ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন বাংলাদেশকে অকার্যকর রাষ্ট্রে পরিণত করেছে

    বাংলাদেশ মেইলঃঃ

    ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন বাংলাদেশকে অকার্যকর রাষ্ট্রে পরিণত করেছে

    বাংলাদেশ ডিজিটাল সিকিউরিটি এ্যাক্ট’১৮ নামে স্বাধীন মত দমনের কালা কানুন বাতিল ও অবিলম্বে কারাগারের নিরাপত্তা হেফাজতে লেখক মুশতাক হত্যাকাণ্ডের সুষ্ঠু তদন্ত ও বিচারের দাবী জানিয়েছে লন্ডনভিত্তিক সুশীলসমাজের সংগঠন রাইটস মুভমেন্ট ইউকে। সংগঠনটির উদ্যোগে২৮ শে ফেব্রুয়ারী রবিবারআয়োজিত ভার্চুয়াল সেমিনারে বক্তারা এই দাবী জানিয়েছেন। বক্তারা বলেন, এই কালো আইন বাংলাদেশকে অকার্যকর রাষ্ট্রে পরিণত করেছে। জনগনের সকল অধিকার কেড়ে নিয়েছে। অধিকারহারা জনগণ রাষ্ট্র পরিচালনার সকল সুযোগ হারিয়ে এখন গভীর সংকটে নিপতিত। বক্তারা সকল রাজনৈতিক দল ও সামাজিক শক্তিকে একত্রিত হয়ে এই সংকট মোকাবেলায় এগিয়েআসার আহ্বান জানান।
    রাইটস মুভমেন্ট ইউ কে’র আহবায়ক অধ্যাপক আব্দুল কাদির সালেহ এর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত “ ডিজিটাল সিকিউরিটি অ্যাক্ট বনাম মত প্রকাশের স্বাধীনতা ও লিখক মুশতাক আহমদের মৃত্যু “শীর্ষক ভার্চুয়াল জুম কনফারেন্সিংএ বৃটেনের খ্যাতিমান শিক্ষাবিদ, আইনজীবি, সাংবাদিক ও সুশীল সমাজের প্রতিনিধিগণ অংশ গ্রহন করেন ।
    বক্তারা বলেন, এই আইনের বিভিন্ন ধারা উপধারায় অস্পষ্ট শব্দ প্রয়োগ করে সরকারকে তথা পুলিশ ও সরকার দলকে আইনি ক্ষমতা প্রদান করা হয়েছে । এ আইন সংবিধানের বর্ণিত নাগরিকদের স্বাধীন মত প্রকাশের অধিকারের পরিপন্থি । এর ব্যাপক অপ প্রয়োগের ব্যাপারে বিশেষজ্ঞগণ উদ্বেগ প্রকাশ করলেও সরকার তাঁর ব্যর্থতা ,ব্যাপক দুর্নীতি ও অপ কর্মের সমালোচনার পথ বন্ধ করে দিয়ে অবাধ স্বেচ্চাচারিতার হাতিয়ার হিসেবে তা ব্যবহার করছে । মুশতাকের গ্রেফতার, বার বার জামিন আবেদন নাকচ করা ,আটকাবস্থায় নির্যাতন ও মৃত্যু এ আইন দ্বারা বাংলাদেশে নাগরিক জীবন কতোটা সংকোচিত ও অনিরাপদ তা দিবালোকের মতো সুসষ্পষ্ঠ করে দিয়েছে ।
    রাইটস মুভমেন্ট এর যুগ্ম আহবায়ক সিনিয়র সাংবাদিক শামসুল আলম লিটন এর সন্চালনায় এতে প্রধান অতিথি ছিলেন বিশিষ্ঠ শিক্ষাবিদ ও বৃটিশ ডিপার্টমেন্ট ফর এডুকেশন এন্ড স্কীলের উপদেষ্টা ড: হাসানাত হোসাইন এম বি ই ।কী নোট স্পীকার হিসেবে ডিজিট্যাল সিকিউরিটি এ্যাক্টের ব্যাখ্যা বিশ্লেষন উপস্থাপন করেন নিউহ্যাম কাউন্সিলের ডেপুটি স্পীকার ও আইনজীবি ব্যারিষ্টার নজির আহমদ এবং হিউম্যান রাইটস আইনজীবি ব্যারিষ্টার আফজাল জামী।অন্নান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন সাপ্তাহিক সুরমার প্রধান সম্পাদক ফরীদ আহমদ রেজা, আইনজীবি ও শিক্ষাবিদ সৈয়দ মামনুন মোর্শেদ , ড: এম এ আজিজ, ড: কামরুল হাসান, ব্যারিষ্টার ইকবাল হোসাইন,ব্যারিষ্টার আলিমুল হক লিটন, ব্যারিষ্টার আব্দুল মজিদ তাহের , শেখ মহিউদ্দিন, ঢাকা থেকে ছাত্রনেতা মুনতাসির মাহমুদ, লিয়াকত সরকার, মেজর ( অব: ) আবু বকর সিদ্দীক, মাওলানা রফিক আহমদ, সাংবাদিক বদরুজ্জামান বাবুল,মোহাম্মদ এমাদুর রহমান, সৈয়দ জাকারিয়া, তাজুল ইসলাম, বিবিসিএ সেক্রিটারি ফয়জুন নূর, ইতালির রোম থেকে মানবাধিকার কর্মী মনিরুজ্জামান জমাদ্দার, কবির আহমেদ, সাংবাদিক ও মানবাধিকার কর্মী মোহাম্মদ আলী খানসুর, রাজ হাসান, ব্যারিস্টার মুসতাসিম তানযীর প্রমুখ ।
    সভায় জেলে থাকাকালীন লেখক মুশতাকের মৃত্যুকে পরিকল্পিত হ্ত্যাকান্ড উল্লেখ করে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ ও তীব্র নিন্দা জানানো হয়। বিচারবিভাগীয় তদন্তের মাধ্যমে দোষী ব্যক্তিদের চিহ্নিত করে গ্রেফতার ও বিচারের দাবি জানানো হয়। বক্তারা কার্টুনিস্ট কিশোরসহ এই আইনে আটক সকল বিবেকবন্দির মুক্তির দাবি জানান।