নানা অজুহাতে মাক্স পড়তে অনিহা,জরিমানা করলো জেলা প্রশাসন

     

    নিজস্ব প্রতিবেদক

    আপনার মাস্ক কই? মাস্ক পরেননি কেন? এমন প্রশ্নের উত্তরে মিলেছে হাজার রকমের অজুহাত। কেউবা বলছেন মাস্ক বাসায় রেখে এসেছেন,কেউবা বলছেন ছিড়ে গেছে। এমন অজুহাতে জেলা প্রশাসনের ১০ ভ্রাম্যমান টিমের জরিমানায় ২৪ মামলায় ৭৭০০ টাকা জরিমানা গুনতে হলো তাদের।

    গতকাল রবিবার দিনব্যাপি নগরীর পাঁচলাইশ বাকলিয়া চকবাজার, খুলশী বায়েজিদ ও পতেঙ্গা ইপিজেড বন্দর চান্দগা এলাকায় অভিযান পরিচালনা করা হয়।

    নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মোঃ রায়হান মেহেবুব নগরীর পাঁচলাইশ বাকলিয়া ও চকবাজার এলাকায় মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করে জনসাধারণকে সচেতন করেন এবং সচেতনতার পাশাপাশি মাস্ক বিতরণ করেন।

    নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট নাজমা বিনতে আমিন নগরীর খুলশী বায়েজিদ ও চান্দগাও এলাকায় মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করার সময় ৩ মামলায় ১৭০০ টাকা জরিমানা আদায় করেন।

    নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট আশরাফুল হাসান পতেঙ্গা ইপিজেড ও বন্দর এলাকায় মোবাইল কোর্ট পরিচালনা কালে ০১ টি মামলা দায়ের করে ১০০০ টাকা অর্থদণ্ড আদায় করেন ।

    ১০ অভিযানে ২৪ মামলায় ৭৭০০ টাকা অর্থদণ্ড এবং ১০০০ মাস্ক বিতরণ।

    নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মামনুন আহমেদ অনিক খুলশী, বায়েজিদ ও চান্দগাও এলাকায় মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করার সময় অধিকাংশ মানুষ কে স্বাস্থ্য বিধি মেনে চলতে দেখেন । সর্বাত্মক লকডাউন মেনে চলার ব্যাপারে জনসাধারণকে সচেতন করেন এবং জেলা প্রশাসনের পক্ষে মাস্ক বিতরণ করেন।

    নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মাসুমা জান্নাত নগরীর কোতোয়ালি সদরঘাট ও ডবলমুরিং এলাকায় মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করার সময় ০৬ টি মামলায় ১২০০ টাকা অর্থদণ্ড আদায় করেন এবং লকডাউন ও স্বাস্থ্য বিধি মেনে চলার ব্যাপারে জনসাধারণকে সচেতন করেন।

    নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মিজানুর রহমান নগরীর কোতোয়ালি সদরঘাট ও ডবলমুরিং এলাকায় মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করার সময় ১ মামলায় দায়ের করে ৩০০ টাকা অর্থদণ্ড আদায় করেন। এছাড়াও সাধারণ মানুষের মাঝে মাস্ক বিতরণ করেন।

    নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট আলী হাসান শহরের পাহাড়তলী হালিশহর ও আকবরশাহ এলাকায় মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করার সময় ৩ মামলায় দায়ের করে ১২০০ টাকা অর্থদণ্ড আদায় করেন এবং জেলা প্রশাসন, চট্টগ্রামের পক্ষ হইতে মাস্ক বিতরণ করেন।
    নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মোঃ উমর ফারুক নগরীর কোতোয়ালি ও নিউমার্কেট এলাকায় মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করার সময় ১ মামলায় ২০০ টাকা অর্থদণ্ড আদায় করেন এবং সচেতনতার পাশাপাশি মাস্ক বিতরণ করেন।

    নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মোঃ জিল্লুর রহমান নগরীর পতেঙ্গা ইপিজেড ও বন্দর এলাকায় মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করে ৮ টি মামলায় ১৬০০ টাকা অর্থদণ্ড আদায় করেন।

    ম্যাজিস্ট্রেট মোঃ আশরাফুল আলম নগরীর পাঁচলাইশ বাকলিয়া ও চকবাজার এলাকায় মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করে ১ টি মামলায় ৫০০ টাকা অর্থদণ্ড আদায় করেন।