পটিয়ায় অপহরণ মামলার আসামী ছাড়াতে এমপির তদবির, মামলার বাদীর প্রতিবাদ

    বাংলাদেশ মেইল ::

    সম্প্রতি পটিয়ার এক ব্যবসায়ীকে অপহরণের অভিযোগে মীর কাসেম (৫০) নামের একজনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। মীর কাসেম পটিয়া উপজেলার খরনা ইউনিয়নের মৃত আবু ছালেহ‘র পুত্র।

    জানা গেছে, পটিয়া উপজেলার খরনা ইউনিয়নের মাহবুবুল বশর বুলু নামের এক ব্যবসায়ীকে গত শনিবার বিকেল ৫টার দিকে অস্ত্রের মুখে কমলমুন্সির হাট এলাকা থেকে অপহরণ করা হয়। অপহরণকারীরা পাঁচলাখ টাকার দাবিতে তাকে শারীরিকভাবে নির্যাতন করে।

    খবর পেয়ে পটিয়া থানা পুলিশ অপহরণের সাড়ে ৪ ঘণ্টা পর মাহবুবুল বশর বুলুকে উদ্ধার করে। উদ্ধার হওয়ার পর মাহবুবুল বশর বুলু বাদি হয়ে ওই রাতেই পটিয়া থানায় মীর কাসেমকে প্রধান আসামি ও ২০ থেকে ২৫ জনকে অজ্ঞাত আসামি করে একটি অপহরণ মামলা দায়ের করেন।

    সে মামলায় গ্রেফতার হওয়ার কয়েকটি গণমাধ্যম মীর কাসেমকে পটিয়ার সরকারীদলীয় সংসদ সদস্য ও জাতীয় সংসদের হুইপ শামসুল হক চৌধুরীর অনুসারী প্রচার করে সংবাদ পরিবেশন করা হয়। যা সম্পূর্ণ মিথ্যা ও ভিত্তিহীন বলে দাবি করে তার প্রতিবাদ জানিয়েছেন মামলার বাদী মাহবুবুল বশর বুলু।

    তিনি বলেন, মীর কাসেম গ্রেফতার হওয়ার পর একটি মহল বিষয়টিতে জলঘোলা করার জন্য পটিয়ার সংসদ সদস্য ও জাতীয় সংসদের হুইপ শামসুল হক চৌধুরীর নামে বানোয়াট সংবাদ প্রকাশ করে। যা সম্পূর্ণরূপে ভিত্তিহীন ও বানোয়াট। এ ঘটনায় পটিয়ার উন্নয়নের রূপকার জননেতা শামসুল হক চৌধুরীর কোনো হস্তক্ষেপ করেননি। আমি মামলার বাদী আমি জানি না, অথচ একটি মহল ফলো করে সেটা প্রচার করছে।

    তার দাবি, পটিয়ার সংসদ সদস্য শামসুল হক চৌধুরীকে হেয় প্রতিপন্ন করার মানসে এসব করা হচ্ছে। যা অত্যন্ত ঘৃণিত। পটিয়ার আপামর জনসাধারণ শামসুল হক চৌধুরীর নেতৃত্বে তার উন্নয়নের সুফল ভোগ করছে। তাতে অনেকের গাত্রদাহ সৃষ্টি হচ্ছে। যার কারণে শামসুল হক চৌধুরীর নামে এ বানোয়াট সংবাদ প্রকাশ করছে। আমি এ ঘটনার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি।