কৃষি মন্ত্রীর নাম ভাঙিয়ে বান্দরবানে কাজু চাষীদের সাথে গ্রিনগ্রেইন কেশিও প্রসেসিং ইন্ডাস্টির প্রতারণা

    বাংলাদেশমেইল: বান্দরবান প্রতিনিধি:  নতুন কাজুর মৌসুমে কৃষি মন্ত্রীর নাম ভাঙিয়ে গ্রিনগ্রেইন কেশিও প্রসেসিং ইন্ডাস্টির চেয়ারম্যান শাকিল আহমেদ বান্দরবান কৃষি অধিদপ্তর এর সাথে যোগসাজে বান্দরবান রুমা উপজেলার কৃষি অফিসার সুটিমল নাগার মাধ্যমে কৃষকদের কাছ থেকে ৫০ মেট্রিক টন কাজু বাদাম সংগ্রহ করে। কিন্তু ২০ মেট্রিক টন কাজু বাদাম নিয়ে যাওয়ার পর, অবশিষ্ট ৩০ মেট্রিক টন কাজু বাদাম না নিয়ে কৃষকদেরকে তারিখের পর তারিখ দিয়ে যাচ্ছেন।

    এতে কৃষকরা চরম ভোগান্তিতে পড়েছে এবং কৃষকরা পরিবার-পরিজন নিয়ে খুব কষ্টে দিনযাপন করছে। বাকি কাজু বাদাম কোথায় বিক্রি করবে এজন্য তারা কোন কুল কিনারা খুজে পাচ্ছে না।

    কাজু বাদাম সংগ্রহকারি বান্দরবান রুমা উপজেলার কৃষি অফিসার সুটিমল নাগা সাথে ফোন আলাপে জানা যায় বান্দরবান জেলার কৃষি অধিদপ্তরের ডিডি নির্দেশক্রমে চট্টগ্রামের গ্রিনগ্রেইন কেশিও প্রসেসিং ইন্ডাস্টি নামে কৃষি মন্ত্রীর নির্দেশে কৃষকদের কাছ থেকে কাজুবাদাম সংগ্রহ করতে বলেন। কিন্তু কাজুবাদাম সংগ্রহ করার পর গ্রিনগ্রেইন কেশিও প্রসেসিং ইন্ডাস্টির চেয়ারম্যান শাকিল আহমেদ কোন ফোন রিসিভ করছে না। ফোন রিসিভ করলেও একের পর এক তারিখ দিয়ে যাচ্ছে,কাজু বাদাম না নিয়ে কৃষকদেরকে নানান অজুহাত দেখাচ্ছেন।

    রুমা মুনলাই পাড়া কাজু বাদাম চাষী চাই মং, বলেন ,গ্রিনগ্রেইনের চেয়ারম্যান শাকিল আহমেদ ৩০ মেট্রিকটন কাজু বাদাম সংগ্রহ করার জন্য রুমা কৃষি অফিসারের মাধ্যমে আমাদেরকে ৪ লক্ষ টাকা অগ্রিম দেয়, কিন্তু বাকি টাকা চাইলে এবং সংগ্রহকৃত কাজু বাদাম নিতে বললে উনি আমাদেরকে আজ ২ মাস ধরে তারিখের পর তারিখ দিযে যাচ্ছেন। এমতাবস্থায় আর্থিক কষ্টে আমরা চাষীরা পরিবার নিয়ে মানবতার জীবনযাপন করতেছি এবং আমাদের কৃষকদের সাথে রীতিমত অন্যায় অবিচার করা হচ্ছে।

    তাই কৃষি মন্ত্রীর কাছে আমাদের কাজু চাষীদের আবেদন পরবর্তী মৌসুম থেকে এই ধরনের ভোগান্তিতে যেন পড়তে না হয় এবং আমাদের অবশিষ্ট ৩০ মেট্রিক টন সংগ্রহকৃত কাজু বাদাম বিক্রি করার জন্য ব্যবস্থা গ্রহণ করেন।