আলোচনা সমালোচনার ঝড় ফেসবুকে
    কি ঘটেছে নায়িকা পরী মনির সাথে!

    বাংলাদেশ মেইল ::

    জনপ্রিয় নায়িকা পরী মনির ফেসবুক স্ট্যাটাসে ধর্ষণ ও হত্যাচেষ্টার অভিযোগ আনার পর এবার গণমাধ্যমের সামনে এসেছেন বিস্তারিত বর্ণনা নিয়ে।

    ‘আমাকে রেপ এবং হত্যার চেষ্টা করা হয়েছে’ বলে নিজের ভ্যারিফায়েড ফেসবুক পোস্টে একটি অভিযোগ করেছেন ঢালিউডের আলোচিত নায়িকা পরীমনি। এনিয়ে সংবাদ সম্মেলন করছেন তিনি।

    পরী জানান, এই ঘটনাটি ঘটে চারদিন আগে, ঢাকা বোট ক্লাবে। এই ক্লাবের একজন পরিচালক নাসির ইউ মাহমুদ। তিনি উত্তরা ক্লাবের সাবেক প্রেসিডেন্টও ছিলেন।

    নিজ বাসায় বসে ঘটনার বর্ণনা দিতে রবিবার রাত সাড়ে ১০টার দিকে বার বার কান্নায় ভেঙে পড়েন পরী। বলেন, একটি সিনেমার মিটিংয়ের কথা বলে সেদিন রাতে বোট ক্লাবে তাকে নিয়ে যায় অমি নামে তার এক পরিচিতজন।
    পরী বলেন, ‘বেশ ক’দিন ধরেই এই বৈঠকের কথা চলছিলো। কিন্তু আমি আগ্রহ পাচ্ছিলাম না। পরে অমির অনুরোধে সেদিন রাতে আমি বৈঠকে যাই। যাওয়ার পর যা ঘটেছে সেটা আর বলে বোঝাতে পারবো না।’

    পরী জানান, সেদিন রাতে তাকে পানীয়র সঙ্গে কিছু একটা খাওয়ানো হয়েছিল। কারণ, সারাক্ষণ তিনি প্রচণ্ড অস্থির আর অস্বস্তি ফিল করছিলেন। এরমধ্যে তাকে করতে হয়েছে বাঁচার যুদ্ধ। সেখান থেকে সেদিন রাতে বেরিয়েই পরী যান বনানী থানায়। পরী মনি তাকে  চড় মারার অভিযোগ করেছেন অভিযুক্ত ব্যক্তির বিরুদ্ধে। ‘

    ঘটনার এক পর্যায়ে রুমের লাইট অফ করে দেওয়ার কথা জানান তিনি।

    পরীর অভিযোগ, থানাতে তার অভিযোগ শুনলেও সাধারণ ডায়েরি করেনি কর্তব্যরত অফিসার।

    তবে পরী মনির এমন অভিযোগ নিয়ে বিভিন্ন আলোচনা সমালোচনায় মেতেছেন নেটিজেনরা। কেউ কেউ ঘটনার সত্যতা নিয়ে প্রশ্ন করছেন। কেউ আবার পুলিশের নির্লিপ্ততার কারন খুঁজে দিচ্ছেন স্টাটাস।

    পূর্বপশ্চিম. কমের সম্পাদক নুর ই নাহারিন মুন্নি লিখেছেন, কোথাও একটা ভুল হচ্ছে নাতো ?নাম করা জনপ্রিয় একটি ক্লাবে এতো লোকজনের মাঝে যৌন নির্যাতন কিংবা ধর্ষণের চেষ্টা করা কিভাবে সম্ভব ?

    উক্ত ক্লাবের সদস্য সংখ্যা প্রায় ৩ হাজার। পরিবেশ এবং দৃষ্টি নন্দন স্থাপনার জন্য প্রচুর লোক সমাগম। শুনেছি রাত ১ টা পর্যন্ত ভিড় থাকে।যার বিরুদ্ধে অভিযোগ আনা হচ্ছে তিনি ঠাণ্ডা মাথার অত্যন্ত বিচক্ষণ ব্যক্তি ।এর আগেও তিনি নাম করা অন্য একটি ক্লাবের পর পর কয়েকবারের প্রেসিডেন্ট ছিলেন।

    ক্লাব কালচারে নারীদের অতীব সম্মানের সাথে দেখা হয়।ক্লাবে যে কোন নারীর সাথে অসদাচরণ মানে ব্ল্যাক বল পাওয়া অর্থাৎ ক্লাবে নিষিদ্ধ ঘোষিত হওয়া। কোন কোন ক্ষেত্রে লক্ষ লক্ষ টাকার মেম্বারশিপ নিমিষেই বাজেয়াপ্ত ঘোষণা।

    যে কোন নারীর সাথে বাজে ব্যাবহার ক্লাবের রেপুটেশনের জন্য হানিকর।
    তাঁর মত অভিজ্ঞ একজন ব্যক্তির পক্ষে এতো কাঁচা কাজ কেমনে সম্ভব ?

    সব পুরুষ ধোঁয়া তুলসী পাতা বলছি না, কিন্তু সত্যি সত্যি কেউ চাইলে বা মিন করলে তাঁর জন্য ঢাকা শহরে জায়গার অভাব তো নেই।

    ক্লাব মানে জনসম্মুখ, হাজার হাজার জনতা, দেশের সব শ্রেণী পেশার লোকদের উপস্থিতি। যে কোন ঘটনা নিমিষেই পুরো দেশ তথা পৃথিবীতে ছড়িয়ে যায়।

    তিনি নিজে অনেক গুলো ক্লাবের মেম্বার এবং ক্লাব কালচারে অভ্যস্ত ব্যক্তি।
    সামাজিক কোন ক্লাবে কোনদিন বিন্দুমাত্র নোংরামি দেখিনি।

    ধর্ষণ কিংবা যৌন নির্যাতনের প্রশ্নই উঠে না।সামান্য টোন করাকে নোংরা ইঙ্গিত ধরে নিয়ে সেখানে গর্হিত অপরাধ বলে বিবেচিত ।

    তবে মিছেই কেন মেয়েটির সাথে খারাপ ব্যাবহার করবে ? জোর করে ওর গলায় মদ ঢেলে দিবে ?

    কেবল ধর্ষকের নাম শুনে না যেই সোশ্যাল ক্লাবের কথা বর্ণনা করা হয়েছে অর্থাৎ ক্লাব লাউঞ্জে ধর্ষণ অসম্ভব বলে মনে করি। সেখানে ক্লাব মেম্বার ছাড়াও শত শত কর্মচারী, সিকিউরিটিতে ভরপুর। ঘটনাটি নিয়ে আমি কনফিউজড, দ্বিধায় ভুগছি।

    পুরো ব্যাপারটি ধোঁয়াশায় ঘেরা। তবে মেয়েটি যদি মানসিক এবং শারীরিক যে কোন ধরনের নির্যাতনের শিকার হয়ে থাকে তাঁর জন্য আমার সমবেদনা এবং সহানুভূতি থাকবে। নির্যাতন অবশ্যই শাস্তি যোগ্য অপরাধ।