বাজারে ভিড়, বেড়েছে আদা-রসুনের দাম

    বাংলাদেশ মেইল:

    আসন্ন ঈদুল আজহাকে সামনে রেখে রাজধানীর বাজারে আদা রসুনের দাম বেড়েছে। তবে প্রতিবছর কোরবানির ঈদে গরম মসলার দাম বাড়লেও এবার বাড়েনি। এছাড়া বাজারে সেমাই, চিনিসহ অন্যান্য ঈদ পণ্যের বিক্রি বেড়েছে বলে জানিয়েছে বিক্রেতারা।

    তবে  চিনি,  আদা রসুনের বাড়তি দামের কারণে সন্তষ্ট নন ক্রেতারা। আজ শনিবার রাজধানীর বিভিন্ন বাজার ঘুরে সেমাই, চিনি ও মসলার দোকানগুলোতে তুলনামূলক বেশি ভিড় দেখা গেছে। দোকানে ভিড় করে ক্রেতারা সেমাই, চিনি, দারুচিনি, এলাচ, জিরা, জয়ফল, কাজুবাদামসহ বিভিন্ন পণ্য কিনছেন।

    বাজারে খোঁজ নিয়ে জানা যায়, গরম মসলার দাম না বাড়লেও গত সপ্তাহ থেকেই আদা রসুনের দাম দুই দফা বেড়েছে। সপ্তাহের ব্যবধানে চায়না থেকে আমদানি করা আদার দাম কেজিতে ৬০ টাকা এবং রসুনের দাম ৪০ টাকা পর্যন্ত বেড়েছে। খুচরা পর্যায়ে চীনা আদার কেজি বিক্রি হচ্ছে ১৮০ থেকে ২০০ টাকা, যা এক সপ্তাহ আগে ছিল ১৩০ থেকে ১৪০ টাকার মধ্যে।আর চীনা রসুন বিক্রি হচ্ছে ১৬০ থেকে ১৮০ টাকা কেজি। এক সপ্তাহ আগে এই রসুনের দাম ছিল ১৩০ থেকে ১৪০ টাকার মধ্যে।

    কারওয়ান বাজারের এক ব্যবসায়ী বলেন, এখন চীনা আদা ও রসুনের আমদানি কম। দেশি আদা-রসুন বাজারে কম রয়েছে। আবার সামনে ঈদ হওয়ার কারণে সম্প্রতি কিছু ক্রেতা আদা-রসুন বাড়তি পরিমাণে কিনেছেন। এ সবকিছু মিলেই আদা ও রসুনের দাম বেড়েছে।

    ওদিকে খুচরা বাজারে শুকনা মরিচের কেজিতে বিক্রি হচ্ছে ২০০ থেকে ২৪০ টাকা, হলুদের কেজি বক্রি হচ্ছে ২২০ থেকে ২৮০ টাকায়, ভারতীয় জিরার কেজি বিক্রি হচ্ছে ৩৫০ থেকে ৪০০ টাকার মধ্যে। দারুচিনির কেজিতে বিক্রি হচ্ছে ৪০০ থেকে ৪২০ টাকা। এলাচ বিক্রি হচ্ছে ২ হাজার ৬০০ থেকে ২ হাজার ৮০০ টাকা কেজি। লবঙ্গের কেজি বিক্রি হচ্ছে ১ হাজার ৫০ থেকে ১ হাজার ১০০ টাকার মধ্যে। গত এক সপ্তাহের মধ্যে এ পণ্যগুলোর দাম স্থিথিশীল রয়েরে।

    পাইকারি বাজারেও গরম মসলার দাম স্থিতিশীল রয়েছে। কাওরান বাজারের বিক্রেতারা জানান, পাইকারিতে ভারতীয় জিরার কেজি বিক্রি হচ্ছে ২৭০ থেকে ২৮০ টাকা। চারুচিনি কেজি বিক্রি হচ্ছে ৩১০ থেকে ৩৬০ টাকা। এলাচের কেজি বিক্রি হচ্ছে ১ হাজার ৭৫০ থেকে ২ হাজার ৪৫০ টাকা। আর লবঙ্গের কেজি বিক্রি হচ্ছে ৯০০ থেকে ৯৪০ টাকা।

    কচুক্ষেত বাজারের একটি দোকানে মসলা কিনতে আসার একজন ক্রেতা জানান, ঈদের আর মাত্র ৩ দিন বাকি। তাই বাজার সদাই সেরে ফেলছি। কোরবানির ঈদে মসলা একটু বেশি লাগবে। তাই একটু বাড়তি করে কিনে রাখছি। ঈদ উপলক্ষে সবকিছুর দাম সাধারণত একটু বেশিই হয়। তবে এবার এমনিতেই নিত্য পণ্যের দাম বাড়তি। যেমন চিনির দাম আগে থেকেই বাড়তি। কি আর করা বাড়তি দামেই কিনতে হচ্ছে। দুই প্যাকেট লাচ্ছা সেমাই কিনেছি। লাচ্ছা সেমাইয়ের দাম তুলনামূলক ঠিকই আছে। তবে চিনির দাম অনেক। এক কেজি প্যাকেট চিনির দাম ৭৮ টাকা নিয়েছে। চিনির দাম কমানো উচিত।

    এই দোকানের বিক্রেতা আবির হোসেন বলেন, কোরবানির ঈদের জন্য মসলা জাতীয় পণ্যের বিক্রি অনেক বেড়েছ। ২-৩ ধরে ভালো বিক্রি হচ্ছে। আশা করি ঈদের আগের দিন পর্যন্ত বিক্রি ভালো হবে। এবার মসলার দাম তেমন বাড়েনি। বরং এলাচ, জিরা ও দারুচিনির দাম স্বাভাবিক সময়ের তুলনায় এখন কম দামেই বিক্রি হচ্ছে। পাইকারি বাজার থেকে আমরা কম দামে কিনতে পারাই কম দামে বিক্রি করতে পারছি।