরন করেছে চট্টগ্রামের ৭১ জন। আক্রান্তের উপাত্ত অনুযায়ী গড় সুস্থতার হার ১০% এবং মৃত্যুর হার ৩%।
চট্টগ্রাম জেলায় বিভিন্ন হাসপাতালে আইসোলেশনে আছেন ২০৫ জন। এছাড়া ৩৫৭ জন হোম কোয়ারেন্টাইনে রয়েছেন।
আক্রান্তের উপাত্ত বিশ্লেষণের পর দেখা যায় চট্টগ্রামের আক্রান্ত রোগীদের মধ্যে ৫১ শতাংশই ২১ থেকে ৪০ বছর বয়সী। বৃহস্পতিবার পর্যন্ত ২১-৩০ বয়সী আক্রান্ত রোগী মোট আক্রান্তের ২৭ % ।
প্রসঙ্গত, এপ্রিলের ৩ তারিখে মাত্র একজন রোগী শনাক্ত হওয়ার পর ৫৬ দিনের মাথায় শুক্রবার চট্টগ্রামের চারটি ল্যাবে একদিনে শনাক্ত হয় ২৫৮৩ জন করোনা আক্রান্ত রোগী । এ নিয়ে এখন মোট আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা ২৪২৪ জন। এদের ১৮৪৩ জন পুরুষ এবং ৫৮১ জন নারী।
এখন পর্যন্ত আক্রান্তের জন ২০৬৫ চট্টগ্রাম নগরীর বাসিন্দা। এছাড়া ৫৪৭ জন চট্টগ্রামের বিভিন্ন উপজেলার বাসিন্দা। এর মধ্যে সাতকানিয়া উপজেলায় ৪৫ জন করোনা আক্রান্ত রোগী রয়েছে। পাশ্ববর্তী উপজেলা লোহাগাড়ায় মোট আক্রান্তের সংখ্যা ৫৭ জন। সীতাকুণ্ড উপজেলায় ৮১ জন, বোয়ালখালীতে ২৯ জন, পটিয়ায় ৮৬ জন, আনোয়ারায় ৯ জন, চন্দনাইশে ৪০ জন, রাঙ্গুনিয়ায় ৩৬ জন, বাঁশখালীতে ২৫ জন, রাউজানে ১৯ জন, ফটিকছড়িতে ৬ জন, মিরসরাই এ ৯ জন, হাটহাজারীতে ৮৭ , স্বন্দ্বীপে ১৬ জন করোনায় সংক্রমিত হয়েছেন।