চীনে নতুন জৈব নিরাপত্তা আইন পাস

    বাংলাদেশ মেইল ::

    করোনাভাইরাস মহামারির প্রেক্ষাপটে চীনে নতুন জৈব নিরাপত্তামূলক আইন পাস হয়েছে। আগামীতে যেকোনো সংক্রামক রোগ মোকাবিলায় সক্ষমতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে এ আইনটি করা হয়েছে। চীনের রাষ্ট্রীয় সংবাদমাধ্যম গ্লোবাল টাইমস-এর প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ১৭ অক্টোবর, শনিবার দেশটির সর্বোচ্চ নীতি নির্ধারণী কর্তৃপক্ষ ন্যাশনাল পিপলস কংগ্রেসের স্ট্যান্ডিং কমিটি আইনটির অনুমোদন দেয়। ১৫ এপ্রিল ২০২১ থেকে আইনটি কার্যকর হবে।

    প্রসঙ্গত, গত বছরের শেষ দিকে চীনের উহান প্রদেশ থেকে ছড়িয়ে পড়ে প্রাণঘাতী করোনাভাইরাস। তবে যুক্তরাষ্ট্রসহ কয়েকটি পশ্চিমা দেশের তরফ থেকে অভিযোগ করা হয়, চীন করোনা সংক্রান্ত তথ্য গোপন করেছে। চীনের যে চিকিৎসক প্রথম করোনা নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছিলেন, তার মৃত্যু সাধারণ নাগরিকদের মধ্যে রেখাপাত করেছিল। দেশের বাইরে গিয়েও বেশ কিছু গবেষক চীনের ব্যর্থতা নিয়ে সোচ্চার হয়েছেন। এই পরিস্থিতিতে নতুন আইন পাশ করল চীন।

    পাসকৃত নতুন আইন অনুযায়ী দেশের যে কোনও প্রান্তে যে কোনও ধরনের সংক্রামক রোগের প্রাদুর্ভাব ঘটলে বা সংক্রমণের আশঙ্কা দেখা দিলে যে কোনও নাগরিক তা রিপোর্ট করতে পারবেন প্রশাসনের কাছে। তথ্য ভুল হলেও সেই ব্যক্তি বা সংস্থাকে শাস্তি দেওয়া হবে না। আর যদি রিপোর্ট সত্য হয়, তা হলে রিপোর্টকারীকে পুরস্কৃত করা হবে।

    নতুন এই আইনটি কার্যকর হলে চীনে জৈব নিরাপত্তাজনিত ঝুঁকি প্রতিরোধ ও নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থাপনা চালু হবে। এর মাধ্যমে রোগর সংক্রমণ ঝুঁকি পর্যালোচনা ও আগাম সতর্কতা, ঝুঁকি খতিয়ে দেখা ও মূল্যায়ন, জরুরি পদক্ষেপ ছাড়াও এ বিষয়ে গবেষণা ও তথ্য ভাগাভাগির মতো কাজগুলো করা হবে।

    নতুন আইনে সংক্রমণের খবর জানানো প্রথম ব্যক্তি বা হুইসেলব্লোয়ার’র সুরক্ষার কথাও উল্লেখ করা হয়েছে। আইনের বিধানে বলা হয়েছে, জৈবনিরাপত্তা ক্ষতিগ্রস্ত করে এমন কোনো বিষয় সম্পর্কে কর্তৃপক্ষকে জানাতে দেশটির যেকোনো কার্য ইউনিট বা স্বতন্ত্র ব্যক্তির অধিকার রয়েছে। আইন অনুযায়ী বিষয়টি জানানোর প্রয়োজন হলে কোনও কার্য ইউনিট বা স্বতন্ত্র ব্যক্তি তা গোপন করবেন না বা অন্যকে জানাতে বাধাও দেবেন না।