ঘুষের টাকা স্ত্রীর নামে বিনিয়োগ
    দুদুকের জালে পিডিবি চট্টগ্রামের সাবেক তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী

    বাংলাদেশ মেইল ::

    নিজের স্ত্রীর নামে তিন কোটি চুরাশি লক্ষ ৭৪ হাজার ৬০৭  টাকার জ্ঞাত আয়-বহির্ভূত সম্পদ অর্জন,  গোপন করার অভিযোগে বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ড চট্টগ্রামের সাবেক তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী এসএম আজিমের বিরুদ্ধে মামলা করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।

    রোববার (১৩ জুন) বিকেলে দুদক সমন্বিত জেলা কার্যালয় ঢাকা-১ উপপরিচালক মো. হাফিজুল ইসলাম বাদি হয়ে দুইজনের বিরুদ্ধে  মামলাটি দায়ের করেন।

    বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন দুদক সমন্বিত জেলা কার্যালয় ঢাকা-১ এর উপপরিচালক মো. হাফিজুল ইসলাম।

    মামলায় অভিযুক্তরা হলেন, চট্টগ্রামের বন্দর থানার উত্তর মধ্যম হালিশহর রশিদা ম্যানশনের বাসিন্দা বাংলাদেশ বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ড চট্টগ্রামের  সাবেক তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী এসএমএ আজিম (৫৬) ও তার স্ত্রী মোছাম্মদ নবতারা নুপুর (৪৭)। প্রকৌশলী এসএমএ আজিম বর্তমানে বাংলাদেশ বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডের প্রধান কার্যালয়ের পূর্তকর্ম বিভাগের পরিচালক হিসেবে কর্মরত রয়েছেন।

    জানা যায়, বাংলাদেশ বিদ্যুৎ উন্নয়নের (পিডিবি) চট্টগ্রামের  সাবেক তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী এসএমএ আজিমের স্ত্রী নবতারা নুপুর স্বামীর অবৈধ আয়ে অর্জিত সম্পদ নিজ নামে দেখিয়ে তাকে রাজস্ব বিভাগ, দূর্নীতি দমন কমিশনের দৃস্টির আড়ালে রাখতেন। ২০১৬ সালে এসএমএ আজিমের বিরুদ্ধে অনুসন্ধানে নামে দুদুক। ২০১৮  সালে ১০ জুলাই তার সম্পদ বিতরনী জারীর সুপারিশসহ তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল করা হয়।

    মামলা রুজু করার আবেদন নথি অনুযায়ী  বাংলাদেশ বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডের সাবেক তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী এস এম এ আজিম ও তার স্ত্রী নবতারা নুপুরকে সম্পদ বিবরণী জমা দিতে বলা হলে তারা ২০১৮ সালের নভেম্বর মাসে যে বিবরণী জমা দিয়েছিলেন তাতে সম্পদের বিভিন্ন তথ্য গোপন করেছেন নবতারা। দুদকের তদন্তে বের হয়ে আসে তারা  জ্ঞাত বর্হিভুত সম্পদ অর্জন, দখল ও গোপন করেছেন৷ চিঠিতে বলা হয় নবতারা নুপুরের দখলে ৯৪ লাখ ২৮ হাজার ১৭২ টাকার অবৈধ সম্পদের খোঁজ পেয়েছে দুদকের তদন্তকারী কর্মকর্তা। যা সম্পদ বিবরণীতে গোপন করেছেন নবতারা নপুর।

    দুদক সূত্র জানায়,  চাকুরীরত অবস্থায় অবৈধ উপায়ে সম্পদ অর্জন করে তা নিজের স্ত্রী নবতারার নামে বিনিয়োগ করতেন প্রকৌশলী  এসএমএ আজিম। এভাবে নগরীর হালিশহরে গড়ে তুলেছেন বহুতল ভবন৷ বিনিয়োগ করেছেন সঞ্চয়পত্রে।

    দুদক সুত্রে আরও জানা যায়,তাদের বিরুদ্ধে দুর্নীতি দমন কমিশন আইন ২০০৪ এর ২৬ (২) ও ২৭ (১) ধারা এবং মানি লন্ডারিং প্রতিরোধ আইন ২০১২ এর ৪ (২) ধারা ও দন্ডবিধি ১০৯ ধারায় অভিযোগ এনে মামলা রুজু করা হয়।  বর্তমানে বিষয়টির অধিকতর তদন্তের জন্য আনুষঙ্গিক তথ্যপ্রমাণ  চট্টগ্রাম দুদক কার্যালয়ে প্রেরণ করা হয়েছে।