‘খুনি’ জিয়াউর রহমানের নামে চট্টগ্রামে কোনো জাদুঘর থাকবে না

    জাদুঘর
    বাংলাদেশ মেইল::linkedin sharing buttonসাবেক সামরিক শাসক জিয়াউর রহমানকে ‘খুনি’ হিসেবে উল্লেখ করে তার নামে চট্টগ্রামে কোনো জাদুঘর থাকবে না বলে মন্তব্য করেছেন তথ্য ও সম্প্রচার প্রতিমন্ত্রী ডা. মো. মুরাদ হাসান।সোমবার (৬ সেপ্টেম্বর) দুপুরে চট্টগ্রাম প্রেসক্লাবে সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময়ের সময় তথ্য প্রতিমন্ত্রী এ মন্তব্য করেন।

    প্রতিমন্ত্রী মুরাদ হাসান বলেন, ‘খুনি জিয়া যেখানে হত্যার শিকার হলেন সেখানে স্মৃতি জাদুঘর কেন থাকবে? রাষ্ট্রের পয়সা দিয়ে, জনগণের ট্যাক্সের টাকা দিয়ে কেন খুনি জিয়ার নামে জাদুঘর রাখব? এটা চট্টগ্রামে থাকবে না। আমি এ ব্যাপারে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে কথা বলব।’

    বঙ্গবন্ধু হত্যায় জিয়ার সম্পৃক্ততার অভিযোগ করে তিনি বলেন, ‘ত্রিশ লাখ শহিদের রক্তের বিনিময়ে অর্জিত স্বাধীনতা কারও দয়ার দান নয়। স্বাধীনতা অর্জনের মাত্র কয়েক বছরের মধ্যে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে খুন করা হয়েছে। বঙ্গবন্ধুর ঈর্ষণীয় কর্মতৎপরতা দেখে জিয়াউর রহমান কিছু কুলাঙ্গারকে সাথে নিয়ে তাকে সপরিবারে হত্যা করেছে, এটাই জিয়ার অবদান। গাদ্দার মোশতাক-জিয়া জাতির পিতাকে খুন করেছেন। আমরা মূল খুনির মরণোত্তর বিচার করতে চাই।’

    প্রতিমন্ত্রী ‘জিয়া স্মৃতি জাদুঘর’ সরানোর জন্য চট্টগ্রামবাসীর সহযোগিতা কামনা করে বলেন, ‘সার্কিট হাউসে খুনির নামে জাদুঘর কেন থাকবে? জাতির পিতার খুনির নামে রাষ্ট্রের টাকায় জাদুঘর থাকতে পারে না। স্বাধীনতার ঘোষণা দিয়েছেন এম এ হান্নান। সেই ঘোষণার মাইক্রোফোন জিয়ার জাদুঘরে থাকবে না। সেটা কালুরঘাটে নিয়ে যাওয়া হবে।’ধর্মের নামে রাজনীতি’ বাংলার মাটিতে আর করতে দেওয়া হবে না মন্তব্য করে প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘সেই দিন এখন আর নেই। দেশে আর কোনো অপচেষ্টা করতে দেওয়া হবে না।’

    ‘এই বাংলাদেশ বঙ্গবন্ধুর, এই বাংলাদেশ তারই সুযোগ্য কন্যা শেখ হাসিনার। প্রতিদিন প্রতিটি মুহূর্তে মৃত্যুর মুখোমুখি দাঁড়িয়ে দেশকে নেতৃত্ব দিয়ে যাচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এই বীর চট্টলার প্রতি প্রধানমন্ত্রী সবসময় সহানুভূতিশীল। এই করোনাকালেও বাংলাদেশের প্রবৃদ্ধি পৃথিবীতে অনুকরণীয়। কাজ করলে ভুল হবে। ক্ষমার যোগ্য হলে ক্ষমা করবেন আর অযোগ্য হলে বিচার করবেন’— বলেন তথ্য প্রতিমন্ত্রী।

    চট্টগ্রাম প্রেসক্লাবের সভাপতি আলী আব্বাসের সভাপতিত্বে ও যুগ্ম সম্পাদক নজরুল ইসলামের সঞ্চালনায় মতবিনিময় সভায় আরও বক্তব্য দেন প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক চৌধুরী ফরিদ, সিনিয়র সহ-সভাপতি সালাহউদ্দিন মো. রেজা, চট্টগ্রাম সাংবাদিক ইউনিয়নের সভাপতি মোহাম্মদ আলী, চট্টগ্রাম প্রেসক্লাবের সাবেক সভাপতি কলিম সরওয়ার, বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়নের সাবেক সহ-সভাপতি শহীদ উল আলম, চট্টগ্রাম সাংবাদিক ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক শামসুল ইসলাম এবং প্রেসক্লাবের সাবেক সাধারণ সম্পাদক মহসিন চৌধুরী প্রমুখ।