এস আলম গ্রুপের বিদ্যুৎ প্রকল্পে শ্রমিক হত্যা, ৬৮ জন বিশিষ্ট নাগরিকের বিবৃতি

    বাংলাদেশ মেইল ::

    বাঁশখালী বিদ্যুৎ কেন্দ্রে আন্দোলনরত  শ্রমিকদের উপর গুলি চালিয়ে পাঁচ শ্রমিক হত্যার  প্রতিবাদ জানিয়ে বিবৃতি দিয়েছেন দেশের ৬৮ জন বিশিষ্ট ব্যক্তি। তারা এ ঘটনাকে আইনের পরিপন্থী উল্লেখ করে হত্যা ও গুলিবর্ষণের ঘটনার নিরপেক্ষ বিচার-বিভাগীয় তদন্তের দাবি জানিয়েছেন। একইসঙ্গে দোষী পুলিশ সদস্যদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি করেছেন।
    শনিবার (১৭ এপ্রিল) সংবাদ মাধ্যমে এ বিবৃতি পাঠান।

    বিবৃতিতে তারা বলেন, বকেয়া মজুরির দাবিতে সমাবেশরত নিরীহ শ্রমিকদের ওপর গুলিবর্ষণ শ্রমজীবীদের বর্বর নির্যাতনের উদাহরণ যা  গণতান্ত্রিক সমাজের জন্য লজ্জাকর। আমরা এ ঘটনায় তীব্র নিন্দা জ্ঞাপন করছি। বাংলাদেশের সংবিধান ও আইন অনুসারে পুলিশ কোন অবস্থাতেই নিরীহ শ্রমিকদের ওপর গুলি চালানোর অনুমতি পেতে পারে না।’

    তারা আরও বলেন, ‘করোনা অতিমারির এই দুর্যোগে শ্রমজীবী মানুষের জীবন-জীবিকা যেখানে এমনিতেই দুর্বিষহ হয়ে উঠেছে, সেখানে মজুরি না দেওয়া শ্রম আইন ও মানবাধিকারের লঙ্ঘন। এস আলম গ্রুপের মতো ধনী শিল্পগোষ্ঠী কেন শ্রমিকদের বকেয়া বেতন পরিশোধ করেনি তার যথাযথ তদন্ত হওয়া প্রয়োজন। একইসাথে শ্রমিকদের মজুরি প্রদানে অবহেলা করার কারণে এস. আলম গ্রুপের সঙ্গে কয়লা-বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণে সরকারের যে চুক্তি হয়েছে তা বাতিলের দাবি জানাই।’

    বিবৃতিতে স্বাক্ষর করেছেন- গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতা ও ট্রাস্টি ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী, মানবাধিকার কর্মী ড. হামিদা হোসেন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অবসরপ্রাপ্ত অধ্যাপক আকমল হোসেন, তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সাবেক উপদেষ্টা সুলতানা কামাল, সাবেক মন্ত্রিপরিষদ সচিব আলী ইমাম মজুমদার, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রফেসর আনু মুহাম্মদ, নিজেরা করি’র সমন্বয়কারী খুশি কবীর, ব্র্যাকের নির্বাহী চেয়ারম্যান হোসেন জিল্লুর রহমান, ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশের নির্বাহী পরিচালক ইফতেখারুজ্জামান, মানুষের জন্য ফাউন্ডেশনের নির্বাহী পরিচালক শাহীন আনাম।