চট্টগ্রামের নালাপাড়ায় বাবর গ্রুপের হামলায় যুবলীগ কর্মী আহত

    চট্টগ্রাম মেইলঃ নগরীর দক্ষিণ নালাপাড়ায় গত ২৬ মে (শুক্রবার) রাত ১১ টার দিকে যুবলীগ কর্মী সুমন মল্লিকের উপর হামলা হয়। দৈনন্দিন কাজ শেষে বাসায় যাওয়ার পথে কথিত সন্ত্রাসী মোঃ খোকনসহ চার পাঁচ জনের একটি গ্রুপ লোহার রড, কিরিচ দিয়ে তার উপর আক্রমণ করে। পরে আহত সুমনকে উদ্ধার করে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ২৭ নং ওয়ার্ডে ভর্তি করা হয়।

    জানা যায়, স্থগিত হওয়া চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে ৩০ নং পূর্ব মাদারবাড়ি ওয়ার্ডে আওয়ামী লীগের কাউন্সিলর প্রার্থী আতাউল্লাহ চৌধুরীর পক্ষে কাজ করায় ক্ষুদ্ধ হয়ে বিদ্রোহী প্রার্থী জহুরুদ্দীন বাবর তার বাহিনী দিয়ে এ হামলা করায়। হামলায় অংশ নেয়া খোকনের বিরুদ্ধে রয়েছে চাঁদাবাজি, মাদক ব্যবসাসহ বিস্তর অভিযোগ।

    আহত সুমন মল্লিকের ভাষ্য অনুযায়ী, গতকাল (শুক্রবার) রাতে কাজ শেষে বাসায় যাওয়ার পথে নালাপাড়া রোড়ে খোকনসহ ৪-৫ জনের একটি গ্রুপ রড়-কিরিচসহ দেশীয় অস্ত্রসস্ত্র নিয়ে হামলা চালায়। তার চিৎকারে পথচারীরা এগিয়ে আসলে সন্ত্রাসীরা পালিয়ে যায় এবং তাকে চমেকে ভর্তি করা হয়। তার মাথায় কয়েকটি সেলাই হয়।

    কেন তার উপর এ হামলা এমন প্রশ্নে সুমন জানায়, স্থগিত চসিক নির্বাচনে মাদারবাড়িতে আওয়ামী লীগের প্রার্থী কাউন্সিলর প্রার্থী আতাউল্লাহ চৌধুরীর পক্ষে কাজ করায় বাবর ক্ষুদ্ধ হয়ে তার পালিত সন্ত্রাসী খোকনদের দিয়ে আমাকে হত্যা করার উদ্দেশ্যে হামলা করায়। মেডিকেল রিপোর্ট নিয়ে খোকনসহ অজ্ঞাত আরো কয়েকজনকে আসামী করে দুপুরে সদরঘাট থানায় আমি বাদী হয়ে মামলা করেছি।

    আতাউল্লাহ চৌধুরী বলেন, বাবরও আমার কর্মী। খোকনও একসময় আমার সাথে ছিল। স্থগিত চসিক নির্বাচনে সুমনসহ আওয়ামী লীগ যুবলীগ ছাত্রলীগ এর কর্মীরা একাট্টা হয়ে আমার জন্য কাজ করেছে। এতে বাবর ক্ষুদ্ধ হতে পারে। এই ঘটনার পরও খোকন আমার সাথে বিভিন্ন মাধ্যমে যোগাযোগ করে মিটমাটের চেষ্টা চালাচ্ছে।

    ৩০ নং পূর্ব মাদারবাড়ি ওযার্ডের আওয়ামী লীগ নেতা তৈয়বুল ইসলাম তাপু বলেন, এই ওয়ার্ডে আওয়ামী লীগের প্রার্থী আতাউল্লাহ চৌধুরী। স্বাভাবিকভাবেই আমাদের সকল নেতাকর্মী উনার পক্ষে কাজ করছে। এতে ক্ষুদ্ধ হয়েই জহির উদ্দীন বাবর সুমনের উপর হামলা করিয়েছে। আমরা তার নিন্দা জানায় এবং বিচার দাবী করছি।

    এসব অভিযোগের ব্যাপারে অভিযুক্ত বাবর ও খোকনের সাথে যোগাযোগ করা হলে বাবর-খোকন উভয়েই মুঠোফোন নাম্বারটি নিজেদের নয় বলে দাবী করে।

    সদরঘাট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ফজলুর রহমান ফারুকি ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে জানান, সুমন বাদী হয়ে দুপুরে একটা মামলা দায়ের করেছে। খোকনকে মূল আসামী করে অজ্ঞাত আরো কয়েকজনকে আসামী করা হয়েছে। আমরা আইন
    অনুযায়ী ব্যবস্থা নিচ্ছি।

    জহির উদ্দীন চৌধুরী বাবর চট্টগ্রাম সরকারী সিটি কলেজের সাবেক ভিপি ছিলেন। বর্তমানে তিনি সিটি মেয়র আ.জ.ম নাছির উদ্দীনের অনুসারী। স্থগিত হওয়া চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে তিনি মাদারবাড়ি ওয়ার্ড থেকে কাউন্সিলর পদে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন প্রত্যাশী ছিলেন। পরে আওয়ামী লীগ থেকে সিটি কলেজ ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি আতাউল্লাহ চৌধুরীকে মনোনয়ন দেয়া হলে বাবর বিদ্রোহী প্রার্থী হন।