ভেঙ্গে দেয়া হলো রাজনৈতিক সিন্ডিকেট
    মামুনুল বাদ, হেফাজতের ৩৮ সদস্যের নতুন কমিটি

    বাংলাদেশ মেইল ::

    অবশেষে বহুল আলোচিত-সমালোচিত কওমি মাদরাসাভিত্তিক সংগঠন হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশের কেন্দ্রীয় কমিটি প্রকাশ করা হয়েছে। সোমবার সকাল ১১টায় খিলগাঁও মাখজানুল উলুম মাদ্রাসায় সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে নতুন এ কমিটি ঘোষণা করার কথা থাকলেও রাতে নতুন কমিটি প্রকাশ করা হয়েছে।

    ৩৮ সদস্যের নতুন কমিটিতে রাজনৈতিক পরিচয়ধারী নেতাদের বাদ দেওয়া হয়েছে। তবে ঘোষিত এ কমিটি  আংশিক। পরবর্তীতে এতে আরও সংযোজন হবে বলে জানা গেছে।

    নতুন কমিটির নায়েবে আমির মাওলানা সালাউদ্দিন নানুপুরী বলেন, বিতর্কিত নেতাদের বাদ দিয়ে কমিটি গঠনের উদ্যোগ করা হয়েছে । সরাসরি রাজনৈতিক দলের পদে আছেন এমন কাউকে  কমিটিতে রাখা হয়নি।

    কমিটিতে জুনায়েদ বাবুনগরীকে আমির এবং নুরুল ইসলাম জিহাদীকে মহাসচিব হিসেবে রাখা হয়েছে। কমিটির বর্তমান পরিধি ৩৮ সদস্যবিশিষ্ট । যেখানে প্রয়াত আমীর শাহ আহমদ শফীর বড় ছেলে  মো. ইউসুফকে সহকারী মহাসচিব হিসেবে রাখা হয়েছে ।

    কমিটিতে মাওলানা আতাউল্লাহ হাফেজ্জী, মাওলানা সালাউদ্দিন নানুপুরী, অধ্যক্ষ মিজানুর রহমান, মাওলানা মুহিব্বুল হক (সিলেট), মাওলানা উবায়দুর রহমান মাহবুব (বরিশাল) কয়েকজনকে নায়েবে আমির হিসেবে রাখা হয়েছে।

    যুগ্ম মহাসচিব হিসেবে রয়েছেন- মাওলানা সাজিদুর রহমান (বি-বাড়িয়া), মাওলানা আবদুল আউয়াল (নারায়নগঞ্জ) ও মাওলানা আরশাদ রহমানী (বসুন্ধরা)।

    কমিটি থেকে বাদ পড়েছেন সদ্য বিলুপ্ত কমিটির যুগ্ম-মহাসচিব মাওলানা মামুনুল হক, নাছির উদ্দিন মুনির, সাংগঠনিক সম্পাদক আজিজুল হক ইসলামাবাদী, কেন্দ্রীয় নেতা জাকারিয়া নোমান ফয়জী, খালিদ সাইফুল্লাহ আইয়ুবী, হাসান জামিল, মুফতি হারুন ইজহারসহ নানা ইস্যুতে বিতর্কে জড়িয়ে পড়া হেফাজতের নেতারা।

    একইভাবে আল্লামা আহমদ শফীর হত্যা মামলার অভিযুক্ত নেতাদেরও বাদ দেওয়া হয়েছে। এছাড়া সদ্য বিলুপ্ত কমিটিতে একক আধিপত্য বিস্তারকারী ‘রাবেতা’ ও ‘জমিয়ত’ সিন্ডিকেটও ভেঙে দেওয়া হয়েছে।

    গত বছরের ১৫ নভেম্বর জুনায়েদ বাবুনগরীকে আমির করে ১৫১ সদস্য বিশিষ্ট হেফাজতের কমিটি ঘোষণা করা হয়। সেখানে হেফাজতের প্রতিষ্ঠাতা আমির আহমদ শফীর ছেলে আনাস মাদানীসহ শফী অনুসারী কাউকে রাখা হয়নি।

    প্রসঙ্গত, ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির বাংলাদেশ আগমনকে কেন্দ্র করে গত মার্চের ২৫, ২৬ ও ২৭ তারিখ দেশজুড়ে যে সহিংস ঘটনা ঘটেছে, অন্তত ১৭ জন মানুষের প্রাণহানি হয়। এসব নাশকতার পেছনে জড়িত থাকার অভিযোগে অন্তত এক ডজন হেফাজত নেতা গ্রেফতার রয়েছেন।