ছাত্রলীগের দুই গ্রুপের সংঘর্ষ
আইসিইউ’তে মৃত্যুর সাথে লড়ছে চমেকের আকিব

বাংলাদেশ মেইল ::

চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) ছাত্রলীগের দুই গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনায় মারাত্মকভাবে আহত মোঃ মাহাদি আকিব নামে এক ছাত্রলীগ নেতা মুমূর্ষু অবস্থায় হাসপাতালের আইসিইউ’তে চিকিৎসাধীন আছেন।

মোঃ মাহাদি আকিব চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজের  এমবিবিএস ২য় বর্ষের (৬২তম ব্যাচ) মেধাবী ছাত্র। তার বাড়ি কুমিল্লায়। এর আগে মস্তিষ্কে রক্ত জমে যাওয়ায় শনিবার (৩০ অক্টোবর) দুপুরে আকিবের মস্তিষ্কে অপারেশন করা হয়। তবে অপারেশনের পরও আশঙ্কামুক্ত না হওয়ায় তাকে চমেকের আইসিইউ ওয়ার্ডে ভেন্টিলেটর সাপোর্টে রাখা হয়েছে।

স্বাধীনতা চিকিৎসক পরিষদের কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক ডা. আ ম ম মিনহাজুর রহমান জানান, মারাত্মকভাবে আহত আকিবের চিকিৎসার বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিতে রোববার (৩১ অক্টোবর) মেডিকেল বোর্ড গঠন করা হবে।

এদিকে, আকিব আহত হবার ঘটনায় শনিবার (৩০ অক্টোবর) রাতে চট্টগ্রামের পাঁচলাইশ থানায় একটি মামলা দায়ের করেন চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজের ৫ম বর্ষের ছাত্র তৌফিকুর রহমান।

সংঘর্ষের ঘটনায় উভয় গ্রুপের বেশ কয়েকজন আহত হয়েছেন।শনিবার (৩০ অক্টোবর) সকাল ১০টার দিকে এ ঘটনা ঘটে। ছাত্রলীগের দু’গ্রুপের সংঘর্ষে অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ।

জানা গেছে, বিবাদে জড়ানো একটি পক্ষ সাবেক সিটি মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দিন এবং অন্যপক্ষ শিক্ষা উপমন্ত্রী ব্যারিস্টার মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেলের অনুসারী হিসেবে পরিচিত। আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে শুক্রবার (২৯ অক্টোবর) দিবাগত রাতেও তাদের মধ্যে এক দফা সংঘর্ষ হয়েছিল।

পাঁচলাইশ থানার পরিদর্শক (তদন্ত) সাদেকুর রহমান বলেন, ‘সংঘর্ষের পর ক্যাম্পাসে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। থানায় ১৬ জনকে আসামি করে একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে। অভিযোগ সাপেক্ষে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।’

চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজের অধ্যক্ষ ডা. শাহেনা আক্তার বলেন ,  মারামারির ঘটনায় আহত হয়ে একজন হাসপাতালে ভর্তি আছে। যেহেতু একজন আহত হয়েছে সে কারণে পুলিশের সঙ্গে কথা বলছি। এ ঘটনায় আইনগত যে ব্যবস্থা নেওয়া যায় সে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

তিনি জানান, ঘটনা তদন্তে পাঁচ সদস্যের একটি কমিটি গঠন করা হয়েছে। কমিটির প্রধান করা হয়েছে সার্জারি বিভাগের প্রফেসর মতিউর রহমানকে। কমিটিকে আগামী সাত দিনের মধ্যে তদন্ত প্রতিবেদন জমা দিতে বলা হয়েছে।