কথাসাহিত্যিক বুলবুল চৌধুরী আর নেই

    বুলবুল চৌধুরী

    বাংলাদেশ মেইল::

    ক্যানসারে আক্রান্ত একুশে পদকপ্রাপ্ত কথাসাহিত্যিক বুলবুল চৌধুরী আর নেই। শনিবার (২৮ আগস্ট) সন্ধ্যা ছয়টার দিকে পুরান ঢাকার বাংলাবাজারে নিজ বাসায় তিনি মৃত্যুবরণ করেন। তার বয়স হয়েছিল ৭৩ বছর। তিনি স্ত্রী ও তিন পুত্র সন্তান রেখে গেছেন।

    বুলবুল চৌধুরীর ছেলে রাফি চৌধুরী মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, রোববার (২৯ আগস্ট) সকাল ৯টায় বাংলাবাজারের প্যারীদাস রোডের শিমতলা মসজিদে প্রথম জানাজা শেষে সকাল ১১টায় শ্রদ্ধা নিবেদন ও দ্বিতীয় জানাজার জন্য তার কফিন বাংলা একাডেমিতে নেওয়া হবে। তবে কোথায় দাফন করা হবে, সে সিদ্ধান্ত এখনও নেওয়া হয়নি।

    পারিবারিক সূত্রে জানা যায়, ছয় মাস আগে বুলবুল চৌধুরী ক্যানসার ধরা পড়ে। এরপর তিনি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের অনকোলোজি বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ডা. সারওয়ার আলমের তত্ত্বাবধানে চিকিৎসা নেন। কেমো থেরাপি নেওয়ার মতো শারীরিক অবস্থা না থাকায় চিকিৎসকের পরামর্শে বাসায়ই তার চিকিৎসা চলছিল।

    বুলবুল চৌধুরী ১৯৪৮ সালের ১৬ অগাস্ট গাজীপুরের দক্ষিণবাগ গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। লেখালেখির বাইরে পেশাগত জীবনে বুলবুল চৌধুরী সাংবাদিকতার সঙ্গেও যুক্ত ছিলেন। কাজ করেছেন দেশের প্রথম সারির বিভিন্ন দৈনিকে।

    বিখ্যাত এই কথাসাহিত্যিকের উপন্যাসগুলোর তালিকায় রয়েছে ‘অপরূপ বিল ঝিল নদী’, ‘কহকামিনী’, ‘তিয়াসের লেখন’, ‘অচিনে আঁচড়ি’, ‘মরম বাখানি’, ‘এই ঘরে লক্ষ্মী থাকে’, ‘ইতু বৌদির ঘর’ ও ‘দখিনা বাও’। তার আত্মজৈবনিক দু’টি গ্রন্থের নাম ‘জীবনের আঁকিবুঁকি’ ও ‘অতলের কথকতা’। ‘গাঁওগেরামের গল্পগাথা’, ‘নেজাম ডাকাতের পালা’, ‘ভালো ভূত’ আর ‘প্রাচীন গীতিকার গল্প’ নামক কিশোর গ্রন্থও রচনা করেছেন তিনি।

    সাহিত্যে অসামান্য অবদানের জন্য ২০২১ সালে সরকার তাকে একুশে পদকে ভূষিত করে। এছাড়াও তিনি সাহিত্যকর্মের স্বীকৃতিস্বরূপ তিনি হুমায়ুন কাদির স্মৃতি পুরস্কার, জসীমউদ্দীন স্মৃতি পুরস্কার, বাংলা একাডেমি সাহিত্য পুরস্কার ও ব্র্যাক ব্যাংক সমকাল সাহিত্য পুরস্কারও অর্জন করেছেন।