আন্দোলনের রূপরেখা তৈরি করতে মঙ্গলবার থেকে বিএনপির সিরিজ বৈঠক

    বাংলাদেশ মেইল ::

    নিরপেক্ষ নির্বাচন অনুষ্ঠান নিশ্চিতে আন্দোলনের রূপরেখা তৈরি করতে আগামী মঙ্গলবার থেকে আবারও দলের নেতাদের সঙ্গে ধারাবাহিক বৈঠক করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে বিএনপি। শনিবার রাতে দলের সর্বোচ্চ নীতিনির্ধারণী ফোরাম জাতীয় স্থায়ী কমিটির বৈঠকে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।

    বৈঠক সূত্রে জানা গেছে, দলের নির্বাহী কমিটির সদস্য, জেলার নেতাদের সঙ্গে বৈঠক করার বিষয়ে একমত হয়েছে সর্বোচ্চ ফোরাম। এই বৈঠকের পর বিভিন্ন পেশাজীবীসহ নির্বাচন কমিশন নিয়ে রাষ্ট্রপতির কাছে ৪২ জন বিশিষ্ট ব্যক্তিদের সঙ্গে বসার বিষয়েও কয়েকজন নেতা মত দিয়েছেন। তবে সে বিষয়ে এখনও কোনো সিদ্ধান্ত হয়নি।

    বৈঠক সূত্র আরও জানায়, আগামী দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন ও সরকারবিরোধী আন্দোলনের রূপরেখা তৈরির বিষয়ে দলের নেতাদের মতামত নিচ্ছেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। এর অংশ হিসেবে আগামী মঙ্গলবার ও বুধবার দলের কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির ২৯৩ জন সদস্য এবং বৃহস্পতিবার জেলা বিএনপির সভাপতি-সাধারণ সম্পাদক এবং আহ্বায়ক-সদস্য সচিবদের সঙ্গে বৈঠক করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। এবারও গুলশানে বিএনপি চেয়ারপারসনের রাজনৈতিক কার্যালয়ে এসব বৈঠক অনুষ্ঠিত হবে।

    এ বিষয়ে আজ রোববার বিকেলে গুলশান কার্যালয়ে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর সংবাদ সম্মেলন করে বিস্তারিত তুলে ধরবেন।

    এর আগে গত মঙ্গলবার থেকে বৃহস্পতিবার পর্যন্ত রাজধানীর গুলশানে বিএনপি চেয়ারপারসনের রাজনৈতিক কার্যালয়ে দলের কেন্দ্রীয় নেতাদের ধারাবাহিক বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। প্রথম দিন দলের ভাইস চেয়ারম্যান ও উপদেষ্টামণ্ডলী, দ্বিতীয় দিন বিএনপির নির্বাহী কমিটির সিনিয়র যুগ্ম-মহাসচিব, যুগ্ম মহাসচিব, সাংগঠনিক সম্পাদক, সম্পাদক ও সহসম্পাদক এবং শেষ দিন দলের অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের কেন্দ্রীয় নেতারা বৈঠকে অংশ নেন। তিন দিনের ধারাবাহিক বৈঠকে মোট ২৮৬ জন নেতা উপস্থিত ছিলেন যাদের মধ্যে ১১৮জন নেতা বক্তব্য রাখেন।

    বৈঠক সূত্র জানায়, বিএনপির স্থায়ী কমিটির নেতারা বিগত তিনটি ধারাবাহিক বৈঠকের বিষয়বস্তু নিয়ে আলোচনা করেন। এসব বৈঠকে নেতাদের উত্থাপিত বিভিন্ন বিষয়কে সামনে রেখে তাঁরা তাঁদের কর্মপরিকল্পনা করার বিষয়ে স্থায়ী কমিটির সদস্যরা একমত হন। আগামী আন্দোলনকে সামনে রেখে কূটনৈতিক তৎপরতা বৃদ্ধিসহ সংগঠনকে শক্তিশালী করার বিষয়ে তারাও একমত হন। একই সঙ্গে দলের নেতাকর্মী ছাড়াও অন্যান্য রাজনৈতিক দল এবং সমাজের বিভিন্ন পেশাজীবীদের সঙ্গেও তাঁরা যোগাযোগ বৃদ্ধি করার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।