ফেসবুক লাইভে ভক্তদের উদ্দেশ্য
    সশস্ত্র জিহাদের ডাক রফিকুল ইসলাম মাদানীর!

    বাংলাদেশ মেইল ::

    সরকার হঠানোর জন্য সশস্ত্র জিহাদ করতে চান মাওলানা রফিকুল ইসলাম মাদানী। শনিবার রাতে মামুমুল হককে আটকের পরে ফেসবুক  লাইভে তাকে এমন বক্তব্য দিতে যায়।

    মাওলানা রফিকুল ইসলাম মাদানী বলেন মাফিয়া সরকারের বিরুদ্ধে সশস্ত্র জিহাদের কোন বিকল্প নেই৷ দেশে আলেম ওলামাদের সম্মান বাঁচাতে হলে সবাইকে একজোট হয়ে এ মাফিয়া সরকারের বিরুদ্ধে আন্দোলনে নামতে হবে৷

    এই সরকার  বহু আগেই আলেমদের সম্মান দিতে ভুলে গেছে। বর্তমান সরকারকে নাস্তিক মুরতাদ ও সুশীল নামক জানোয়ারদের সরকার বলেও মন্তব্য করেন শিশু বক্তা হিসেবে পরিচিত  রফিকুল ইসলাম মাদানী।

    লাইভে তিনি আরো বলেন, ইংরেজদের হাত থেকে দেশ বাঁচাতে দেওবন্দের আলেম ওলামারা একযোগে মাঠে নেমেছিলেন। তার তখন ভাবেন নি, ইংরেজকে হঠিয়ে রাস্ট্র ক্ষমতা গ্রহন করবেন। ঠিক তেমনিভাবে বাংলাদেশের আলেম সমাজেরও উচিত কে ক্ষমতায় আসলো সেটা না ভেবে এই মাফিয়া সরকারের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তোলা৷। এসময় সেনাবাহিনী ক্ষমতা গ্রহন করলেও হেফাজতের কোন সমস্যা নেই -এমন মন্তব্যও করেন এই শিশু বক্তা।

    মুসলমানদের  সম্মান বাঁচাতে সকল ইসলামি দলকে একই পতাকা তলে এসে  আজই সিদ্ধান্ত নেয়ার আহবানও জানান তিনি।

    বাংলাদেশ খেলাফত মজলিসের মহাসচিব, হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশের যুগ্ম মহাসচিব মাওলানা মামুনুল হককে ষড়যন্ত্রমূলক ভাবে হেনস্তা করার প্রতিবাদ জানাতে গিয়ে ফেসবুক লাইভে সশস্ত্র জিহাদের ডাক দেয়াকে রাষ্ট্রদোহীতা ছাড়া আর কিছুই নয় -এমন মন্তব্য সুশীল সমাজের।

    মুক্তিযোদ্ধা ও সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব নাসির উদ্দিন ইউসুফ বাচ্চ বলেন, আমরা শুরু থেকেই বলে আসছি হেফাজতের সঙ্গে আওয়ামী লীগের সখ্যতা  আত্মঘাতী হতে পারে। সরকারের বিরুদ্ধে এ ধরনের বহু কথা,  জিহাদের ডাক হেফাজত নেতারা সকাল বিকাল দিয়ে থাকেন। তবে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে সশস্ত্র জিহাদের হুমকিকে আমলে নেয়া উচিত।

    শনিবার স্বাধীনতার সুবর্ণ জয়ন্তীতে দেশে বিভিন্ন স্থানে তাণ্ডব চালানোর দায়ে হেফাজত ও তাদের সমর্থনকারীদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য সরকারের কাছে দাবি জানিয়েছেন আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য শেখ ফজলুল করিম সেলিম। একই দিন রাতে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে সশস্ত্র জিহাদের জন্য উদ্ভুদ্ধ করলেন রফিকুল ইসলাম মাদানী।

    প্রসঙ্গত, কিছুদিন আগে ঢাকায় মোদী বিরোধী আন্দোলনে যোগ দিতে গিয়ে আটক হয়েছিলেন। তিনি পরে অবশ্য তাকে ছেড়ে দেয়া হয় থানা থেকেই।

     

    বাংলাদেশ মেইল / সাইফুল