খুলেছে পোষাক কারখানা , স্বাস্থ্যবিধি মানছেন না কেউই

    পোষাক কারখানা

    বাংলাদেশ মেইল ::

    দেশের করোনা সংক্রমন নিয়ন্ত্রনে না আসার কারণে স্বাস্থ্য অধিদফতর চলমান বিধিনিষেধ আরও ১০ দিন বাড়ানোর সুপারিশ করলেও খুলে দেয়া হয়েছে দেশের পোশাক কারখানাগুলো। রোববার (১ আগস্ট) সকাল ৮টার মধ্যে নিজ নিজ কারখানায় যোগ দিয়েছেন অধিকাংশ শ্রমিক।

    তবে বড় বড় পোষাক কারখানা গুলোতে কঠোর স্বাস্থ্যবিধি মানা হলেও কোথাও কোথাও তা ঢিলেঢালা দেখা গেছে। সব তৈরি পোশাক কারখানায় মাস্ক পরা বাধ্যতামূলক করা হলেও অধিকাংশ কারখানায় তাপমাত্রা মাপা ও হ্যান্ড স্যানিটাইজারের কোনো ব্যবস্থা রাখা হয়নি।

    সকালে রাজধানীর বাড্ডার সাতারকুল এলাকায় এ কে এম রহমতুল্লাহ গার্মেন্টস, আর টেক্স ফ্যাশন, জান কম্পোজিট ইউনিট লিমিটেড (ইউনিট-২), ড্রেস ফাই নেটওয়ার্ক, ইনজেক্ট ফ্যাশনসহ বিভিন্ন তৈরি পোশাক কারখানা ঘুরে দেখা গেছে, ৮টার আগেই দলে দলে কাজে যোগ দিচ্ছেন শ্রমিকরা। এদের বেশিরভাগই নারী শ্রমিক। কারখানার ঢুকার সময় তাদের অধিকাংশের কাছেই মাস্ক দেখা যায় নি ।

    আবার কেউ কেউ নতুন কাজের জন্য ভিড় করছেন। তাদের অনেকেই জানিয়েছেন, হঠাৎ গার্মেন্টস খোলার কথা শুনে অনেক কষ্ট করে দূর-দূরান্ত থেকে এসেছেন। আবার কেউ কেউ ঢাকাতেই ছিলেন বলে জানান।

    গাজিপুরের এনজেড গার্মেন্টসে গিয়ে দেখা যায়,শ্রমিকদের সবার তাপমাত্রা মেপে ভেতরে ঢোকানো হচ্ছে। মাস্ক পরা বাধ্যতামূলক করা হয়েছে। কারখানার নিরাপত্তারক্ষীরা স্বাস্থ্যবিধি নিশ্চিত করার জন্য নিয়ে কাজ করছেন।

    নিজস্ব পরিবহনে করে বন্দর নগরী চট্টগ্রামেও শ্রমিকরা যোগ দিয়েছেন নিজ নিজ পোষাক  কারখানায় । সকাল থেকেই নগরীর আগ্রাবাদ এলাকায় গার্মেন্টস শ্রমিকদের ভীড় দেখা গেছে । পরিবহন না থাকার কারণে অনেক শ্রমিককে পায়ে হেটে কারখানার দিকে যেতে দেখা যায় ।

    বিএম/ পোষাক কারখানা