ভোগ্যপণ্য পরাশক্তিরা জনগনের বিরুদ্ধে যুদ্ধে লিপ্ত হয়েছে – সুজন

বাংলাদেশ মেইল ::

রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের গুজব ছড়িয়ে ভোগ্যপণ্য পরাশক্তিরা জনগনের বিরুদ্ধে যুদ্ধে লিপ্ত হয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের সাবেক প্রশাসক এবং চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি খোরশেদ আলম সুজন।

আজ শনিবার (২৬ ফেব্রুয়ারি ২০২২ইং) এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে তিনি এ মন্তব্য করেন।

এসময় সুজন বলেন, রাশিয়া-ইউক্রেন আক্রমনের সাথে সাথেই দেশের ভোগ্যপণ্য পরাশক্তিরা অহেতুক বিভিন্ন ভোগ্যপণ্যের দাম বাড়িয়ে দিয়েছে। যেন রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধটি তাদের জন্য আশীর্বাদ হয়ে ফিরে এসেছে। তাদের এহেন মনোভাব রাষ্ট্রদ্রোহিতার সামিল। এ অপরাধে তাদের কঠোরতম শাস্তি আজ সচেতন জনসাধারনের প্রাণের দাবী। তিনি বলেন রাশিয়া কিংবা ইউক্রেন থেকে ব্যবসায়ীরা বড় ধরণের ভোগ্যপণ্য আমদানি না করলেও শুধুমাত্র গুটি কয়েক ব্যবসায়ী তাদের লোভী স্বার্থ চরিতার্থ করার জন্য ভোগ্যপণ্যের দাম বৃদ্ধি করে জনগনকে নিদারুন কষ্ট দিচ্ছে। দেশের বৃহৎ পাইকারি বাজারগুলোতে এর প্রভাব পড়তে শুরু করেছে। যুদ্ধ শুরু হতে না হতেই এক রাতের ব্যবধানে হু-হু করে বাড়ছে ভোগ্যপণ্যের বাজার। আর দাম বৃদ্ধির এ প্রভাব সরাসরি গিয়ে পড়ছে সাধারণ ভোক্তাদের উপর। এতে দিশেহারা হয়ে পড়ছে নাগরিকগণ। বিভিন্ন সূত্রে আমরা জানতে পেরেছি ব্যবসায়ীরা রমজানের প্রস্তুতি হিসেবে প্রয়োজনীয় বিভিন্ন পণ্যের আমদানি শুরু করেছে। তাদের আমদানিকৃত পণ্য প্রতিদিন বিভিন্ন অফডক ইয়ার্ডে খালাসও হচ্ছে। নিশ্চয়ই এসব পণ্যের ক্রয়মূল্য ইতোমধ্যে পরিশোধও করা হয়েছে। তারপরও যুদ্ধের গুজব ছড়িয়ে ব্যবসায়ীরা পণ্যের দাম বাড়িয়ে দিয়েছেন যা সম্পূর্ণ অন্যায় এবং অমানবিকও বটে। এমতাবস্থায় আমরা বাণিজ্য মন্ত্রণালয় এবং খাদ্য মন্ত্রণালয়কে অনুরোধ জানাবো দয়া করে আপনারা জনগনের পক্ষে অবস্থান নিন। যে কোন মূল্যে ভোগ্যপণ্যের সিন্ডিকেটের কালো হাত ভেঙ্গে দিতে হবে। প্রয়োজনে বিভিন্ন পাইকারি বাজারে বাজারে গিয়ে আমদানিকারক এবং ব্যবসায়ীদের সাথে কথা বলতে হবে। যেখানে প্রয়োজন সেখানে অভিযান পরিচালনা করতে হবে। ভোগ্যপণ্য পরাশক্তিদের এ যুদ্ধে জনগন আপনাদের পাশে পেতে চায়। জনগন সদা সর্বদা আপনাদের পাশেই আছে এবং থাকবে। আর যদি আপনারা জনগনের পক্ষে অবস্থান না নেন তাহলে আমরা বুঝে নিবো আপনারা ভোগ্যপণ্য পরাশক্তিদের পক্ষে অবস্থান নিয়ে সরকারকে জনগন থেকে বিচ্ছিন্ন করার ষড়যন্ত্রে লিপ্ত রয়েছেন। আমরা বিভিন্ন ব্যবসায়ীদের সাথে কথা বলে জানতে পেরেছি রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের সাথে আমাদের দেশের ব্যবসায়ীদের সেরকম কোনো সম্পর্ক নেই। মিল মালিকরা দাম বাড়িয়ে দেয়ার কারণে বাজারে প্রভাব পড়েছে বলে মনে করেন তারা। এই মিল মালিক কারা তা আমরা জানতে চাই-প্রশ্ন রাখেন সুজন।

তিনি বলেন, আমরা সরকারের বিভিন্ন গোয়েন্দা সংস্থা, জেলা প্রশাসনসহ পুলিশ প্রশাসনের নিকট অনুরোধ জানাবো দাম বৃদ্ধির এ প্রবণতাকে যে কোন মূল্যে রুখতে হবে। কতিপয় দুস্কৃতিকারী ব্যবসায়ী এবং আমদানিকারক সেজে ঘাপটি মেরে সরকারের সাথে জনগনের দূরত্ব সৃষ্টির অপপ্রয়াসে লিপ্ত রয়েছে। ‘

এদেরকে কোন ভাবেই সফল হতে দেওয়া যাবে না বলেও মত প্রকাশ করেন তিনি।  সুজন এ অবস্থায় অর্থ মন্ত্রণালয়, বাণিজ্য মন্ত্রণালয়, খাদ্য মন্ত্রণালয়সহ সংশ্লিষ্ট সকল মন্ত্রণালয়কে সাথে নিয়ে বিকল্প বাজার থেকে চাল, ডাল, তেলসহ নিত্যপ্রয়োজনীয় ভোগ্যপণ্য আমদানির উদ্যোগ নেওয়ার অনুরোধ জানান।

সার্বিক অবস্থা বিবেচনা করে এক্ষেত্রে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী যদি ভ্যাট-ট্যাক্স ছাড় দিয়ে ভোগ্যপণ্য আমদানির অনুমতি দেয় তাহলে সকল নিত্য প্রয়োজনীয় ভোগ্যপণ্যের দাম জনগনের ক্রয় ক্ষমতার মধ্যে চলে আসবে, জনগনও স্বস্তি পাবে বলে মত প্রকাশ করেন সুজন।