বিয়ে করে ধর্ষণ মামলায় জামিন, সেই স্ত্রী-সন্তানকেই খুন করে মাটিচাপা

    বরগুনা প্রতিনিধি, বাংলাদেশ মেইল ::

    বরগুনার পাথরঘাটায় বিয়ের মাধ্যমে জামিন পায় ধর্ষণ মামলার আসামি সাহিন মুন্সী। পরে সেই স্ত্রী ও শিশুকন্যাকেই হত্যা করে পালিয়েছে সে। মাটি খুঁড়ে মিলেছে স্ত্রী সুমাইয়া (১৮) ও কন্যা সামিরা আক্তার জুঁইয়ের (৯ মাস) লাশ।

    পাথরঘাটা পুলিশ শনিবার সকালে বাড়ির পার্শ্ববর্তী খালপাড় থেকে মাটি খুঁড়ে লাশ উদ্ধার করে। সাহিন মুন্সী উপজেলার পূর্ব হাতেমপুর গ্রামের খলিলুর রহমান মুন্সীর ছেলে।

    স্থানীয় সূত্র জানায়, সাহিন মুন্সি সুমাইয়ার সঙ্গে প্রেমে জড়িয়ে পড়ে। এক পর্যায় সুমাইয়া অন্তঃসত্ত্বা হয়। সাহিন সুমাইয়াকে বিয়ে করতে রাজি না হলে সুমাইয়া সাহিনের বিরুদ্ধে ধর্ষণ মামলা করে। সেই মামলায় সাহিন জেল হাজতে যায়। এরই মধ্যে সুমাইয়া একটি কন্যা সন্তানের জন্ম দেয়। সাহিন আপসের শর্তে পাঁচ মাস পর জেল থেকে বের হয়ে সুমাইয়াকে বিয়ে করে।

    কিন্তু বিয়ের পর থেকেই অবৈধ সন্তান, জোর করে বিয়ে এসব নিয়ে তাদের পারিবারিক কলহ চলতে থাকে। বেশ কয়েকবার স্থানীয়ভাবে শালিস বৈঠক হয়েছে। সাহিন ও সুমাইয়ার মধ্যে দীর্ঘদিন পারিবারিক কলহ চলে আসছে।

    নিহতের পরিবার জানায়, বুধবার দুপুরে সুমাইয়ার বাবার বাডিতে তাদের দাওয়াত ছিল। সাহিন সেখানে যায়নি। দুপুরে দাওয়াত খেয়ে সুমাইয়া স্বামীর বাড়িতে আসার পর নিখোঁজ হয়। এরপর থেকে সাহিন লাপাত্তা, মোবাইল ফোন বন্ধ। বৃহস্পতিবার থানা পুলিশকে বিষয়টি জানোনো হয়।

    পাথরঘাটা থানার ওসি মোহাম্মদ আবুল বাশার জানান, স্থানীয়রা সাহিনের বাড়ির পাশে একটি নতুন গর্ত দেখে পুলিশে খবর দেয়। গর্ত খুঁড়ে মা-মেয়ের লাশ পাওয়া যায়।

    অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (পাথরঘাটা সার্কেল) তোফায়েল হোসেন সরকার জানান, ধারণা করা হচ্ছে, বুধবার রাতের কোনো সময় তাদেরকে হত্যা করে মাটিচাপা দেয় শাহিন। তাকে আটকের চেষ্টা চলছে। এ ঘটনায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য শাহিনের মা, দাদি ও মামাতো ভাইকে আটক করা হয়েছে।