গণপরিবহন চলাচলে ৫ শর্ত মানতে হবে

    গণপরিবহন চলাচলে

    বাংলাদেশ মেইল ::

    করোনা সংক্রমণের ব্যাপকতার মাঝেও কোরবানিরই ঈদ উপলক্ষে বৃহস্পতিবার থেকে আট দিন চলমান কঠোর বিধিনিষেধ শিথিল করেছে সরকার। এ সময় গণপরিবহন চলাচলে অনুমতি দেওয়া হয়েছে। বাংলাদেশ সড়ক পরিবহণ কর্তৃপক্ষ (বিআরটিএ) পরিবহন চলাচলে বেশ কয়েকটি শর্ত দিয়েছে।

    বুধবার বিআরটিএ এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানায়, বৃহস্পতিবার মধ্যরাত থেকে ২৩ জুলাই ভোর ৬টা পর্যন্ত পাঁচটি শর্তে সব ধরনের যানবাহন চলতে পারবে। গণপরিবহন চলাচলে দেয়া হয়েছে নানা শর্ত

    শর্তগুলো হল:

    ১. বাস/ মিনিবাসে অর্ধেক আসন ফাঁকা রেখে চলতে হবে। পাশাপাশি আসনে বসা যাবে না। গণপরিবহনে আসন বিন্যাস করতে হবে আড়াআড়িভাবে। অর্থাৎ, কোনো আসনে জানালার পাশে যাত্রী বসলে পেছনের আসনের যাত্রীকে করিডরের পাশের আসনে বসতে হবে।

    ২. অর্ধেক আসন ফাঁকা রেখে চলার কারণে যে আর্থিক ক্ষতি হবে, তা পুষিয়ে নিতে বিদ্যমান ভাড়ার অতিরিক্ত ৬০ শতাংশ বাড়তি ভাড়া দিতে হবে যাত্রীদের।

    ৩. গণপরিবহনের যাত্রী, চালক, সুপারভাইজার/কন্ডাক্টর, চালকের সহকারী ও টিকিট বিক্রির দায়িত্বে নিয়োজিতদের মাস্ক পরিধান বাধ্যতামূলক। তাদের জন্য হ্যান্ড স্যানিটাইজারের ব্যবস্থা রাখতে হবে।

    ৪. যাত্রার শুরু ও শেষে বাস-মিনিবাস পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন করতে হবে। জীবাণুনাশক ছিটিয়ে এসব যান জীবাণুমুক্ত করতে হবে। এ ছাড়া যাত্রীদের হাতব্যাগ ও মালপত্র জীবাণুনাশক ছিটিয়ে জীবাণুমুক্ত করতে হবে।

    ৫. গণপরিবহনে সারিবদ্ধভাবে দাঁড়িয়ে যাত্রী ওঠানামা করতে হবে। শারীরিক ও সামাজিক দূরত্ব নিশ্চিত করতে হবে।

    এই পাঁচ শর্ত মেনে রাইডশেয়ারিং সেবার যানবাহনও চলতে পারবে। এসময় করোনার সংক্রমণ ঠেকাতে সরকারের পক্ষ থেকে দেওয়া অন্যান্য শর্তও সবাইকে পালন করতে বলা হয়েছে বিআরটিএ’র বিজ্ঞপ্তিতে।