কক্সবাজার পৌরসভার সেবা বন্ধ, ভোগান্তিতে পৌরবাসী

সেবা বন্ধ

বাংলাদেশ মেইল ::

কক্সবাজার জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও পৌর মেয়র মুজিবুর রহমানকে প্রধান করে হত্যা চেষ্টা মামলা হওয়ায় সকল ধরণের নাগরিক সেবা বন্ধ করে দিয়েছে কক্সবাজার পৌরসভা । ফলে ভোগান্তিতে পড়েছে সেবা নিতে আসা পৌরবাসী। কক্সবাজার পৌরসভা প্রেরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, মেয়র মুজিবুরের বিরুদ্ধে দায়েরকৃত মামলাটি প্রত্যাহার না করা পর্যন্ত কক্সবাজার পৌরসভা কোন ধরণের নাগরিক সেবা দিবে না। সোমবার (১ নভেম্বর) এক জরুরী সভায় পৌর পরিষদ এমন সিদ্ধান্ত নিয়েছে বলে জানা যায়। এ কারণে সকল প্রকার নাগরিক সেবা প্রদান বন্ধ ছিল দীর্ঘ ২৩ ঘন্টা । রবিবার রাত  থেকে পৌরসভার সব সেবা বন্ধ থাকার পর বেলা আড়াইটার দিকে কার্যক্রম সচলের ঘোষণা দেন পৌর প্যানেল মেয়র মাহবুবুর রহমান।

সোমবার সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত সরজমিনে কক্সবাজার পৌরসভায় গিয়ে দেখা যায়, পৌরসভার প্রধান ফটক বন্ধ রয়েছে। ভেতরে সেবা প্রার্থীদের প্রবেশ করতে দেয়া হচ্ছে না। এ সময় সেবা নিতে আসা আরাফা বেগম বলেন, তিনমাসেরও আগে মেয়ের জন্মনিবন্ধনের ভুল সংশোধন করতে দিয়েছি। আজকাল বলে এখনো দেয়নি। সোমবার অবশ্যই দেয়ার কথা ছিল। কিন্তু আজ তো ভেতরেই ঢুকতে দিচ্ছে না। অথচ স্কুলে জমা দেওয়ার শেষ দিন মঙ্গলবার।

পৌর প্যানেল মেয়র মাহবুবুর রহমান চৌধুরীর সোমবার বেলা আড়াইটার দিকে এক সংবাদ সম্মেলনে বলেন, উচ্চ পর্যায়ে এ বিষয়ে বৈঠক হয়েছে। আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বিষয়টি দেখছেন। কোন মিথ্যা মামলায় মেয়রকে হয়রানি করা হবে না বলে আশ্বস্থ করেছেন। তদন্ত সাপেক্ষে মেয়রকে অব্যাহতি দেওয়া হবে।

তিনি আরো বলেন, সার্বিক বিবেচনায় জনগণের দুর্ভোগের কথা চিন্তা করে পৌর পরিষদের কর্মবিরতি প্রত্যাহার করে নেওয়া হয়েছে।

এ সময় পৌরসভার প্যানেল মেয়র (দুই) হেলাল উদ্দিন কবির, প্যানেল মেয়র(তিন) শাহেনা আক্তার পাখি, কাউন্সিলর সালা উদ্দিন সেতু, মিজানুর রহমান রুবেল, নারী কাউন্সিলর ইয়াছমিন, জাহেদা আক্তারসহ পৌরসভার কর্মচারীরা উপস্থিত ছিলেন।

এর আগে সকাল থেকে পৌরসভায় কর্মকর্তা কর্মচারীরা কাজে যোগ না দিলে ভোগান্তির শিকার হয় সেবাপ্রার্থীরা।

গত ২৭ অক্টোবর জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সহসভাপতি মুনাফ সিকদারকে গুলি করে দূর্বৃত্তরা। এ ঘটনায় রোববার পৌর মেয়র মুজিবুর রহমান ও জেলা আওয়ামী লীগের নেত্রী নাজনীন সরওয়ার কাবেরীসহ ৮ জনকে আসামি করে থানায় মামলা দায়ের করে মুনাফ সিকদারের বড় ভাই শাহজাহান।

মেয়রের বিরুদ্ধে মামলা দায়েরের খবর ছড়িয়ে পড়লে রোববার সন্ধ্যার দিকে শহরের বিভিন্ন এলাকায় বিক্ষোভ প্রদর্শন করেন নেতাকর্মীরা।