বাংলাদেশ মেইল ::
নগরীর বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালিয়েছে জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর, চট্টগ্রাম বিভাগীয় ও জেলা কার্যালয়। (১৩ জুলাই) মঙ্গলবার হালিশহর, খুলশি, ইপিজেড, বন্দর ও ডবলমুরিং এলাকায় অভিযান পরিচালনা করা হয়।
সকাল ১০টা হতে পরিচালিত অভিযানে নয়টি প্রতিষ্ঠানকে ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ আইনে দুইলক্ষ তিন হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। অভিযানে হাইড্রোজ, জেলিযুক্ত চিংড়িমাছ, অননুমোদিত রং, মেয়াদোত্তীর্ণ খাদ্যপণ্য, মেয়াদোত্তীর্ণ ঔষধ, মেয়াদ বিহীন কাটা ঔষধ ধ্বংসসহ ১০ লিটার টিসিবির সয়াবিন তেল জব্দ এবং একটি লিখিত অভিযোগ নিষ্পত্তি করা হয়।
এপিবিএন-৯ ও ডবলমুরিং থানা পুলিশের সহায়তায় অভিযানটি পরিচালনা করা হয়।
জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর, চট্টগ্রাম বিভাগীয় কার্যালয়ের উপপরিচালক মোহাম্মদ ফয়েজ উল্যাহ্, সহকারী পরিচালক নাসরিন আক্তার, সহকারী পরিচালক (মেট্রো) পাপীয়া সুলতানা লীজা ও চট্টগ্রাম জেলা কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক মুহাম্মদ হাসানুজ্জামান অভিযান পরিচালনা করেন।
অভিযানে হালিশহর থানার নয়াবাজারের ভূঁইয়া স্টোরকে মেয়াদোত্তীর্ণ ও লেবেলবিহীন মোড়কজাত দুধ সংরক্ষণ করায় ১০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। আল-মদিনা স্টোরকে মেয়াদোত্তীর্ণ ও মেয়াদবিহীন কাটা ঔষধ সংরক্ষণ করায় ১০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।
খুলশী থানার লালখান বাজারের খিদমত -আন নিসাকে মেয়াদোত্তীর্ণ খাদ্যদ্রব্য সংরক্ষণ ও লেবেলবিহীন মোড়কজাত পণ্য বিক্রয় করায় ২০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।
ডবলমুরিং থানার দেওয়ান হাটের তাজ ফার্মেসিকে মেয়াদোত্তীর্ণ ঔষধ সংরক্ষণ করায় ৫ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।
ইপিজেড মোড়ের আরাফাত কুলিং কর্নারকে ধূলাবালিপূর্ণ স্থানে খোলা অবস্থায় রেখে খাদ্যদ্রব্য বিক্রয় করায় ১৫ হাজার টাকা জরিমানা করে সতর্ক করা হয়।
আয়াত হোটেলকে নোংরা পরিবেশে খাদ্যদ্রব্য উৎপাদন, ছাপা সংবাদপত্র ব্যবহার করে খাদ্যদ্রব্য সংরক্ষণ, নোংরা পানিতে তৈজসপত্র ধৌত করায়, নোংরা পাত্র ব্যবহার করায় ৩০ হাজার জরিমানা করা হয়।
বন্দর থানাথীন বাকের আলী ফকিরের টেক এলাকার নুসরাত স্টোরকে হাইড্রোজ সংরক্ষণ, প্রায় ১৬ কিলোগ্রাম কাপড়ের রং সংরক্ষণ, মেয়াদোত্তীর্ণ খাদ্যদ্রব্যের মেয়াদ ঘষে তুলে বিক্রয়ের জন্য সংরক্ষণ করায় ৫০ হাজার জরিমানা করে বর্ণিত রং, হাইড্রোজ ও মেয়াদোত্তীর্ণ খাদ্যদ্রব্য ধ্বংস করা হয়।
পবিত্র ঈদুল আজহাকে সামনে রেখে স্থানীয় মসলা চূর্ণ করার কারখানা/ ছোট পরিসরে পরিচালিত মসলার মিলে সরবরাহ করার জন্য ধ্বংসকৃত রং সংরক্ষণ করা হচ্ছিলো বলে দোকান মালিক স্বীকার করেন। এছাড়া ভাই ভাই স্টোরকে টিসিবি ট্রাকসেলে বিক্রয়ের জন্য সরবরাহকৃত সয়াবিন তেল দোকানে রেখে বিক্রয় করায়, মেয়াদোত্তীর্ণ পণ্য রাখায় ও অননুমোদিত রং রাখায় ৬০ হাজার টাকা জরিমানা করে ১০ লিটার বর্ণিত তেল জব্দ করা হয়।
জনৈক ক্রেতার অভিযোগের প্রেক্ষিতে টি এন্ড টি বাজারের সাগিরের মাছের দোকানকে জেলি (সিলিকা জেল) পুশকরা চিংড়িমাছ বিক্রয় করায় ৩ হাজার জরিমানা করে প্রায় ১ কিলোগ্রাম জেলিযুক্ত চিংড়িমাছ ধ্বংস করা হয়।
বাজারসমূহ পরিদর্শনকালে ক্রেতা-বিক্রেতাদের মাস্ক পরিধানপূর্বক নিরাপদ শারীরিক দূরত্ব বজায় রেখে পণ্য ক্রয়- বিক্রয় এবং পণ্য ক্রয়ের ক্ষেত্রে প্রতারিত হলে অধিদপ্তরের হট লাইন নম্বর ১৬১২১ এ অভিযোগ জানাতে অনুরোধ করা হয়।