সোনারগাঁওয়ের রিসোর্টে কান্ড : মামুনুল হককে প্রধান আসামি করে মামলা

    বাংলাদেশ মেইল ::

    নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁওয়ের রয়েল রিসোর্টে হেফাজতে ইসলামের কেন্দ্রীয় যুগ্ম মহাসচিব মাওলানা মামুনুল হককে নারীসহ স্থানীয় জনতা অবরুদ্ধ করার ঘটনায় হেফাজত নেতাকর্মীদের সহিংসতার তিনদিন পর পৃথক তিনটি মামলা হয়েছে।

    বুধবার (৭ এপ্রিল) দুপুরে সোনারগাঁও থানায় দুই পুলিশ কর্মকর্তা বাদী হয়ে মামলা দুইটি দায়ের করেন। এতে মাওলানা মামুনুল হককে প্রধান আসামি করে এবং ৮৩ জনের নাম উল্লেখ করে ওই মামলা দায়ের করা হয়। এছাড়া স্থানীয় এক সংবাদকর্মীকে হেফাজতে ইসলামের নেতাকর্মীরা মারধর ও লাঞ্ছিত করার ঘটনায় আরও একটি মামলা হয়েছে।
    সোনারগাঁও থানার ওসি মো. হাফিজুর রহমান মামলার দায়েরের বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, তিনটি মামলা হেফাজতে ইসলামের কেন্দ্রীয় যুগ্ম মহাসচিব মাওলানা মামুনুল হককে প্রধান করে ৫ থেকে থেকে ৬০০ জনকে আসামি করা হয়েছে। এ তিন মামলায় এখন পর্যন্ত এজাহারভুক্ত ১৫ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে।

    গ্রেফতারকৃতদের মধ্যে তিনটি মামলারই এজাহারভুক্ত আসামি মোস্তফা রয়েছে। যিনি হেফাজতে ইসলামের একজন সক্রিয় সদস্য বলে জানিয়েছে পুলিশ। মোস্তফাকে সাতদিনের রিমান্ড আবেদন করে পুলিশ বুধবার দুপুরে নারায়ণগঞ্জের আদালতে পাঠায়।
    মামুনুল হক ছাড়াও মামলায় অন্য আসামিরা হলেন- মাওলানা মহিউদ্দিন খান, মাওলানা ইকবাল হোসেন, দেলোয়ার হোসেন, মোক্তার, নাসির প্রধান, এনায়েত উলাহ, ইব্রাহিম মুন্সি, মোস্তাফিজুর রহমান, নূরে ইয়াছিনসহ ৮৩ জনের নাম রয়েছে দুটি মামলায়।
    সোনারগাঁও থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. হাফিজুর রহমান আরও জানান, হেফাজতের তাণ্ডবের ঘটনায় দায়েরকৃত তিন মামলার আসামিদের সিসিটিভির ফুটেজ দেখে শনাক্ত করে নাম ঠিকানা অন্তর্ভুক্ত করা হবে।
    এ ব্যাপারে জেলা পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন) মোস্তাফিজুর রহমান সময় নিউজকে জানান, হেফাজত নেতা মামুনুল হকের নারীঘটিতকাণ্ডে ও হেফাজত নেতাদের তাণ্ডবের ঘটনায় তিনটি মামলা হয়েছে। পুলিশ সুষ্ঠু তদন্ত করে প্রকৃত অপরাধীদের চিহ্নিত করে আইনের আওতায় আনা হবে।